আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞানে ত্রিফলা নামে পরিচিত তিনটি ফলের একটি হরিতকী। এটি কম্ব্রেটাসিয়াই গোত্রের ফল। এর ইংরেজি শব্দ মাইরাবেলান। স্বাদে তিতা ফলটির রয়েছে নানা ওষধি গুণ। সুস্থ্য থাকতে এর উপকারিতা জুড়িমেলাভার। এবার চলুন জেনে নিই হরিতকীর নানা উপকারিতার কথা-
১. হরিতকী অ্যামাইনো এসিড, ফ্রুকটোজ, ট্যানিন, অ্যানথ্রাইকুইনোন, বিটা সাইটোস্টেবল সমৃদ্ধ। যা শরীরের জৈব ক্রিয়ায় সহায়তা করে।
২. এটি দেহের রক্ত পরিষ্কার ও শক্তি বৃদ্ধি করে।
৩. রক্তচাপ ও অন্ত্রের খিঁচুনি কমায় এবং প্রতিরোধের কাজ করে।
৪. হৃদপিণ্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে।হার্টবার্নের দ্রুত কাজ করে।
৫. স্নায়ুবিক দুর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অবসাদ নিরাময় করে।
৬. দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া যাদের ওজন অধিক বা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাদের নানা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
৭. এটি পরজীবীনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৮. বিভিন্ন ধরনের এলার্জি দূর করে।
৯. চুল ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
১০. বিভিন্ন ধরনের বাত রোগ, গলা ও দাঁতের ব্যথার বিশেষ উপকার করে।
১১. ত্রিফলাতে হরিতকীর মান বা স্থান সব ওপরে।
১২. এর ছাল, শিকড় ও পাতা অনেক ধরনের ওষধি কাজে ব্যবহৃত হয়।
অধিক সুস্থ থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ১০ গ্রাম হরিতকী ফল খাওয়া দরকার। তবে কখনোই মাত্রার বেশি খাওয়া যাবে না। ৭ ধরনের হরিতকীর মধ্যে ‘বিজয়া’ জাতটি বেশি গুণ সমৃদ্ধ।
ডিএইচ