• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
পেয়ারা পাতার গুণে কমে যাবে চুল পড়া
জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন গোলাপি ডিমের আচার
আমাদের খাবারের তালিকায় নিয়মিত ডিম থাকে। কেউ রান্না করে, কেউ সিদ্ধ করে, কেউ বা আবার ভেজে খেতে পছন্দ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন খাবারও তৈরি করা হয় ডিম দিয়ে। কিন্তু ডিমের আচার খেয়েছেন কখনও? যদি না খেয়ে থাকেন, তবে আজই তৈরি করে ফেলুন সুস্বাদু ডিমের আচার। খেতে দারুণ এই আচারটি তৈরি করাও বেশ সহজ।  চলুন জেনে নিন কীভাবে সহজেই তৈরি করবেন গোলাপি ডিমের আচারের রেসিপি— উপকরণ ৬টি ডিম (শক্ত সেদ্ধ এবং খোসা ছাড়ানো) ২টি বিট (টুকরা করে কাটা) আধা কাপ ভিনেগার (সাদা বা অ্যাপল সাইডার) আধা কাপ পানি ১/৪ কাপ চিনি ১ চা-চামচ লবণ ৯-১০ কোঁয়া রসুন ১টি গাজর, টুকরা করে কাটা ১টা পেঁয়াজ বড় টুকরা করে কাটা ৩-৪টি শুকনা মরিচ ২-৩টি বোম্বাই মরিচ (ঐচ্ছিক) ১ চা-চামচ আচার মসলা (ঐচ্ছিক) পদ্ধতি একটি সসপ্যানে বিট, ভিনেগার, পানি, চিনি, লবণ এবং আচারের মসলা মিশিয়ে নিন। মাঝারি আঁচে চিনি মিলিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। ফুটে উঠলে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য নামিয়ে রাখুন। খোসা ছাড়ানো শক্ত-সিদ্ধ ডিম একটি পরিষ্কার বয়ামে রাখার সময় সঙ্গে গাজর, পেঁয়াজ, মরিচ এবং রসুন এক সাথে মিশিয়ে রাখুন। এবার ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া ভিনেগার-বিটের মিশ্রণটি বয়ামের ডিমের ওপর ঢেলে দিন, যেন সেগুলো পুরোপুরি ডুবে যায়। বয়ামটি ভালো ভাবে বন্ধ করে ঘরের তাপমাত্রায় অথবা ফ্রিজে রাখতে পারেন। বেশি স্বাদের জন্য ডিমগুলোকে কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে দ্রবণে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এক মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যেতে পারে এই আচার। গোলাপি এই ডিমের আচার সালাদে বা ‘গার্নিশ’হিসেবে পরিবেশন করে খেতে পারেন।   আরটিভি/এইচএসকে  
যেভাবে তৈরি করবেন হাঁসের নাগা রোস্ট
যেভাবে তৈরি করবেন আপেল চা
শীতে টমেটো খেলে যে প্রভাব পড়ে শরীরে
কমছে না বদহজম-গ্যাসের সমস্যা, জেনে নিন সহজ কিছু উপায়
যেসব খাবার খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে
চোখ মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যার মাধ্যমে সুন্দর এই পৃথিবীকে দেখা করা যায়। তাই চোখের সঠিক যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। কিন্তু গত কয়েক বছরে নিম্নমানের জীবনযাত্রার কারণে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগব্যাধি। ৫০-৬০ বছর বয়সের পর যেসব রোগ দেখা দিত, সেটা এখন ৩০-৩৫ পেরোলেই বাসা বাঁধে শরীরে।  বর্তমানে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে খারাপভাবে প্রভাবিত হচ্ছে চোখ। ছোট-বড় সবার দৃষ্টিশক্তি বয়সের আগেই দুর্বল হতে শুরু করে। গ্যাজেট নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটালে চোখ মোটেও বিশ্রাম পায় না। এতে চোখের ওপর চাপ বাড়ার পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মিও চোখের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছে।  এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে কিছু খাবার। যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে ও সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করতে পারে।  