মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বর্বরোচিত নিষ্ঠুরতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে তার পরিবার শিশুটিকে নিয়ে নাফ নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয়ের চেষ্টা করছিল। হাঠৎ মাঝ নদীতে নৌকা ডুবে গেলে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় শিশুটি। কয়েক ঘণ্টা পর ভেসে ওঠে তীরে। যদিও তার নাম এখনো জানা যায়নি। অনেকেই তাকে ‘মিয়ানমারের আয়লান কুর্দি’ বলেই ডাকছে।
গেলো বছরই সিরিয়ার শিশু আয়লানের নিষ্প্রাণ শরীরটি এভাবেই ভেসে এসেছিল তুরস্কের একটি সৈকতে। গৃহযুদ্ধকবলিত সিরিয়া থেকে তার পরিবারটি আশ্রয় নিয়েছিল তুরস্কে। সেখান থেকে নৌকায় চেপে গ্রিস যাওয়ার চেষ্টা করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় সেই পরিবার। নৌকা ডুবে গেলে বাবা আব্দুল্লাহর হাত ফসকেই সাগরের ঢেউয়ে তলিয়ে যায় দুই ছেলে— তিন বছর বয়সী আয়লান আর পাঁচ বছর বয়সী গালিব। ভূমধ্যসাগর কেড়ে নিয়েছিল ওদের মা রেহানাকেও।
এদিকে জানা গেছে, সোমবার সকালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদীর টেকনাফের নীলা ইউনিয়নের জাদীমুরার বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি নৌকা ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়। এক নারীসহ দুইজনকে উদ্ধার করা গেলেও নারী এবং শিশুসহ অন্তত ৩০ রোহিঙ্গা এখনো নিখোঁজ।
তবে অনেকেই বলছে, নদী অতিক্রমকালে মিয়ানমারের সীমান্ত পুলিশ গুলি করে পুরো পরিবারসহ শিশুটিকেও হত্যা করে। পরে লাশ ভেসে ওঠে। রোহিঙ্গা ভিশন নামে একটি অনলাইন নিউজপোর্টালও এমন খবর দিচ্ছে।
এস