আজকের দিনে স্টাইল শুধু বড়দের একচেটিয়া নয়—ছোটরাও এখন ফ্যাশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিশুরাও এখন স্টাইলিশ পোশাকে অভ্যস্ত, আর তাই অভিভাবকদের মধ্যেও বেড়েছে সচেতনতা।
আরাম ও স্টাইলের মেলবন্ধন
শিশুদের পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আরাম। তবে এখনকার ব্র্যান্ডগুলো আরামের সাথে স্টাইলকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। সফট কটন, অর্গানিক ফেব্রিক আর স্কিন-ফ্রেন্ডলি ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ঝকঝকে, ট্রেন্ডি পোশাক।
রঙে রঙিন শৈশব
আজকাল শিশুদের পোশাকে দেখা যাচ্ছে প্যাস্টেল শেড, কার্টুন প্রিন্ট, টাই-অ্যান্ড-ডাই ডিজাইন, এমনকি মিনিমাল ফ্যাশনের ছোঁয়াও। ছেলেদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে ছোট্ট বোম্বার জ্যাকেট, ট্রেন্ডি হুডি, বা মিনি ব্লেজার। মেয়েদের জন্য ফুলেল ফ্রক, ডেনিম স্কার্ট, কুর্তি-লেগিংস কিংবা ছোট্ট স্টাইলিশ সালোয়ার-কামিজ তো রয়েছেই।
স্টাইলিশ অ্যাকসেসরিজ
শিশুদের স্টাইল সম্পূর্ণ হয় জুতার সঙ্গে। ছোট স্নিকার্স, স্যান্ডেল, বা ফ্যাশনেবল মোজা—সবই এখন মেলে রঙ-বেরঙে। এছাড়াও ছোটদের চশমা, হেয়ারব্যান্ড, টুপি বা ছোট ব্যাকপ্যাকেও এসেছে ট্রেন্ডের ছোঁয়া।
উৎসবে শিশুরাও থাকুক সবার নজরে
পূজা, ঈদ বা জন্মদিন—শিশুদের জন্য তৈরি হয় বিশেষ কালেকশন। ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সঙ্গে ট্রেন্ডি কাট ও ডিজাইনের মিশেলে তৈরি হচ্ছে ফিউশন স্টাইল, যা ছোটদের দেয় একটা রঙিন ও স্মার্ট লুক।
শীতের দিনেও চাই আরামের সাথে স্টাইল
শিশুদের পোশাক বাছাইয়ের সময় প্রাধান্য দিতে হবে আরামকে। শীতের পোশাক যেন তাপ ধরে রাখে কিন্তু ভারি না হয়—সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। হুডি, সোয়েটার, জিপার জ্যাকেট কিংবা স্নাগ ফিটেড থার্মাল ইনার হতে পারে বাচ্চাদের শীতকালীন স্টাইলের প্রথম ধাপ।
বাবা-মায়ের করণীয়
স্টাইল বাছাইয়ের সময় মনে রাখতে হবে—শিশুর আরাম ও নিরাপত্তা আগে। সিনথেটিক না হয়ে যেন ফেব্রিক হয় সুতির বা আরামদায়ক। সঠিক সাইজ বেছে নেওয়াও জরুরি, যাতে শিশুর চলাফেরা সহজ হয়।
ফ্যাশন এখন বয়স দেখে না। শিশুরাও হয়ে উঠুক ছোট্ট স্টাইল আইকন—আর তাই, তাদের পোশাকেও থাকুক স্টাইল!
আরটিভি/জেএম