বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমের গুমের বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ , ০১:৩৪ পিএম


বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমের গুমের বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রথম গুমের শিকার হন বিএনপি নেতা ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী আলম। এবার সেই গুমের ঘটনার বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার। 
 
সোমবার (১০ মার্চ) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চৌধুরী আলমের বড় ছেলে আবু সাঈদ চৌধুরী হিমু এ অভিযোগ জমা দেন।

বিজ্ঞাপন

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, চৌধুরী আলমের গুমের ঘটনার বিচার চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান জিয়াসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

চৌধুরী আলমের পরিবারের অভিযোগ, ২০১০ সালের ২০ জুন গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে র‌্যাব পরিচয়ে কয়েকজন চৌধুরী আলমের ওপর হামলা করে। পরে স্থানীয়রা র‌্যাব-১-এর বিল্লাল নামে এক সদস্যকে ধরে গুলশান থানায় সোপর্দ করে। সেদিন রাতেই র‌্যাব সদর দপ্তর বিল্লালকে তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়। এরপর ২৫ জুন রাতে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে এসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে আলমকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তখন তার গাড়িচালককে মারধর করে গাড়িও নিয়ে যায় তারা।

বিজ্ঞাপন

পরে ২০১০ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হলে আদালত পুলিশ ও সরকারকে দ্রুত চৌধুরী আলমকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশ আর কার্যকর হয়নি।

এরপর দীর্ঘ ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তার খোঁজ পাননি পরিবার। কেউ জানে না তিনি জীবিত আছেন নাকি মৃত।

প্রসঙ্গত, চৌধুরী আলম বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর (বর্তমান ঢাকা দক্ষিণের ২০) ওয়ার্ড কাউন্সিলরও ছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন চৌধুরী আলম। এরপর তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়।

Posted by Facebook on Date:

 

আরটিভি/আইএম

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission