ছাত্র অধিকার পরিষদের আংশিক কমিটি ঘোষণা
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি সংরক্ষণ ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক পদসহ ১১৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে ২৪ জনকে সহসভাপতি, ২৩ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১০ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক (সাংগঠনিক বিভাগভিত্তিক) ও ৩২ জনকে সম্পাদক পদে, ১৭ জনকে সহসম্পাদক পদে ও ৮ জনকে সদস্য পদে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় নাজমুল হাসান।
আরটিভি/কেএইচ-টি
মন্তব্য করুন
সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম গ্রেপ্তার
রাজধানীর আসাদ গেট এলাকা নরসিংদী-৩ আসনের সাবেক এমপি ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী ইফতেখার হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সিরাজুল ইসলাম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। সেনাবাহিনী তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ওসি মো. আলী ইফতেখার হাসান জানান, সিরাজুল ইসলাম মোল্লার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে একাধিক হত্যা মামলা আছে। তাকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরটিভি/এসএপি
অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য রিজভীর দুঃখ প্রকাশ
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে এক বিবৃতিতে তিনি এ দুঃখপ্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে রিজভী বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপি আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি’ মর্মে একটি সংবাদ অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।’
বিবৃতিতে রিজভী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।’
আরটিভি/এআর
ঢাবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ এই কমিটি ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ কমিটি অনুমোদন করেন।
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হলো।
এর আগে, এ বছরের ১ মার্চ শাখা ছাত্রদলের ৭ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে সভাপতি হিসেবে গণেশ চন্দ্র রায় এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাহিদুজ্জামান শিপন পদ পেয়েছিলেন।
এছাড়া কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে ছিলেন মাসুম বিল্লাহ, সহসভাপতি হিসেবে আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাছির উদ্দীন শাওন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শামীম আক্তার শুভ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ছিলেন নূর আলম ভূঁইয়া ইমন।
এদিকে, প্রায় সাড়ে ৮ মাস পর আংশিক এই কমিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেল আজ। এতে ১৪ জনকে সহসভাপতি, ৪৩ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সহসাধারণ সম্পাদক, ৩৯ জনকে সহসাংগঠনিক পদে রাখা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেখতে ক্লিক করুন।
আরটিভি/এএএ
খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেক রহমানের উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে যান এবং তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি মূলত বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। অসুস্থ হলেও বিএনপি চেয়ারপারসনের মনোবল শক্ত আছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে নিষ্ঠুর স্বৈরাচার হাসিনার পতন ঘটানোয় দেশবাসীকে নিয়ে গর্ববোধ করেন বেগম জিয়া। দেশের মানুষ তাকে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে। স্বৈরাচারী হাসিনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে তিনিই ছিলেন দেশবাসীর অনুপ্রেরণা।
এর আগে, দীর্ঘ ১৫ বছর পর গত ৯ নভেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন হুমায়ুন কবীর।
আরটিভি/আইএম/এসএ
কারাগারে যেভাবে দিন পার করছেন ব্যারিস্টার সুমন
কারাগারে বদলে গেছে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জীবন। সেখানে তিনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করেছেন পাশাপাশি পত্রিকার খুঁটিনাটি পড়ে দিন কাটাচ্ছেন।
সম্প্রতি ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে যান তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চেম্বার পার্টনার এম লিটন আহমেদ। তিনি ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে দেখা করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুরাই বদলে গেছেন ব্যারিস্টার সুমন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছেন। কারাগারে ঘুম থেকে ওঠেন ফজরের আজানের আগেই।
আইনজীবী লিটন আহমেদ আরও বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের জেল সঙ্গী হলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এদের দুজনের সঙ্গে একই রুম শেয়ার করতে হয় ব্যারিস্টার সুমনকে। সাথে রয়েছেন এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাও।
লিটন আহমেদ জানান, জেলে ডিভিশন পেয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। তবুও তিনি কষ্টে আছেন তার সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায়। কারণ আগে সার্বক্ষণিক মোবাইলে নিজের একাউন্টে যেতেন এখন যেটি পুরোপুরিই বন্ধ।
আইনজীবী লিটন আহমেদ বলেন, কারাগারে সুমনকে দুটি জাতীয় পত্রিকা দেওয়া হয়, যার খুঁটিনাটি পড়ে দিন কাটান তিনি।
তবে ব্যারিস্টার সুমন তার সহকর্মীকে লিটনকে জানান, যেদিন আদালতে তোলা হয় সেদিন মন খারাপ থাকে। কারণ তার হাতে হাতকড়া পড়িয়ে কোর্টে নেওয়া হয়, সেখানে অন্য সহকর্মীদের দেখে আবেগী হয়ে পড়েন তিনি।
