• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রোজা রেখে রক্ত দেওয়া যাবে কি না, জেনে নিন
হাড়কে মজবুত করতে একাই একশো যে পাতা
বর্তমানে বয়স ত্রিশ হলেই অনেককে হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। যদিও আগে অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয়জনিত এই সমস্যাকে বার্ধক্যের রোগ বলে মনে করতেন বিশেষজ্ঞরা, যা এখন আর বার্ধক্যের রোগ নেই। আর তাই বিশেষজ্ঞরা ৮ থেকে ৮০ বছরের সকলকেই হাড়ের জোর বাড়ানোর পরামর্শ দেন। আর ভালো খবর হলো, এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে অতি পরিচিত ধনেপাতা। তাই আর সময় নষ্ট না করে হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে ধনেপাতার কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।  ১. ইমিউনিটি : আমাদের আশপাশে উপস্থিত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া থেকে বাঁচতে আপনাকে ইমিউনিটি বাড়াতে হবে। তা না হলে যে বারবার জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় পরতে হবে। এবার আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতেই পারে, ঠিক কোন খাবার খেলে বাড়বে ইমিউনিটি? তার উত্তর, আমাদের অতি পরিচিত ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে চাঙ্গা করার কাজে দারুণ কার্যকরি। তাই সুস্থ-সবল জীবন চাইলে ঝটপট এই পাতার শরণাপন্ন হন।  ২. খনিজের ভাণ্ডার : এই পাতায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাসের ভাণ্ডার। আর এই সমস্ত খনিজ হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে বেশ কার্যকর। তাই তো সব বয়সীদেরই নিয়মিত ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত, যারা ইতিমধ্যেই হাড়ের ক্ষয়জনিত অসুখের পড়ে কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের পাতে তো এই পাতা থাকা জরুরি। ৩. ব্লাড সুগার : যাদের হাই ব্লাড সুগারের মতো সমস্যা রয়েছে, তাদেরকে এই অসুখ বশে রাখতেই হবে। আর সেই কাজেও আপনার হাতিয়ার হতে পারে ধনেপাতা। কারণ এই পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ায়। আর শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেলে যে অনায়াসে ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই ডায়াবেটিকদের ডায়েটে এই পাতা থাকা প্রয়োজন। ৪. কোলেস্টেরল : রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হার্ট ডিজিজ, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ থেকে শুরু করে একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে ধনেপাতা। তাই হাইপারলিপিডিমিয়ায় ভুক্তভোগীদের খাবার তালিকায় ধনেপাতা থাকতেই হবে। ৫. কমবে জয়েন্টের ব্যথা : ধনেপাতায় রয়েছে কিছু অত্যন্ত উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদানের ভাণ্ডার যা কি না ব্যথা প্রশমিত করার কাজ করে। তাই অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা গাউট আর্থ্রাইটিসে ভুক্তভোগীরা যত দ্রুত সম্ভব এই পাতার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে। তবে শুধু হাড়ের জোর বাড়ানো নয়, এর পাশাপাশি আরও একাধিক উপকার করে এই পাতা।
যে কারণে ইফতারে রাখবেন স্বাস্থ্যকর দই-চিড়া
রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে হলুদের ঘরোয়া প্যাক
লিপস্টিক কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যে বিষয়গুলো
রোজায় পান করবেন যে ধরনের শরবত ও পানীয়
ঈদের কেনাকাটায় মনে রাখবেন যেসব বিষয় 