চলুন জেনে নেই দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এমন কিছু খাবারের নাম— আমলকি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকি চোখের জন্য খুবই উপকারী। আমলকি খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় আমলকি। প্রতিদিন ১টি আমলকি খেতে হবে। এটি রেটিনা এবং লেন্সকে ফ্রি ব়্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং চোখকে স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। ব্রোকলি  যে কোনো উপায়ে ডায়েটে ব্রোকলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ব্রকলি শুধু চোখ নয়, পুরো শরীরের জন্যই সুপারফুড হিসেবে কাজ করে। এতে জেক্সানথিন ও লুটেইন নামক ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা চোখের রেটিনায় পৌঁছে জমতে শুরু করে। এগুলো নীল আলোর কারণে ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করে। চোখের পেশি মজবুত করে এমন উপাদানও রয়েছে ব্রকলিতে। ক্যাপসিকাম  দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ক্যাপসিকামও একটি ভালো সবজি। রঙিন শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করা হয়। এগুলো ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে সমৃদ্ধ। ক্যাপসিকামে রয়েছে ভিটামিন সি। যা চোখের টিস্যুর ক্ষতি রোধ করে। গাজর  দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে প্রতিদিন ১-২ টি গাজর খান। এতে থাকা ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করে। আর দুর্বল চোখ পুষ্টি পায়। গাজর খেলে শুষ্ক চোখের সমস্যাও দূর হয়। ফলে প্রতিদিন গাজর খেতে হবে। পালং শাক চোখের সুস্থতায় পালং শাক অবশ্যই খেতে হবে। চাইলে পালং শাক কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ করে সবজি বা স্যুপে মিশিয়ে খেতে পারেন। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী পালং শাক। এতে রয়েছে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান যা চোখকে অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। পালং শাকে লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক ক্যারোটিনয়েড রয়েছে যা রেটিনাকে ক্ষতিকারক নীল আলো থেকে রক্ষা করে। আরটিভি/এইচএসকে-টি  
যে ছয়টি অভ্যাসে নষ্ট হয়ে যেতে পারে লিভার
মানব দেহে ৫০০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে লিভার। যার মধ্যে রয়েছে রক্ত পরিশোধন, শরীরের শক্তি ও বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রক্রিয়াজাতকরণ, হজমে সহায়তা করার জন্য পিত্ত উৎপাদন এবং পুষ্টি প্রক্রিয়াজাতকরণ। চর্বি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট বিপাকীয়করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিভার।  ফলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে একটি লিভার। তবে, ধীরে ধীরে লিভারের ক্ষতি করতে পারে সাধারণ জীবনযাত্রার অভ্যাস এবং খাদ্যাভ্যাস। যা অনেক সময় আগেভাগে বোঝাও যায় না।  আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিনের কিছু ক্ষতিকর অভ্যাস সম্পর্কে, যা আপনার লিভারের ক্ষতি করতে পারে— ডিহাইড্রেশন ডিহাইড্রেশন লিভারে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই শরীরে লিভারের সর্বোত্তমভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন। প্রতিদিন সকালে পর্যাপ্ত পানি পান পিত্ত সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক তরল তৈরি করে লিভার। অতিরিক্ত এনার্জি ড্রিংক, এমনকি সাপ্লিমেন্ট এবং ভেষজ ব্যবহারও লিভারের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেয়। অ্যালকোহল পান অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন লিভারের ক্ষতির প্রধান কারণ। অ্যালকোহল লিভারের বিষাক্ত পদার্থ অপসারণের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে। যা প্রদাহ এবং ফ্যাটি লিভার রোগের কারণ হতে পারে। ঘুমের অভাব অনেকেই হয়তো জানেন না, ঘুম বাদ দিয়ে সারা রাত অনুষ্ঠান দেখা বা ফোনে স্ক্রোল করা আপনার লিভারের ক্ষতি করতে পারে। ঘুমের অভাব লিভারের ওপর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করে। যা স্বাস্থ্য সমস্যার বিভিন্ন কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চিনি খাওয়া চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়তে সাধারণ ফ্রুক্টোজ অনেক বেশি থাকে যা লিভারের জন্য বিশেষ হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এটি ফ্যাটি লিভার রোগের কারণ হতে পারে। ব্যায়াম না করা শরীরের দ্রুত বয়স বাড়ার একটি কারণ হলো ব্যায়ামের অভাব। যদি নিয়মিত ব্যায়াম না করেন এবং বসে থাকেন তবে অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো আপনার খাওয়া খাবার প্রক্রিয়া করার জন্য আরও বেশি পরিশ্রম করে। ব্যায়াম না করার ফলে শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াগুলোকে বাধাগ্রস্ত করে। যে কারণে লিভারের ক্ষতি হতে থাকে। অনিরাপদ যৌনতা অনিরাপদ যৌনতা হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহন করে। যা একটি সম্ভাব্য মারাত্মক লিভার রোগ। সহবাসের সময় সুরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার না করাও লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হতে পারে।   