দৈনিক পক্ষকাল পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
কাজলের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০২০ সালের ৯, ১০ ও ১১ মার্চ তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাগুলো করেন আওয়ামী লীগের মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী এবং সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা।
গত ৮ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এই তিনটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এই চার্জ গঠন করেন।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। সাংবাদিক কাজলের পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ আবেদন করেন।
সাংবাদিক কাজল বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৪ মার্চ ও ৪ এপ্রিল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা তিনটির অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা ।
ফেসবুকে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং যুব মহিলা লীগের শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে অশালীন, মানহানিকর, আপত্তিকর ও ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছিলকাজলের বিরুদ্ধে ।
দৈনিক পক্ষকাল পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজল ২০২০ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন। প্রায় দুই মাস পর ওই বছরের ৩ মে গভীর রাতে বেনাপোলের রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ‘অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময়’ তাকে আটক করে। এরপর ওই দিন সকালে বিজিবি তাকে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করে।
২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত হন সাংবাদিকে কাজল।