ঈদুল ফিতর মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব। সারা বছর সবাই এই বিশেষ দিনের জন্য অপেক্ষা করেন। এই দিনকে ঘিরে থাকে নানান পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার বড় একটি অংশ ঈদের কেনাকাটা করা। আর ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হয় যখন প্রিয়জনের জন্য কেনাকাটা করা যায়। কিন্তু সেসব কিছু কিনতে যাওয়ার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। নয়তো আপনার কষ্টের টাকা সঠিকভাবে খরচ নাও হতে পারে। সবকিছুরই একটি পরিকল্পনা থাকা ভালো। এতে সে অনুযায়ী কাজ শেষ করা সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঈদের কেনাকাটার আগে কোন বিষয়গুলো খেয়াল করা জরুরি- সঠিক পরিকল্পনা : কেনাকাটা করার আগে ঠিকভাবে তালিকা তৈরি করে নিতে হবে। আপনি কী কিনতে চান, কোনটি আপনার বেশি প্রয়োজন, কোনটি কম প্রয়োজন, সেই গুরুত্ব অনুযায়ী তালিকা সাজাতে হবে। তাহলে কেনাকাটা করতে সুবিধা হবে। অনেক সময় দেখা যায়, তাড়াহুড়োয় অপ্রয়োজনীয় জিনিসও কেনা হয়ে যায়। এভাবে তালিকা সাজিয়ে নিলে আর সেই ভয় থাকবে না। বাজেট নির্ধারণ : কেনাকাটার জন্য আপনি কত বাজেট রাখবেন, সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে। নয়তো পরে দেখা যাবে, অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়ে গেছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আর টাকা নেই। তখন সমস্যায় পড়তে হবে। তাই আপনার সামর্থ্য বুঝে খরচ করুন। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে বাজেট করবেন না। অর্থের অপচয় না করা : ঈদে সবাই অনেক কেনাকাটা করে, এটা ঠিক। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, অর্থের খুব বেশি অপচয় যেন না হয়। অপচয় না করার জন্য ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে। কেনাকাটার ক্ষেত্রেও আপনাকে সংযম ধরে রাখতে হবে। কেনাকাটার জায়গা নির্ধারণ : সবার সব জায়গা থেকে কেনাকাটা করার সামর্থ্য থাকে না। তা ছাড়া প্রয়োজনীয় সব জিনিসও সব জায়গায় পাওয়া যায় না। তাই আপনার সামর্থ্য এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কোন মার্কেট থেকে কী কিনবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখবেন। এতে আপনার সময় বাঁচবে অনেকটাই। আপনাকেও রোজা রেখে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে হবে না। আরামদায়ক পোশাক কেনা : ঈদ উপলক্ষে কেনা হলেও সেই পোশাক আমরা সারা বছরই কমবেশি পরে থাকি। তাই পোশাকটা যেন আরামদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক টাকা দিয়ে ভারী জামা কিনে রেখে দিলে সেই পোশাক পরবর্তী সময়ে আলমারিতেই থেকে যাবে। তাই এমন পোশাক কিনুন, যা আরামদায়ক এবং সবসময় ব্যবহারের উপযোগী। যাচাই করে কেনা : যেকোনো জিনিস কেনার সময় যাচাই-বাছাই করে কিনতে হবে এবং ক্রয়ের রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। যাতে ঠিকঠাক জিনিস ক্রয় করা যায় কিংবা প্রয়োজনে বদলানো যায়। এই সুযোগ থাকলে আপনার পোশাক কিনে ঠকে যাওয়ার ভয় থাকবে না।  পোশাকের দাম সম্পর্কে ধারণা রাখা: ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটার আগে যা কিনবেন তার দাম সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ এ সময়টাতে সব কিছুর দামই অনেকটা বাড়িয়ে বলা হয়। তাই দাম সম্পর্কে ধারণা থাকলে কেনাকাটা করতে সহজ হবে।   আত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য কেনাকাটা : বাজেটের একটা অংশ রাখতে হবে নিকাত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য। উপহার আদান-প্রদানে সম্পর্ক আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য কেনাকাটা করুন। তাদের খুশি দেখে আপনার মনও ভালো থাকবে। সতর্কতা অবলম্বন : ঈদের সময় মার্কেটে খুব ভিড় থাকে। এ সময় পকেটমার, ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। তাই অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেন টাকাপয়সা, মোবাইল বা কোনো প্রয়োজনীয় জিনিস হারিয়ে না যায়।
হঠাৎ বেড়েছে সর্দি-কাশি-জ্বর, নিরাময়ে কিছু ঘরোয়া উপায়
আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জ্বর ও সর্দি-কাশির মতো ঠান্ডাজনিত অনেক রোগের প্রকোপ বাড়ে। খুব বড় কোনো সমস্যা না হলে যার জন্য সাধারণত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না, নিজে নিজেই সেরে যায়। কিন্তু এ বছর যেন এর ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে। চারদিকে বেড়ে গিয়েছে জ্বর, গলাব্যথা, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার মতোন সমস্যা। নানা নিয়মকানুন মেনে বা ওষুধ খেয়েও মিলছে না শান্তি। চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই বাড়তে থাকে এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব, যা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়; যা এখনো চলমান। অধিকাংশ রোগীদের ঠান্ডা-কাশির সঙ্গে গলাব্যথা ও জ্বর থাকে। হালকা মাত্রার ঠান্ডা-কাশি থেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়েও অনেকেই ভুগছেন। জ্বরের মাত্রা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কম হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে অনেক বেশি মাত্রার জ্বর হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এসব রোগীদের সুস্থ্য হতে এবং কাশি ভালো হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে মাসও লেগে যাচ্ছে। আর এ সময়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পরছেন নাক বন্ধের সমস্যা নিয়ে। যার কারণে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, ঠিকভাবে ঘুম হয় না। মাথা ধরে থাকে সারাক্ষণ।  চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন নাকের ড্রপ ব্যবহার করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন ড্রপ না নিলে ঘুম আসতে চায় না। তার চেয়ে বন্ধ নাক খোলার জন্য ঘরোয়া উপায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। চলুন জেনে নিই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়, যেগুলো করলে বন্ধ নাক খোলার ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে- আদা পুদিনার চা : এক কাপ পানিতে আদা থেঁতো করে দিয়ে ফুটিয়ে নিন মিনিট পাঁচেক। চা ছেঁকে নিয়ে তাতে কয়েকটা তাজা পুদিনা পাতা দিন। ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। এতে আরাম পাবেন। রসুনমিশ্রিত পানি : এক কাপ পানিতে ২-৩ কোয়া রসুন আর আধ চামচ হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই পানি ছেঁকে পান করলে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে। জোয়ান : মাঝারি আঁচে ফ্রাইং প্যান গরম করুন। এক মুঠো জোয়ান শুকনো প্যানে ভাজতে থাকুন। জোয়ানোর রং গাঢ় হলে এবং সুগন্ধ বেরোলে নামিয়ে নিন। একটি পরিষ্কার কাপড়ে এই ভাজা জোয়ান বেঁধে নাকের কাছে ধরে রাখুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, যাতে এর গরম ভাপটা নাকের ভেতরে পৌঁছায়। গোলমরিচ : হাতের তালুতে অল্প একটু গোলমরিচ গুঁড়া এবং সামান্য সরিষার তেল দিন। আঙুলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নাকের কাছে ধরুন। হাঁচি হবে। সেই সঙ্গে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে। সরিষার তেল নাকে দিয়ে টানলেও বন্ধ নাক খুলে যায় এবং নাক পরিষ্কার হয়। গরম পানিতে গোসল : নিয়মিত গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। গরম পানি দিয়ে গোসল করলে বন্ধ নাক খুলে যায়। এর পাশাপাশি, যতটা সম্ভব গরম পানীয় খেতে পারেন। মাস্ক পরুন : শহরের দূষিত বাতাস থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতে মাস্ক পরার বিকল্প নেই। তাজা ফলমূল খান: ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ‘সি’যুক্ত তাজা ফলমূল খান। ইউক্যালিপটাস তেল : বন্ধ নাক খুলতে কাজে লাগাতে পারেন ইউক্যালিপটাস অয়েল। একটা বড় পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিন ভালোভাবে। তারপর গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে সেই ভাপটা নিন। মাথার ওপর থেকে টাওয়েল ঢাকা দিয়ে গরম পানি থেকে উঠতে থাকা বাষ্প নাক-মুখ দিয়ে টানতে থাকুন। নাক দিয়ে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। ভাপ নেওয়ার সময় চোখ অবশ্যই বন্ধ রাখুন। এ ছাড়াও বিশ্রাম নিন। প্রচুর তরল পান করুন। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