আরটিভি/এইচএসকে  
শীতে যে মসলা খেলে উষ্ণ থাকবে হাত-পা
শীতকালে সবারই হাত-পা ঠান্ডা থাকে। কারও কারও অনেক বেশিই শীতল হয়ে যায় হাত-পা। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমাদের রান্নাঘরে থাকা একটি মসলাই পারে এই সমস্যার সমাধান। আর সেটি হলো লবঙ্গ।  চলুন এই ঋতুতে কিভাবে লবঙ্গ আপনাকে উষ্ণ থাকতে সহায়তা করতে পারে তা জেনে নেওয়া যাক— শীতকালে কীভাবে শরীর উষ্ণ রাখে লবঙ্গ   উষ্ণ থাকার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে লবঙ্গ। শীতকালীন সময়ে খাবারে লবঙ্গ থাকা উচিত। কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করার পাশাপাশি হাত ও পা উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে। লবঙ্গের জৈব সক্রিয় যৌগ ইউজেনল রক্তনালী প্রসারিত করতে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করার জন্য পরিচিত। লবঙ্গের অন্যান্য সুবিধা লবঙ্গ উষ্ণ থাকার পাশাপাশি আরও অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা দেয় এটি। প্রতিটি লবঙ্গে ইউজেনল তেল উপাদান ৬০-৯০% থাকে এবং এর শক্তিশালী প্রভাবের জন্য পরিচিত। লবঙ্গ তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। # রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে লবঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা র‌্যাডিক্যাল ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি শীতকালীন ফ্লু ও সর্দি এড়াতে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য গলা ব্যথা ও কাশি প্রশমিত করতে সহায়তা করে। # মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে লবঙ্গ তেলের ইউজেনল যৌগের শক্তিশালী জীবাণুঘটিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা দাঁতের ব্যথা, মাড়ির ঘা ও আলসার মোকাবেলা করতে সহায়তা করে। # স্বাস্থ্যকর হজম ইউজেনল হজমে সাহায্য এবং অন্ত্রের সিস্টেমকে মসৃণ করে লবঙ্গের। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্যও দারুণ কার্যকরী। কারণ এটি স্বাভাবিকভাবেই বিপাককে বাড়িয়ে তোলে। # কোমল ত্বক যেহেতু লবঙ্গ ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে, তাই এটি ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করতে পারে। আপনার খাবারে লবঙ্গ যোগ করলেই ত্বকের রূপান্তর দেখতে পারবেন। দৈনন্দিন রুটিনে লবঙ্গ যুক্ত করার কিছু সহজ উপায় সকালের চা: আপনার সকালের চায়ে ২-৩টি লবঙ্গ যোগ করুন, যাতে ভেতর থেকে উষ্ণতা প্রবাহিত হয়। লবঙ্গ পানি: লবঙ্গ গরম পানিতে ঢেলে দিন এবং তাতে চুমুক দিন। স্যুপ ও ডেজার্ট: ওপরে কিছু লবঙ্গ গুঁড়া ছিটিয়ে স্যুপ ও ডেজার্টগুলোকে আরেকটু সুস্বাদু ও উপকারী করে নিন। আরটিভি/এইচএসকে  
ভেজাল খেজুর গুড় থেকে সাবধান
প্রতি শীত মৌসুমেই বাজারে ছড়িয়ে পড়ে খেজুর গুড়ের সম্ভার। কিন্তু মুশকিল হলো, ভেজালের ভিড়ে আসল গুড় খুঁজে পাওয়াই কঠিন। রং, চিনি, চুন আর বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে খেজুরের গুড়। আর এ ধরনের ভেজাল গুড়ে সয়লাব প্রায় সব বাজার। প্রতি বছর শীত মৌসুম এলেই অধিক মুনাফার লোভে অসাধু ব্যবসায়ীরা এ অসৎ কাজে লেগে পড়েন দীর্ঘদিন ধরে। কেমিক্যাল মিশ্রিত ভেজাল গুড় খেলে দেখা দিতে পারে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা, হতে পারে কিডনি নষ্টসহ ক্যানসারের মতো মরণব্যাধি। তাই খেজুর গুড় কেনার আগে দেখে শুনে বুঝে ভালো গুড় কেনা প্রয়োজন। ভেজাল গুড় খাওয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকি ভেজাল গুড় মিষ্টি স্বাদের করার জন্য অত্যধিক পরিমাণে চিনি মেশানো থাকে। ডায়াবেটিস রোগী ছাড়া অন্যদের এতে তেমন বিপদের আশঙ্কা নেই। কিন্তু গুড়কে আরও গাঢ় করতে যেসব রং ব্যবহার করা হয়, তার থেকেই একাধিক শারীরিক সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। এ ছাড়াও ভেজাল গুড়ে মেশানো হয় চুনসহ বেশ কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক। স্নায়ুতন্ত্রের ওপর বড়সড় আঘাত হানতে পারে ভেজাল গুড়। রাসায়নিক মিশ্রিত এসব গুড় বেশি পরিমাণ খেলে বাড়ে ক্যানসারের আশঙ্কাও।  ভেজাল গুড়ে থাকে এমন কিছু রাসায়নিক যা সরাসরি পেটের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই গুড় খেলে দেখা দিতে পারে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো পেটের সমস্যা। কিছুক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে বমি বা ডায়ারিয়ার মতো সমস্যাও। ভেজাল গুড়ে আর্সেনিক উপাদান থাকে, যা প্রজননজনিত সমস্যা, কিডনির ক্ষতি, মস্তিষ্কের জটিলতা, উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা তৈরি করে থাকে। ক্যামিডয়াম হচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি, হাড়ের ক্ষয়, ক্যানসারের ঝুঁকি ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই গুড় কেনার সময় সাবধান হওয়া জরুরি।  ভেজাল গুড় চেনার উপায় ভেজাল গুড় চেনার ক্ষেত্রে প্রথমেই মনে রাখতে হবে খাঁটি গুড় গাঢ় বাদামি বা প্রাকৃতিক সোনালি রঙের হয়ে থাকে। ভেজাল গুড় দেখতে উজ্জ্বল হলুদ বা লালচে হতে পারে। কারণ, এতে কৃত্রিম রং মেশানো থাকে। গুড় খাঁটি হলে পাটালি গুড় অনায়াসেই ভাঙা হয়। তা দুই আঙুল দিয়ে ঘষলে গলে যাবে। গুড় কেনার আগে একটু চেখে দেখলেও বোঝা যায়। কারণ, স্বাদেই গুড়ের শুদ্ধতা সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব হবে। খাঁটি গুড় খুবই মিষ্টি হয়। অপরদিকে নকল বা ভেজাল মেশানো গুড় ঠিক ততটাও মিষ্টি হয় না। এর স্বাদ কিছুটা নোনতা হয়ে থাকে। তাই গুড় কেনার আগে এর স্বাদ যাচাই করে নিতে হবে।  গুড় খাঁটি না ভেজাল তা জানার জন্য এক টুকরো গুড় পানিতে দিন। খাঁটি গুড় হলে তা অল্প সময়ের মধ্যে গলে যাবে। ভেজাল হলে গুড়ে আলাদা স্তর দেখা যাবে। গুড় গরম করার পর তা থেকে ধোঁয়া উঠলে বা কালো পদার্থ বের হলে সেটি ভেজাল। আরটিভি/ডিসিএনই/এস
অতিরিক্ত ঝালে রয়েছে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি
ঝাল খাবার অনেকেরই পছন্দের হলেও অতিরিক্ত মরিচ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার ফলে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা জানান, মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন উপাদান ঝাল স্বাদের জন্য দায়ী। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে হজমের সমস্যা, পেটের আলসার, অ্যাসিডিটি, এবং অন্ত্রের জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে। তাছাড়া, অতিরিক্ত ঝাল খেলে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা, ফুসকুড়ি ও লালচে দাগ দেখা দিতে পারে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. রাশেদুল হাসান বলেন, ‘অতিরিক্ত ঝাল খাবার গ্রহণে মুখ ও গলায় জ্বালাপোড়া, বুকজ্বালা, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি হজমের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা পেপটিক আলসারের সমস্যা রয়েছে, তাদের ঝাল খাবার থেকে বিরত থাকা উচিত।’ এ ছাড়া বেশি ঝাল খাওয়ার ফলে ঘুমের সমস্যা, উচ্চরক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শিশুরা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঝাল খাবার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পরিমিত ঝাল রাখা উচিত এবং শরীরের সহনশীলতা অনুযায়ী মরিচ খাওয়া উচিত। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আরটিভি/জেএম-টি
শীতের বিকেলে বাড়িতেই বানিয়ে নিন পালংশাকের লুচি
