• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo

জাবিতে বন্যার্তদের সহায়তায় ‘বটতলা বিতর্ক’

জাবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৯ আগস্ট ২০২৪, ২১:১৭
ছবি : আরটিভি

বন্যার্তদের সহায়তায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘বটতলা বিতর্ক’ শীর্ষক এক ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। ‘এই সংসদ ভারতের বিষয়ে শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করবে’ শিরোনামে এ বিতর্কের আয়োজন করে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন (জেইউডিও)৷

জেইউডিও’র মডারেটর অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমান এ বিতর্কে স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিছা পারভীন জলী।

সরকার দলের প্রধানমন্ত্রী জাফর ইমামের নেতৃত্বে বিতর্কে অংশ নেন সাইমুম মৌসুমী বৃষ্টি ও আল রাব্বী সিমেন্স। অপরদিকে বিরোধী দলীয় নেতা জাফর সাদিকের নেতৃত্বে অংশ নেন সোহানুর রহমান ও মির্জা সাকি।

যুক্তি খণ্ডন পর্বে বিরোধী দলীয় নেতা জাফর সাদিক বলেন, তুমি ভাল হলে আমিও ভাল- এটাই পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা। সীমান্তে গুলি চললে আপনাকেও গুলি চালাতে হবে। আলোচনার টেবিলে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারিত হবে। ভারতের সঙ্গে করা আমাদের সব চুক্তি জনসম্মুখে নিয়ে আসতে হবে৷ প্রয়োজনে নতুন চুক্তি করতে হলেও নিজেদের ভিত শক্ত রেখে তারপর বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের মধ্যে ভারতীয় দালালদের চিহ্নিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী জাফর ইমাম বলেন, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে কিনা, এটা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত চিন্তা। এমন বন্ধু হওয়া উচিত আমরা হাঁটু পানিতে ডুবলে সেও যেন হাঁটু পানিতে নামে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি অনেক ডার্ক। আজ গঙ্গা চুক্তি, মংলা চুক্তি আমাদের সামনে পরিষ্কার না। চুক্তিগুলো এমনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, যেন আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য হয়। তবে আমাদের পলিটিকাল সিস্টেমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হওয়ায় পররাষ্ট্রনীতিও সঠিক বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কিউবা যেভাবে আমেরিকাকে বাধ্য করেছে, সেভাবে আমাদের নীতি সাজানো উচিত।

বিচারক অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, কার্যকর পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন হলে তা দেশের জন্য মর্যাদাজনক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়। একটি দেশের সমাজ, সংস্কৃতি ও পরিবেশ পররাষ্ট্রনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। আভ্যন্তরীণ নীতির বাহ্যিক রূপ হলো পররাষ্ট্রনীতি। বর্তমান পরিস্থিতি বলে দেবে আমরা কতটা ন্যায্যতার জায়গায় আছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে এক ধরনের নতজানু নীতি অবলম্বন করা হয়েছে।

বিচারক অধ্যাপক পারভীন জলি বলেন, এতদিন আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বলতে বুঝতাম, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক। গত ৫০ বছরে আমরা দেখেছি, ভারতের প্রতি অতিরিক্ত নতজানু নীতি বা বিদ্বেষ- কোনোটি দিয়েই মোকাবিলা করতে পারব না। সার্কভুক্ত দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারত প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের সঠিক মূল্যায়ন করে না। ভারত পুরো পৃথিবীব্যাপী বাংলাদেশকে মৌলবাদী ও সহিংস আন্দোলনকারী হিসবে দেখিয়েছে। ভারতকে বুঝতে হলে শুধু দিল্লী দিয়ে বুঝলে চলবে না, কাশ্মীর দিয়েও বুঝতে হবে। ধর্মীয় ব্যাপার ব্যবহার করে ভারত যে আমাদের শাসায়, তা বন্ধ করতে হবে।

স্পিকার অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান বলেন, বৈষম্যহীন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এ বাংলাদেশ পেয়েছি। সেখানে আর কোনো বৈষম্যমূলক চুক্তি হোক, তা আমরা চাই না। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বিবর্তনের কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করা উচিত।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জাবিতে শহীদদের স্মরণে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও স্মরণসভা 
জাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান
বাংলাদেশে বাম মানেই ফ্যাসিস্ট: ফরহাদ মজহার
জাবি উপ-উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ-টিএসসি পরিচালকের পদত্যাগ দাবি