জিহ্বা পরিষ্কার করা যে কারণে জরুরি
অনেকে ভাবেন, দাঁত নিয়মিত পরিষ্কার করলেই মুখের ভেতরের বাকি যত্নও নেওয়া হয়ে যায়। আলাদা করে আর কিছু পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই। তবে নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করা না হলে মুখে দুর্গন্ধ, মাড়ির সমস্যাসহ নানারকম অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মুখের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আপনাকে নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে। জিহ্বা পরিষ্কার না করলে পেটের সমস্যাসহ নানা অসুখ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার যে কারণে জরুরী- অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনাকে অবশ্যই জিহ্বা পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে আপনার মুখে জমে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যাবে। যে কারণে শরীর সুস্থ রাখা সহজ হবে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি একটি কাজ। তাই নিয়ম মেনে এটি করতে হবে। হালকা গরম পানিতে কুলকুচি- প্রতিদিন অন্তত দুইবার হালকা গরম পানিতে কুলকুচি করার অভ্যাস করুন। এই অভ্যাসের ফলে জিহ্বা পরিষ্কার হবে। জিহ্বা ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে ব্যাকটেরিয়া পেটে চলে যেতে পারে। যেখান থেকে দেখা দিতে পারে শরীরের নানা রকম ক্ষতি। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। দুর্গন্ধ ও আলসার- জিহ্বা যদি নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয় তাহলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে এবং সেইসঙ্গে দেখা দিতে পারে আলসারের সমস্যাও। এর ফলে দেখতে পারে দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক সমস্যাও। তাই মুখে দুর্গন্ধ ও আলসার দূর করার জন্য আপনাকে নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে। তরল পরিষ্কারক ব্যবহার- বাজারে বিভিন্ন প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডের তরল পরিষ্কারক পাওয়া যায়। যেগুলো দিয়ে কুলকুচি করলে তা সহজেই জিহ্বা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। প্রয়োজনে আপনি সেসব তরলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা কেনার আগে অবশ্যই সেই পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেবেন।
নারীদের ত্রিশ পরবর্তী পুষ্টি ভাবনা 
আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারী সাধারণত নিজের জন্য ভাবার সময় পান না। পরিবারের সবার যত্ন নিলেও নিজের প্রতি যত্নটা আর নেওয়া হয় না তাদের। আর এ অযন্তের জন্য নানা রকম স্বাস্থ্যসমস্যা শুরু হয়ে যায় ত্রিশের পর থেকে। যেমন হাড়ক্ষয়, বলিরেখা পড়ে যাওয়া, শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা, হরমোনের সমস্যাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের জটিলতা। তাই এ সময় খাদ্যগ্রহণে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে জীবনযাপন পদ্ধতিতেও। এ সময়ে কোন খাবারগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে জেনে নিন। আয়রন: অনেক নারীই এই বয়সে বেশ ক্লান্ত বোধ করেন। এর অনেক কারণও আছে। তবে এমনটা হলে সবার আগে খাবারের দিকে খেয়াল করবেন। আপনি যদি ভীষণ ক্লান্তি বোধ করেন, তবে খাবারের তালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করতে হবে। বয়স ত্রিশ পার হলে নারীদের প্রচুর আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে। ক্যালসিয়াম: হাড় ভালো রাখার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তার কথা কম-বেশি শুনে থাকবেন। তবে কেবল শক্তিশালী হাড়ের জন্যই নয়, ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় আমাদের শরীরের সামগ্রিক শক্তির জন্য, পেশীর শিথিলতার জন্য এবং স্নায়ুর কার্যকারিতার জন্যও। তাই নারীকে ত্রিশের পরে প্রচুর ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে নিয়মিত। ভিটামিন ডি: নারীর হরমোনের ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো ভিটামিন ডি। সেইসঙ্গে এটি মন ভালো রাখতে সাহায্যও করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি শরীরে পৌঁছলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এ কারণে নারীকে ত্রিশের পরে বেশি করে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। সেইসঙ্গে রোদ থেকেও এই ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে। ফোলেট: নারীর সুস্থতার জন্য ফোলেট যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি তাকে সুস্থতার পথে একধাপ এগিয়ে নেয়। বিশেষ করে যারা নতুন মা হয়েছেন তাদের জন্য ফোলেট এমন একটি ভিটামিন যা অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। তাই ত্রিশ পার হলে নারীকে এদিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। ওমেগা ৩: সুস্থতার জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য, মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন নারী যখন বয়স ত্রিশ বছর পার করবেন তখন অবশ্যই ওমেগা ৩ জাতীয় খাবার রাখতে হবে খাবারের তালিকায়।
পাউরুটি দিয়েই হবে সুস্বাদু রসমালাই
যারা মিষ্টি পছন্দ করেন রসমালাই তাদের কাছে খুব লোভনীয় একটি পদ। অনেকেই ইফতারে ভাজাপোড়া খাবারের পাশাপাশি মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। আর মিষ্টির   স্বাদে ভিন্নতা আনতে আপনি নিজের হাতেই বানিয়ে দিতে পারেন পাউরুটির রসমালাই। জেনে নিন রেসিপি। যা যা লাগবে- পাউরুটি ৬ টুকরা দুধ এক লিটার কনডেন্সড মিল্ক দুই টেবিল চামচ এলাচ তিনটি কাঠবাদাম কুচি আটটি কাজুবাদাম নয়টি পেস্তাবাদাম সাতটি এক চিমটি জাফরান চিনি পরিমাণমতো যেভাবে বানাবেন- প্রথমে কড়াইয়ে দুধ দিয়ে বেশি আঁচে জ্বাল দিয়ে নিন। এবার চুলার আঁচ কমিয়ে দুধ শুকিয়ে অর্ধেক পরিমাণ করে নিতে হবে। অর্ধেক হয়ে গেলে তাতে এলাচ, চিনি, কনডেন্সড মিল্ক, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, জাফরান দিয়ে জ্বাল দিন।  মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে দুধের পরিমাণ কমিয়ে আরো ঘন করে নিতে হবে। এরপর চুলা বন্ধ করে দুধ নামিয়ে ফেলুন। এবার পাউরুটির টুকরাগুলো গোল করে কেটে সাজিয়ে নিন। দুধ ঠান্ডা হলে পাউরুটির ওপর ঢেলে দিন।  দুধ গরম অবস্থায় দিলে রুটি ভেঙে যেতে পারে, তাই ঠান্ডা হলে দিতে হবে। এবার ওপরে কিছু কাজুবাদাম, কাঠবাদাম কুচি ছিটিয়ে দিন। এবার পরিবেশন করতে পারেন। চাইলে এটি ফ্রিজে রেখেও খেতে পারেন।
ইফতারে স্বাস্থ্যকর স্প্রাউট সালাদ
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আর তাই ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত স্প্রাউট সালাদ রাখতে পারেন। স্প্রাউড সালাদ সাস্থ‍্যের জন‍্য খুবি উপকারী। স্প্রাউডে ভিটামিন এ,বি,সি ভরপুর। এ ছাড়াও এ সালাদটি হজম শক্তি বাড়ায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক স্প্রাউট সালাদের রেসিপি। যা যা লাগবে- অঙ্কুরিত ছোলা আধা কাপ সবুজ অঙ্কুরিত মুগ ডাল সবুজ পেঁয়াজ (পেঁয়াজ শাকের পেঁয়াজ) ৪টি ১টা ছোট গাজর ক‍্যাপসিকাম আধা কাপ ডাবের শাঁস ১/৪ ভাগ শসা অর্ধেক টমেটো ১টি লেবু ১টি  আধা চা চামচ আমচুর পাউডার আধা চামচ গোলমরিচের গুঁড়া বিট লবণ স্বাদমতো  চিনা বাদাম ২ চা চামচ  ধনেপাতা, পুদিনা পাতা সামান্য পরিমাণ   যেভাবে তৈরি করবেন- প্রথমে একটি বাটিতে ছোলা আর মুগডাল ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ৮ ঘণ্টা পর পানি থেকে তুলে একটা ভেজা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে আরও ৮ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর তোয়ালে তুললেই দেখবেন অঙ্কুর বেড়িয়েছে। আপনি যদি চান আরও একটু বেড়ে উঠুক, তাহলে তোয়ালে ভিজিয়ে আবারও ৮-১০ ঘণ্টা রেখে দিলেই দেখবেন বেশ খানিকটা বড় হয়েছে। এবার এগুলোকে আধাঘণ্টার জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এবার সালাদ তৈরির পালা।  