‘লিভিং ঈগল’খ্যাত বিমান বাহিনীর সাবেক পাইলট ও পাবনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল আজম মারা গেছেন, ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
রোববার (১৪ জুন) সকালে ঢাকার মহাখালী ডিএসএইচও’র তার নিজ বাস ভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন তিনি নানান জটিল রোগে ভুগছিলেন।
সাইফুল আজমকে লিভিং ঈগল বলা হয়। ১৯৬৭ সালের ইরাক যুদ্ধে অংশ নেন তিনি। যুদ্ধে একটি ইসরাইলি বিমান ভূপাতিত করেন এবং আরেকটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম হন।
১৯৪১ সালে পাবনা জেলার খগড়বাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই সাইফুল আজম।
উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ১৯৫৬ সালে উচ্চতর শিক্ষার্থে পশ্চিম পাকিস্তান যান। ১৯৬০ সালে জিডি পাইলট ব্রাঞ্চের একজন পাইলট হন তিনি।
১৯৭১ সালের পূর্বে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগ দেন।
পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ৬ জুন তাকে ইরাকি বিমান বাহিনীতে বদলি করা হয়। বিমানঘাঁটি আক্রমণের সময় তিনি পশ্চিম ইরাকে ছিলেন।
সাইফুল আজম তার বর্ণাঢ্য জীবনে নিজেই কিংবদন্তির ইতিহাস রচনা করেছিলেন। পৃথিবীর ২২ জন ‘লিভিং ঈগলের’ মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
এদিকে আইএসপিআর জানায়, সোমবার (১৫ জুন) দুপুর পৌনে ২টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার এর প্যারেড গ্রাউন্ডে (বিগটপ হ্যাঙ্গার) সাইফুল আজম সুজার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তার বিদেহী আত্মার সম্মান জানাতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একটি ফ্লাই পাস্টের আয়োজন করে।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাতসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিনিধি এবং সব পদবির সদস্যরা। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ শাহীন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এমকে/সি