• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
সরিষা খেতে রেস্টুরেন্ট বানিয়ে তাক লাগালেন প্রবাসী
হীরার তৈরি যে ব্যাটারি একবার চার্জে চলবে হাজার বছর
বিশ্বে প্রথমবার হীরার মতো দামি পাথর দিয়ে তৈরি হলো এমন এক ব্যাটারি, যা একবার চার্জ করলেই চলবে হাজার বছর। এই যুগান্তকারী উৎস শুধু চিকিৎসা সরঞ্জাম আর মহাকাশযানে ব্যবহারের জন্য নয়, এটি পাল্টে দেবে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির দিকনির্দেশনা ।  এই অসাধারণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাজ্যের অ্যাটমিক এনার্জি অথরিটি (ইউকেএইএ) এবং ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা। কার্বন-১৪ নামে এক তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ দিয়ে তৈরি এই ব্যাটারিকে বলা হচ্ছে ডায়মন্ড ব্যাটারি। এটি সৌর প্যানেলের মতো কাজ করে, তবে আলোর পরিবর্তে কার্বন-১৪ এর ক্ষয় থেকে পাওয়া ইলেকট্রনকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে। আরও মজার বিষয় হলো এটি শুধু দীর্ঘস্থায়ী নয়, অত্যন্ত নিরাপদ। এটি স্মার্টফোন, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন পেসমেকার, শ্রবণ সহায়ক যন্ত্র এবং চোখের ইমপ্ল্যান্টে এই ব্যাটারি ব্যবহার করা যাবে। রোগীদের জন্য এটি হবে একটি বিশাল সুবিধা, কারণ একবার ব্যাটারি লাগানোর পর আর বদলানোর প্রয়োজনই হবে না। মহাকাশ গবেষণার জন্যও এটি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। চরম পরিবেশে সাধারণ ব্যাটারি যেখানে কাজ করে না, সেখানেও ডায়মন্ড ব্যাটারি কাজ করতে সক্ষম। মহাকাশযান, স্যাটেলাইট এবং পেলোডের মতো ডিভাইসগুলোতে এটি কয়েক দশক ধরে শক্তি সরবরাহ করতে পারবে। কারণ, একবার চার্জ দিয়ে এটি মহাকাশযানে কয়েক শ বছর কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম। তবে, এর দাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হীরার মতো ব্যাটারির মূল্য সাধারণ মানুষের জন্য কতটা সাশ্রয়ী হবে, সেটি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে এর উৎপাদন প্রক্রিয়া উন্নত হলে খরচ কমে আসবে। এই ব্যাটারির প্রযুক্তি আরও একটি বিশেষ দিক তুলে ধরে—এটি পরিবেশবান্ধব। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ হলেও, কার্বন-১৪ এর ক্ষুদ্র পরিমাণ কৃত্রিম হীরায় সুরক্ষিতভাবে স্থাপন করা হয়। তাই এটি ব্যবহারে কোনো ঝুঁকি নেই। গবেষকদের মতে, এই ব্যাটারি শুধু শক্তি খাতে নয়, প্রযুক্তির অন্যান্য ক্ষেত্রেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। এটি এমন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতের অনেক জটিল সমস্যার সমাধান দেবে। আরটিভি/জেএম/এআর
উত্তাল সমুদ্রের চারপাশে মানুষের ঢল, এ যেন আরেক জাহেলিয়াত!
কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট
শিসের সুরেই যোগাযোগ করেন এই গ্রামবাসী!
রিলস, শর্টস কিংবা টিকটকে আসক্তদের জন্য দুঃসংবাদ!
অনেকেই ইন্সটাগ্রামের রিলস কিংবা টিকটক ভিডিও দেখতে দেখতে পার করে দিচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যা আপনার কোনো কাজেই লাগবে না, তাও এই রিলস দেখার নেশা যেনো ছাড়তেই পারছেন না। কিন্তু জানেন কি, এ আসক্তি কখনো কখনো ভয়ংকর হতে পারে? সোশ্যাল মিডিয়ার এমন নিম্নমানের কন্টেন্ট দেখতে দেখতে নিজের মস্তিষ্কের ১২টা( hook) বাজিয়ে দিচ্ছেন। আর এমন আসক্তিকে বলা হয় ব্রেইন রট প্রবণতা (give hook text)। চলুন আরও ভালো করে জেনে নেওয়া যাক। 'ব্রেইন রট' বলতে মূলত অত্যধিক নিম্নমানের অনলাইন কন্টেন্ট দেখার উদ্বেগজনক প্রভাবকে বোঝায়। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ‘ব্রেইন রট’ কীভাবে আমাদের জীবনে এতো প্রভাব ফেলছে?  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার কমিউনিটিতে ছড়ায়। একঘেয়েমি কাটাতে মানুষ ইনস্টাগ্রাম রিলস কিংবা টিকটক ভিডিও দেখতে শুরু করে। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে নিম্নমানের কন্টেন্ট দেখা শুরু করলে, মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা (hook text) কমে যেতে থাকে। এটি শুধু মানসিক চাপই বাড়ায় না, বরং অবচেতনভাবে ব্যক্তির আচরণেও পরিবর্তন আনে। সম্প্রতি ‘ব্রেইন রট’ শব্দটি উঠে এসেছে অক্সফোর্ড ডিকশনারির ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ (hook text)  হিসেবে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় শব্দটির ব্যবহার ২৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে।  মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই শব্দের জনপ্রিয়তা সময়ের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। এটি দেখায় কীভাবে মানুষ তাদের সময় কাটায়? আর কীভাবে ভার্চুয়াল জীবন মানুষকে প্রভাবিত করে। তবে জেনারেশন জেড এবং জেনারেশন আলফার মধ্যে এই শব্দটির ব্যবহারে বিশাল বৃদ্ধি দেখা গেছে। তবে ব্রেইন রট শব্দটির ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৮৫৪ সালে হেনরি ডেভিড তার বই ‘ওয়ালডেন’-এ প্রথম এটি ব্যবহার করেন। তখনও শব্দটির অর্থ ছিল—মানুষের মানসিক দক্ষতার অবনতি। তবে এখনকার যুগে এটি মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার নিম্নমানের কন্টেন্টের প্রভাব বোঝাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর পাশাপাশি, কলিন্স ডিকশনারি ২০২৪ সালের তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ‘ব্র্যাট’ শব্দটি নির্বাচন করেছে। যার মানে আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীন মনোভাব। এই দুটি শব্দই আধুনিক সমাজের অনলাইন জীবনের বিভিন্ন দিককে প্রতিফলিত করে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে কি সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে?  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।  আরটিভি/এফআই
ক্ষত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পুলিশ
ক্ষত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।  জনবল, অস্ত্র ও যানবাহনের ঘাটতি থাকলেও সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টায় বাহিনীর সদস্যরা।  রাজধানীর বেশির ভাগ থানায় নতুন সদস্য যুক্ত হওয়ায় পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগে ও পরে জনরোষের শিকার হয় পুলিশ।  চার শতাধিত স্থাপনায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।  যানবাহন পুড়েছে এক হাজারেরও বেশি।  প্রাণ হারান অন্তত ৪৪ পুলিশ সদস্য।  রাজধানীর ভাটারা থানার মূল ফটকের পাশে এখনও পোড়া গাড়ির স্তূপ।  ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় অবশিষ্ট ছিল না কিছুই।  পাঁচ মাসে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে থানাটি।  যদিও লুট হওয়া ৫২টি অস্ত্রের এখনও খোঁজ নেই। ক্ষোভের আগুনে পুড়ে যাত্রাবাড়ি, মোহম্মদপুর, শাহবাগ ও মিরপুরসহ রাজধানীর বেশির ভাগ থানা। আলামত ও পুলিশের গাড়িসহ যাত্রাবাড়িতেই পোড়ানো হয় প্রায় অর্ধশত যানবাহন।  যে ক্ষত এখন পূরণ হয়নি।  স্থানীয়রা সেবা নিতে থানায় আসছেন, তবে পুলিশ সদস্যদের অস্বস্তি পুরোপুরি কাটেনি। অপরাধ দমনে শুরু হয়েছে নিয়মিত টহল। এখন প্রয়োজন জনগণের আস্থা অর্জন।  পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখার এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, আমাদের যে ইউনিটগুলো রয়েছে সেখানে পুলিশকে অপারেশন করার কাজটি খুবই দ্রুততার সঙ্গে করেছি। এ ছাড়া গাড়ির যে সংকট ছিল ও ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনাগুলো প্রায়োরিটি অনুযায়ী সমাধান করা হয়েছে।  যত চাপই আসুক পেশাদারত্ব বজায় রাখতে অতীতের মতো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ না করার পরামর্শ নিরাপত্তা বিশ্লেষক জগলুল আহসানের।  তিনি বলেন, জনতা এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে পুলিশ বিচ্যুত হয়ে গেছে।  রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হলে যে নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট সেটা ৫ আগস্টের ঘটনায় সব পুলিশ সদ্যদের বুঝা উচিত।  আরটিভি/আরএ-টি
ভয়ংকর নৃত্য, মৃত্যুকে জয় করা যাদের কাছে শিল্প! 