শীত মানেই বাজারে পালংশাক আর মটরশুটি। শীতের বিকেলে গরম কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা, তা-ও যদি হয় আবার গরম গরম লুচি আর আলুর দম তাহলে তো কথাই নেই। শীতকালে মটরশুটির লুচি তো অনেকেই খান, তবে এবার পালংশাকের লুচি ট্রাই করে দেখতে পারেন। গাঢ় সবুজ পালংশাকের লুচি শীতের বিকেলে একেবারে আদর্শ আর স্বাস্থ্যকর নাশতা। রইল রেসিপি- পালংশাকের লুচি তৈরির উপকরণ: ৩ কাপ কুচানো পালংশাক ৩ কাপ গরম পানি আড়াই কাপ ঠান্ডা পানি ১ চা চামচ আদা বাটা ১ চা চামচ রসুন বাটা ১টি ছোট পেঁয়াজ আধা কাপ ধনেপাতা কুচি ১-২টি কাঁচামরিচ কুচি বা স্বাদমতো আড়াই কাপ আটা বা ময়দা আধা চা চামচ জোয়ান (যদি থাকে) ১ চিমটি হিং(যদি থাকে) ৩ টেবিল চামচ সরিষার তেল লবণ ও চিনি (স্বাদমতো) ভাজার জন্য সাদা তেল  (পরিমাণমতো)   প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এতে পালংশাক ৩-৪ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ছেঁকে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। চার মিনিট পর পানি ঝরিয়ে নিন। একটি মিক্সিং জারে পালংশাক, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। একটি পাত্রে এই মিশ্রণে লবণ, চিনি, হাতে গুঁড়ানো ভাজা জোয়ান, তেল ও হিং দিয়ে মেশান। তারপর এতে আটা বা ময়দা মিশিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। হিং ও জোয়ান না থাকলে বাদ দিতে পারেন। মাখা ময়দা কিছুক্ষণ চাপা দিয়ে রেখে ছোট ছোট লেচি কেটে বেলে নিন। সবশেষে গরম তেলে ভেজে তুলে নিন। আলুর দম, মাংস কিংবা ঝাল ঝাল বাহারি ভর্তার সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন পালংশাকের লুচি। এই শীতে পালংশাকের লুচি খেয়ে দেখতে পারেন, স্বাদের জাদুতে মুগ্ধ হবেন। আরটিভি/জেএম/এস
এইচএমপিভির পর আমেরিকায় ছড়াচ্ছে ‘র‌্যাবিট ফিভার’, কী এই রোগ?
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আতঙ্কের মধ্যেই আমেরিকায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ‘র‌্যাবিট ফিভার’। এই রোগের চিকিৎসা পরিভাষা টুলারেমিয়া। শিশু থেকে বয়স্ক— অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। টুলারেমিয়া বা র‌্যাবিট ফিভার কী? র‌্যাবিট ফিভার কোনো ভাইরাসজনিত রোগ নয়। এটি ফ্রান্সিসেল্লা টুলারেনসিস নামক এক অতি সংক্রামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’র (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, খরগোশ ও ইঁদুর জাতীয় প্রাণী থেকে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। মাছি বা অন্যান্য পতঙ্গ, প্রাণীর দেহাবশেষ এবং মলমূত্র থেকেও এই জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। খামারে খরগোশ পালনকারীদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। পোষা খরগোশ থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সংক্রমণের পথ নোংরা ও অপরিষ্কার পানি, বাতাস এবং সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি বা থুতুর মাধ্যমেও এই ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে। বাতাসের পানিকণার মাধ্যমেও দূর-দূরান্তেও জীবাণু পৌঁছাতে পারে। উপসর্গ র‌্যাবিট ফিভারের উপসর্গ ভয়ংকর হতে পারে। এর উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, বমি, পেট খারাপ, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ত্বকে র‍্যাশ ও সংক্রমণ। গুরুতর অবস্থায় ত্বকে আলসার (আলসেরোগ্ল্যান্ডুলার টুলারেমিয়া), লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, চোখে সংক্রমণ (অকুলোগ্ল্যান্ডুলার টুলারেমিয়া) এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণও দেখা দিতে পারে। শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেলে ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হতে পারে। সতর্কতা ও প্রতিরোধ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা, ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত। উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রাস্তাঘাটের কাটা ফল, সালাদ ও ঠান্ডা পানীয় খাওয়া এড়ানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার আরটিভি/জেএম