ব্যারিস্টার সুমন তার চেম্বার পার্টনার লিটনকে আরও জানান, জেল জীবন কষ্টের কারণ সন্ধ্যা নামার মুখেই কারা সেলে ঢুকতে হয়, খাবার খেতে হয়। এটা স্বাভাবিক জীবনে মানা কষ্টের। বাইরের খাবার তেমন একটা পান না।
এম লিটন আহমেদ আরও জানান, কারাগারে থেকে পরিবারকে অনেক মিস করেন ব্যারিস্টার সুমন। কারণ সপ্তাহে মাত্র একবার পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।
সারাদিন কি করেন ব্যারিস্টার সুমন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাটাহাটি করেন। কখনো সকালে, কখনো বিকেলে। তবে সেখানেও তাকে দেখলে অন্য কয়েদিরা ‘সুমন ভাই’ ‘সুমন ভাই’ ডাক শুরু করেন। এতে কখনো কখনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে সেলের বাইরে হাটাতেও কিছু বেগ পেতে হয় তাকে।
উল্লেখ্য, ৫ অগাস্টের আগে-পরে যে কয়েকজন এমপি-মন্ত্রীর দেশ ছাড়ার খবর বেরিয়েছিল তার মধ্যে ব্যারিস্টার সুমনের নামও ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সরকার পতনের প্রায় আড়াই মাস পর ২১ অক্টোবর গভীর রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। এরপর সেই মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ৬ মামলা হয়েছে।
আরটিভি/একে
রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কার না চায় তাহলে এখনই নির্বাচন দেওয়া হবে: ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কার না চায় তাহলে এখনই জাতীয় নির্বাচন দিয়ে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কার ও নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সংস্কার যত দ্রুত হবে, নির্বাচনও তত দ্রুত হবে। আর যদি রাজনৈতিক দলগুলো বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেব। তবে সংস্কার ও নির্বাচন সম্পূর্ণই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের বিষয়, কারণ দেশের জনগণের প্রত্যক্ষ মতামত নিতে হলে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের মাধ্যমে নির্বাচনের পথ তৈরি করবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোনো কিছুই চাপিয়ে দিচ্ছি না। প্রশাসন কেবল প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য কাজ করছে। আমরা সমান্তরালভাবে দুটো রাস্তায় চলছি। সমান দৃষ্টিভঙ্গি, সমান প্রচেষ্টা দুটোর পেছনেই থাকবে- একটি হলো নির্বাচন, অপরটি সংস্কার।
দ্রুতই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা হয়ে যাবে জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কমিশন তার মতো চলবে। সেটা তো আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। সেখানে যা যা দরকার, সেটা হবে। তবে সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন জমা না দেয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কাজ শুরু করতে পারবে না। প্রতিবেদন হলেই সেটা কমিশন ব্যবহার করতে পারবে না, (রাজনৈতিক) সমঝোতা হতে হবে।
তবে রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয় বলে বারবার মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি জানান, ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হলে রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে। সমঝোতার চেষ্টা চলতে থাকবে, কোনটা তারা চান, কোনটা চান না। সংস্কারের সময়সীমা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলো কত দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে তার ওপর।
আরটিভি/কেএইচ-টি
মিনা ফারাহকে জামায়াত আমিরের ফোন, যে কথা হলো
কৃতজ্ঞতা জানাতে বিশিষ্ট কলামিস্ট, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও মানবাধিকারকর্মী মিনা ফারাহকে ফোন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি তার সঙ্গে প্রায় ৫ মিনিট ধরে কথা বলেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মিনা ফারাহ নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফোনকলের ভিডিও শেয়ার করে মিনা ফারাহ লিখেছেন, ‘সত্যের পক্ষে কাজের জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানাতে জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমানের ফোন’।
কথোপকথনের শুরুতেই জামায়াত আমির বলেন, যোদ্ধা হিসেবে নয়, একজন সেনাপতি হিসেবে আপনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আপনাকে এই কৃতজ্ঞতা জানাতে অনেক দেরি করে ফেললাম এজন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। দলের পক্ষ থেকে, আমার পক্ষ থেকে এবং বাংলাদেশে আমরা যারা মজলুম বসবাস করি তাদের সকলের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের কঠিন সময় যখন কেউ দাঁড়ায়নি তখন আপনি আমাদের পাশে ছিলেন। আপনার এই ঋণ আমরা কোনোদিন পরিশোধ করতে পারবো না।
এ সময় মিনা ফারাহ জামায়াত আমিরকে ‘ভাই’ সম্বোধন করে বলেন, জামায়াতের এত বড় একটি জায়গায় থেকে আপনি আমাকে ফোন করেছেন এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। আজকে আমি খুব শান্তি পাচ্ছি। ২০১১ সালে আমি যখন অত্যাচারী স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে প্রথম লিখি তখন আমার বাড়িঘর ব্লক করে দেওয়া হয় এবং আমার দেশে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, জামায়াত নেতা কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য না দেওয়ায় আমাকে এত হয়রানি করা হয়েছে। আমি দেশে যেতে চাই এবং তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে চাই। ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে ফিরিয়ে এনে তাদের গণহত্যার বিষয়ে মুখোমুখি করা হোক। শেখ হাসিনার গণহত্যার বিষয়ে আমি একজন সাক্ষী।
মিনা ফারাহ আরও বলেন, কামরুজ্জামান মানুষ মারে নাই। আমি মিথ্যা সাক্ষ্য না দেওয়ায় আমার ওপর মামলা। এসব বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান এ সময় বলেন, আমরা সেই দিনটি দেখতে চাই যেদিন খুনিরা কাঁদবে আর মজলুমরা হাসবে।
আরটিভি/আইএম/এআর