ফেলে দেওয়া টি-ব্যাগের যত ব্যবহার
সহজে ব্যবহার করা যায় বলে টি-ব্যাগের চাহিদা সব সময়ই বেশি। তবে সচরাচর চা পান শেষ হলে ব্যবহার করা টি-ব্যাগ ফেলেই দেওয়া হয়। কিন্তু জানেন কি, ব্যবহৃত টি-ব্যাগ কতরকম কাজে লাগতে পারে। ক্লান্তি দূর করতেও যেমন এর জুড়ি মেলা ভার, তেমনই ব্রণ সারাতেও পারে এটি৷ আবার গাছের সার হিসেবেও এই জিনিস অপরিহার্য। আমরা অনেকেই জানি না, ব্যবহারের পর টি ব্যাগটি আমাদের কি কাজে আসতে পারে।
জেনে নিন ফেলে দেওয়া টি-ব্যাগের ব্যবহার—
সৌন্দর্যচর্চা: প্রথমেই বলতে হয় সৌন্দর্যচর্চায় ব্যবহারের কথা। ফেসস্ক্রাব হিসেবে টি ব্যাগের চা পাতাগুলো খুব কাজে দেয়। নিয়মটা একেবারেই সহজ। ব্যবহার করা টি ব্যাগটা কেটে চাপাতার গুঁড়াগুলো বের করে আনুন। সেগুলোতে এক চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। এবার সেটা সারা মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন।কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে। এর মধ্যে পেস্ট শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ক্লান্তি দূর করতে: চা পান শেষে টি-ব্যাগ ফেলে না দিয়ে টি-ব্যাগটি ফ্রিজে তুলে রাখুন। অফিস থেকে ফিরে খুব ক্লান্ত লাগলে চোখের ওপর ঠান্ডা টি-ব্যাগ দুটো আলতো করে রাখুন। চোখের ক্লান্তি, ফোলাভাব নিমিষেই দূর হবে।
ব্রণের সমস্যা মেটাতে: ব্রণের সমস্যায় জেরবার হতে হয় বয়ঃসন্ধিতে পা রাখা ছেলেমেয়েদের। নানা ধরনের ক্রিম থেকে শুরু করে ঘরোয়া হাজারো টোটকাতেও সমস্যার সমাধান মেলে না। ব্রণ তাড়াতেও টি-ব্যাগ খুব কাজে লাগতে পারে। তবে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে তবেই ব্রণের ওপর টি-ব্যাগ ঘষতে হবে। চায়ের উপাদানেই সারবে ব্রণ। এক্ষেত্রে গ্রিন টি-ব্যাগ হওয়াই শ্রেয়।
বাসন ঝকঝকে করতে: টি-ব্যাগ দিয়ে বাসনকোসন বেশ ভালোভাবে পরিষ্কার করা যায়। বিশেষত সাবানে যাদের অ্যালার্জি আছে তারা হাতে সাবান না লাগিয়ে, টি-ব্যাগ দিয়েই কাজ চালাতে পারেন। কাচের গ্লাসের দাগ মুছে ফেলতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
কাটা-ছেঁড়ায় অ্যান্টিসেপটিক: দাড়ি কাটতে গিয়ে অনেকসময় গাল কেটে যায়। এক্ষেত্রে কোনও কৃত্রিম অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার না করে ব্যবহৃত টি-ব্যাগ কাজে লাগানো যেতে পারে। ফ্রিজে রাখা টি-ব্যাগ কেটে যাওয়া চামড়ার ওপর চেপে ধরে রাখলে রক্ত পড়া বন্ধ হবে। জ্বালাভাবও কমবে৷ চায়ে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এক্ষেত্রে অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে।
দুর্গন্ধ তাড়াতে: টি-ব্যাগ যে কোনও রকম গন্ধ তাড়াতে পারে। রান্নাঘরের মাছ বা রসুনের কড়া গন্ধ তাড়াতে টি-ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ফ্রিজের দুর্গন্ধ কাটাতেও ব্যবহার করা টি–ব্যাগ রাখলে কাজ হয়। অনেকে ঘরে সিগারেটের গন্ধ কাটাতে অ্যাশট্রেতেও টি-ব্যাগ রেখে দেন। দু’একফোঁটা পছন্দের সুগন্ধি টি-ব্যাগে দিলে চমৎকার রুম ফ্রেশনারের কাজ করে।
বাগানের পরিচর্যা: যাদের বাগানের শখ আছে, তাদের কাছে টি-ব্যাগ আদর্শ। গাছের সার হিসেবে মাটি তৈরিতে টি-ব্যাগ ব্যবহার করেন অনেকেই। বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকের আক্রমণের হাত থেকেও গাছকে বাঁচায় এই টি-ব্যাগ।
মন্তব্য করুন