কোন পথে বাংলাদেশের অর্থনীতি

আতিকা রহমান

বুধবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১১:০৩ পিএম


১৬ বছরে দেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকা। এই তথ্য ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটির। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এর বাইরের আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে আরও বেশি অর্থপাচার হয়েছে। যা দেশের অর্থনীতিকে বিরাট ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিভিন্ন দেশের ব্যাংকিং চ্যানেল, এজেন্সি ও সরকার পর্যায়ে যোগাযোগ জরুরি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পাচারকারীদের দেশে যত সম্পদ আছে তা বাজেয়াপ্ত করার পরামর্শ তাদের।

বিজ্ঞাপন

রিজার্ভ সংকট, খেলাপি ঋণ, ভঙ্গুর ব্যাংক, মূল্যস্ফীতিসহ আর্থিক খাতে নাজুক দশার অন্যতম কারণ অর্থপাচার। বৈদেশিক বাণিজ্য কারসাজি, হুণ্ডি, চোরাচালান ও বিদেশে সম্পদ গড়তে বিভিন্ন উপায়ে দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে এসব অনিয়ম দুর্নীতি ও অর্থপাচারের তথ্য পাওয়া গেলেও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভয়াবহতার পুরো চিত্র সামনে আসে।

১৬ বছরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মন্ত্রী এমপি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কর্মকর্তারা বড় অংকের টাকা পাচার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটি- জিএফআইয়ের প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিদেশে পাচার হয়েছে গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ৮০ হাজার কোটি টাকা। 

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থপাচারের প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ। জিএফআইয়ের সূচকে যা ধরা পড়েনি। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কি পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে এবং তা ফেরত আনতে আইন অনুযায়ী ওইসব দেশের সরকারের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিকে কাজ করতে হবে।

অর্থনীতিবিদ ড. মনজুর হোসেন বলেন, বেশ কিছু প্রক্রিয়ায় অর্থপাচার হয়েছে। যারা এসব প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিল তাদের অবহেলা। তাদের এই অবহেলার বড় কারণ ছিল রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। আমি মনে করি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের কাজটাও করতে হবে। 

বিজ্ঞাপন

শুধু অর্থ পাচারকারীদের নয়, যেসব প্রতিষ্ঠান তদারকির দায়িত্বে ছিল ও পাচারে সহায়তা করেছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনার দাবি অর্থনীতিবিদদের।

টিআইবি বলছে, দুদক কার্যকর ভূমিকা নিলে আরও অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত আনা সম্ভব।

ভবিষ্যতে যেন দেশ থেকে অর্থ পাচার না হয়, অর্থনীতি মুখ থুবড়ে না পড়ে সে জন্য কঠোর নজরদারির তাগিদ বিশেষজ্ঞরা।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission