পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩০ ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েন চায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এই বিধিমালা প্রণয়নের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী, ওই অঞ্চলের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে প্রথম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠন করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এই বিধিমালা প্রণয়ন করা গুরুত্বপূর্ণ।
সভায় জানানো হয়, তিন পার্বত্য জেলার সরকারি দপ্তরগুলো পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরের কাজ এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদে ৩০টি দপ্তর, খাগড়াছড়িতে ২৯টি ও বান্দরবানে ২৮টি দপ্তর ও বিভাগ হস্তান্তর করা হয়েছে। সভায় পার্বত্য অঞ্চলের সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার করা ২৪০টি ক্যাম্পের মধ্যে ৩০টি ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েন করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিধিমালা দ্রুত চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কুকি–চিনের বিরুদ্ধে যেকোনো মূল্যে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তারা পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ও কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এতে অংশ নেন কমিটির সদস্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা ও কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এ ছাড়া বিশেষ আমন্ত্রণে সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা বৈঠকে অংশ নেন।