এর জন্য সবগুলো সবজি ধুয়ে কুচি করে কেটে একটি বাটিতে নিন। এরপর সবজি, অঙ্কুরিত ছোলা, ডাল, বিটলবণ, আমচুর পাউডার, বাদাম, সবুজ পেঁয়াজ, লেবুর রস মিশিয়ে হালকা করে মাখিয়ে নিতে হবে। এবার ওপর থেকে গোলমরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে দিন। ডেকোরেশনের জন্য ক্যাপসিকাম গোল করে কেটে নিয়ে তার মাঝখানে গোলাপ ফুলের শেইপে টমেটো কেটে মাঝখানে বসিয়ে দিন। দেখতে বেশ লাগবে।
‘স্লিপ ডিভোর্স’ দাম্পত্য জীবনে কার্যকর কি না, জানালেন মনোবিদরা
বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া এবং নিশ্বাস নেওয়ার মত ঘুম আমাদের জীবনে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তবে নানা কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এই ব্যাঘাত যেন না ঘটে সেজন্য অনেক দম্পতি বিয়ের পর আলাদা ঘুমান। এটাই ‘স্লিপ ডিভোর্স’। কিন্তু কেন জরুরি এই ঘুম-বিচ্ছেদ, এর ফলে কী কোনো উপকার আছে কি না জেনে নেওয়া যাক।   ঘুমের ‘মান’ বাড়ায়: জাপানিদের দেখা যায় ছোট ছোট বিছানায় ঘুমায়। বলা চলে একা ঘুমানো তাদের ঐতিহ্য। ঐতিহাসিক আর সাংস্কৃতিকভাবেই জাপানিরা সাধারণত একা ঘুমান। কোনো কিছুর জন্যই তারা ঘুমের মান বিসর্জন দিতে প্রস্তুত নন। কেননা সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম খুবই জরুরি। কাস্টমাইজড স্পেস: একেকজনের ঘুমের অভ্যাস একেক রকম। কেউ আলো জ্বালিয়ে ঘুমান, কেউ আলো মোটেই সহ্য করতে পারে না। কেউ এসি ছেড়ে ঠান্ডায় কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমায়, কারও কারও আবার এসি ‘সহ্য’ হয় না। কারও কারও ঘুম খুবই পাতলা। ফলে নিজের মতো করে ঘুমের একটা পরিবেশ তৈরি করেন। সন্তানের জন্য: শিশুর জন্য অন্তত দুই বছর পর্যন্ত মায়ের কাছে ঘুমানো খুবই জরুরি। বুকের দুধ খাওয়ার পাশাপাশি মায়ের কোল, মায়ের পাশে ঘুমানো, মায়ের ‘ওম’-এ থাকা খুবই জরুরি। নানা কারণে বারবার বাবু ঘুম থেকে উঠে যাওয়ায় জীবনসঙ্গীর ঘুমের অসুবিধার কারণেও অনেক সময় স্লিপ ডিভোর্স হয়। জীবনসঙ্গী আলাদা ঘুমান। তবে নতুন মায়ের এমন সংকটের সময় শিশুর বাবার উচিত দায়িত্ব যতটা সম্ভব ভাগাভাগি করে নেওয়া। ন্যাপি, কাঁথা বদলে দেয়া। কোলে নিয়ে ঘুরে ঘুরে ঘুম পাড়ানো। তবে একেবারেই যদি তিনি কোনো সাহায্য না করতে পারেন, তাহলে আলাদা ঘুমানোই সমীচীন। সার্বিক সুস্থতা, স্বস্তি : অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমানোর ফলে তাদের ঘুম ভালো হওয়া, নিজেদের স্বাস্থ্য ভালো থাকা, সারা দিন এনার্জি নিয়ে পার করা থেকে শুরু করে নিজেদের সম্পর্কে ভারসাম্য রাখাও সহজ হয়। তবে দাম্পত্ব জীবন সুখী করতে হলে জীবনসঙ্গীকে নিয়ে একসঙ্গে আরামে ঘুমানো সবচেয়ে ভালো। সম্পর্কের গভীরতার জন্য শারীরিকভাবে কাছাকাছি থাকার কোনো বিকল্প নেই। ঘুমবিশেষজ্ঞ ও মনোবিদ ডা. ওয়েন্ডি ট্রক্সেল একই বিষয়ে সিএনএনের একটা প্রতিবেদনে বলেন, ‘জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ঘুমানো দুজনকেই সম্পর্কে গভীর নিরাপত্তার অনুভূতি দেয়। এ ছাড়া ঘুমের আগে আলিঙ্গন করা, যৌন সম্পর্ক বা হালকা গল্প করা, চুমু খাওয়া-এসবের ফলে হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ হয়। আর তা অনেকক্ষণ পর্যন্ত শরীরে থাকে। ফলে ঘুমের মানও ভালো হয়।’ এই মনোবিদ আরও জানিয়েছেন, আলাদা ঘুমানোর ফলে সম্পর্কে ছন্দপতন ঘটে। ভুল-বোঝাবুঝির আশঙ্কা তৈরি হয় বেশি। এমনকি একে অপরকে অকারণে সন্দেহ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় সহজেই। তাই কী কারণে আলাদা ঘুমানোর প্রয়োজন, সেটা আগে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক। আলাদা ঘুমানোটা এরপরের ধাপের বিকল্প।