মহামারি করোনাভাইরাসের টিকার বিষয়ে ভীতি ও সংশয়ের মধ্যেই সাড়া ফেললো এইডস সৃষ্টিকারী এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস) প্রতিরোধের নতুন টিকা। উদ্ভাবকরা দাবি করেছেন যে, মানুষের ওপর পরীক্ষা বা হিউম্যান ট্রায়ালে এইচআইভি’র নতুন এই টিকাটি ৯৭ শতাংশ কার্যকর। যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগোর ‘স্ক্রিপ্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ এবং এইচআইভি টিকা প্রস্তুতকারী অলাভজনক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল এইডস ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ (আইএভিআই) এর বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে তৈরি করেছেন এই টিকা।
বিজ্ঞানীদের দাবি, এইচআইভি ভাইরাস মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলো ধ্বংস করে ফেলে। কিন্তু আশার খবর হলো নতুন এই টিকাটি ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধী কোষগুলোকে জাগিয়ে তুলে। যা কিনা এইচআইভি ভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়তে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
মানুষের ওপর পরীক্ষায় প্রথম দফায় ৪৮ জনের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে এই টিকা। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রে এই টিকার কার্যকারিতা প্রমাণ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বুধবার (৭ এপ্রিল) ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোসাইটির ‘এইচআইভি রিসার্চ ফর প্রিভেনশন’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে স্ক্রিপ্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে গবেষণার এই ফলাফল তুলে ধরা হয়।
স্ক্রিপ্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, নতুন এই টিকা যেন দ্রুত বাড়ানো যায় সে জন্য ‘মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ)’ প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা মডার্নার চুক্তিবদ্ধ হওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে।
গত শতাব্দীর আশির দশকে এইচআইভি ভাইরাস আবিষ্কারের পরপরই বেশ কিছু টিকা আবিষ্কার ও পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কোনো টিকাই ৩১ শতাংশের বেশি কার্যকর হয়নি এবং তা এক বছরের বেশি সময় কার্যকর থাকেনি। এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পায়নি কোনো টিকা। তবে নতুন এই টিকা যেন আশার আলো দেখাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এসআর/