সাত খুন মামলায় নিয়মিত ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু

সোমবার, ২২ মে ২০১৭ , ০৩:২৫ পিএম


সাত খুন মামলায় নিয়মিত ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

শুনানির শুরুতে পেপারবুক পাঠ শুরু করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ মান্নান মোহন।

বিজ্ঞাপন

আলোচিত সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল শুনানির জন্য গেলো ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করে হাইকোর্ট।

প্রধান বিচারপতি এ মামলা দ্রুত শুনানির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন।

এরপর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা থেকে পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য মামলার সব নথি বিজি প্রেসে পাঠানো হয়। এরপরই বিজি প্রেস পেপারবুক প্রস্তুত করে। প্রস্তুতকৃত পেপারবুকটি প্রায় ছয় হাজার পৃষ্ঠার।

বিজ্ঞাপন

সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, মাসুদ রানা, এমদাদুল হক (হাবিলদার), বেলাল হোসেন, আবু তৈয়ব, শিহাব উদ্দিন, এসআই সুনেন্দু বালা, পূর্ণেন্দু বালা, আসাদুজ্জামানূর, মূর্তজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান বিপু, আবুল বাশার ও রহম আলী হাইকোর্টে নিয়মিত আপিল ও জেল আপিল দায়ের করেন।

এ মামলায় গেলো ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র‌্যাবের বরখাস্তকৃত তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যৃদণ্ড দেন।

এ মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আসামির মধ্যে ১১ জন এখনো পলাতক।

২২ জানুয়ারি ১৬৩ পাতার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ওইদিনই পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি, জুডিশিয়াল রেকর্ড, সিডিসহ বিভিন্ন নথিপত্র (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পৌঁছে দেয় বিচারিক আদালত।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।

আর/জেএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission