সীমান্তে দুর্গম এলাকা দিয়ে বেশ কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে বলে স্বীকার করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। নিপীড়ন ও অত্যাচারে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা এসব রোহিঙ্গা মুসলিমদের আন্তর্জাতিক আইনানুসারে সরকার জরুরি চিকিৎসা ও মানবিক সহযোগিতা করছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার নওগাঁ নওযোয়ান মাঠে জেলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে শহরের সিসিটিভি ক্যামেরা উদ্ধোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানালেন মন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বললেন, ‘ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফেরত পাঠাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আগের অনুপ্রবেশ করা প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়েই হিমশিম খাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে আরো অনুপ্রবেশ অব্যহত থাকলে সরকার অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়বে।’
রোহিঙ্গা ইসুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার রাজধানীতে বলেছিলেন, ‘সীমান্ত পেরিয়ে যেসব রোহিঙ্গা আহত অবস্থায় বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার তাগিদ দেয়া হবে। যারা (রোহিঙ্গা) এসে পড়ছেন, তারা তো মানুষ। আমরা যতোদিন পারি তাদের রাখবো। তারপর তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আমরা মিয়ানমারকে জানাবো।’
তিনি বলেন, ৬৩ কিলোমিটার জলসীমান্তসহ ২৭১ কিলোমিটার জলপথে শতভাগ নিরাপত্তা দেয়া বিজিবির একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন বিজিবি মহাপরিচালক।
এদিকে আশির দশকে মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার মুসলিম রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু করে। এ তিন দশক ধরে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করছে বাংলাদেশ। বারবার আহ্বান সত্ত্বেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে না দেশটির সরকার।
এস