শাহবাগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ‘শাপলা চত্বরের ঘটনার সহায়তাকারী’ দাবি করে তাদের বিচার চেয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বুধবার (২৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এ বিচার দাবি করেন।
বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ার মদতে শাহবাগে ইসলামবিদ্বেষী গণশত্রুরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ন্যায়বিচার ধ্বংস করে ফ্যাসিবাদ কায়েমে একাট্টা হয়েছিল। সেই শাহবাগ ঘিরে আধিপত্যবাদী ইন্ডিয়ার আগ্রাসী চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেয় হেফাজতে ইসলাম। এর চরম মূল্য হিসেবে হেফাজতের ৫ মে শাপলার গণজমায়েতকে রাতের আঁধারে নির্মম গণহত্যার শিকার হতে হয়। শাপলা চত্বরে তাহাজ্জুদরত রাসুলপ্রেমিক নিরীহ তৌহিদি জনতার ওপর সেই রাষ্ট্রীয় হত্যালীলায় সমর্থন ও উসকানি দিয়েছিল একদল ফ্যাসিস্ট শাহবাগী বাম ও উগ্র সেক্যুলার গোষ্ঠী। ইন্ডিয়ার ক্রীড়নক ও শাপলার গণহত্যার সমর্থক সেই শাহবাগীদেরও আজ বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, শাপলা চত্বরের প্রতিরোধ চেতনায় অনুপ্রাণিত তৌহিদি জনতা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেছিল। ৮৪ জনেরও অধিক মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক শহীদ হন। সেই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার মধ্য দিয়ে আপামর ছাত্র-জনতা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করেছে। আজকে জুলাইয়ের সেই ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী চেতনা এবং ঐক্য ধরে রেখে ফ্যাসিবাদের চিহ্নিত দোসর ইসলামবিদ্বেষী বাম ও সেক্যুলারদের আস্ফালন ব্যর্থ করে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা দেশের ও আলেম নেতৃবৃন্দকে ‘মৌলবাদী’ বলে গত দেড় দশকের পুরনো ভারতীয় ও আওয়ামী বয়ানে সুর মিলিয়ে কটাক্ষ করেছেন, যা উদ্বেগজনক। আওয়ামী ও ভারতীয় বয়ানে কথা বললে দেশবাসীর কাছে প্রত্যাখ্যাত হবেন। সুতরাং এসব আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ভাষা ব্যবহার থেকে তাদের বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।