মনে করুন, আপনার পায়ের নিচে ১৫ মিটার লম্বা আর দুই টন ওজনের এক ধারালো তলোয়ার। আর আপনি দিব্যি হাটছেন সেই ধারালো তলোয়ারের ওপর। আশ্চর্যের বিষয় যেখানে পা কেটে কিমা হয়ে যাওয়ার কথা সেখানে পড়েছে না কোন দাগও। এমনই এক রোমাঞ্চকর এবং বিপজ্জনক প্রদর্শনীতে কিয়াং জাতির ঐতিহ্যবাহী শিল্পী ওয়াং ইয়াংকে দেখা গেছে চীনের ন্যানিং শহরে। প্রাচীনকালের এই 'তলোয়ার নৃত্য' আজও কিয়াং জাতির সংস্কৃতির অন্যতম অংশ।  শুরুতেই ওয়াং তার প্রথাগত প্রস্তুতি নেন আগুনের মশাল জ্বালিয়ে ধূপকাঠি পুড়িয়ে, দেবতার কাছে দানা ছিটিয়ে শুরু হয় তার প্রার্থনা। ওয়াং জানান, প্রতিটি পরিবেশনার আগে তিনি এই আচার পালন করেন। তিনি নিজের হাতে ঐতিহ্যবাহী কাপড় তুলে নিয়ে বড় তলোয়ারের চারপাশে হাঁটেন, মঞ্চে গিয়ে আলোকের দেবতার কাছে প্রার্থনা করেন। তার প্রার্থনায় থাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তি, শান্তি ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ।  এরপরই তিনি শুরু করেন 'বেয়ারফুট ব্রডসোর্ড' নৃত্য, যেখানে এক পায়ে দাঁড়িয়ে একের পর এক বিপজ্জনক কৌশল দেখান। ‘ঈগলের পাখা মেলা’ কিংবা ‘সাগরের ওপার খোঁজা’ এমন কঠিন কৌশলগুলো করেই তিনি দর্শকদের মুগ্ধ করেন। তার পায়ের নিচে বিশাল তলোয়ারের ধার, আর সামান্য ভুল মানে ভয়ংকর পরিণতি, তবুও ওয়াংয়ের পায়ের কাঁপন নেই। এ যেন সাহস আর ধৈর্যের এক চরম পরীক্ষা। প্রাচীন কিয়াং জাতির মানুষরা মূলত সিচুয়ানের উত্তর-পশ্চিমে বসবাস করত। তখন শত্রুর আক্রমণ ঠেকাতে তারা শহরের প্রবেশমুখে বিশাল তলোয়ার বসিয়ে তার ওপর এই নৃত্য করত। এই বিপজ্জনক পরিবেশনা তাদের সাহস আর শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছিল।  ওয়াং জানান, এই নাচ তাদের আঞ্চলিক সংস্কৃতির অঙ্গ, যা বর্তমান সময়েও ‘অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ন্যানিং শহরের উক্সু এয়ারপোর্ট কনভেনিয়েন্স মার্কেটে আয়োজিত প্রথম ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ কার্নিভ্যাল’ এ বছরের মূল আকর্ষণ ওয়াংয়ের তলোয়ার নৃত্য। উৎসবে আরও রয়েছে আতশবাজির ঝলক, বিশাল খাবারের মেলা। পর্যটকরা এখানে কিয়াং জাতির ঐতিহ্য সম্পর্কে জেনে নিচ্ছেন, আর প্রাচীনকাল থেকে বর্তমানের এই সংস্কৃতির নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন।  এই প্রাচীন নৃত্য শুধু দর্শকদের বিনোদন নয়; বরং তা হলো সাহস, ধৈর্য আর বিশ্বাসের এক অমূল্য প্রতীক। 
বছরের শুরুতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ব্যয় বাড়বে সংসারে
উচ্চ পণ্যমূল্যের বাজারে এমনিতেই সংসারে টানাটানি। তার ওপর বছরের শুরুতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ব্যয় বাড়বে সংসারে। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত্ব আয়ের মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইএমএফ ঋণের শর্তের কারণেই ভাট বাড়ানো হচ্ছে। এতে সবক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।  যেসব পণ্য বা সেবায় ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে এরমধ্যে ওষুধে দুই দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়ছে ৫ শতাংশ, এলপিজি গ্যাসে পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ,  তৈরি পোশাকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ, অভ্যন্তরীণ বিমান টিকিটে ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা এবং আন্তর্জাতিক বিমান টিকিটে ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করা হচ্ছে।  এ ছাড়া বছরে ৩০ লাখ টাকার বেশি টার্নওভার থাকলে ভ্যাটের খাতায় (টার্নওভার করের তালিকাভুক্তি) নাম লেখাতে হবে।  বর্তমানে টার্নওভার করের তালিকাভুক্তির সীমা ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০ লাখ টাকা কমানো হয়েছে।  এতে ছোট ব্যবসায়ীরাও ভ্যাটের আওতায় চলে আসবে। একইসঙ্গে ভ্যাট নিবন্ধনের সীমা ৩ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে।  এতে পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে ও ব্যবসায়ীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ঋণ দিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে কর-জিডিপির অনুপাত দশমিক ২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে, টাকার অঙ্কে যা ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। বলা হচ্ছে, এই টাকা জনগণের কাছ থেকে আদায় করতেই বাড়ানো হচ্ছে ভ্যাট ও কোনো ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক।  অর্থনীতিবিদ ড. তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী আমাদের যে পরিমাণ কর হার বাড়ানো দরকার, সেটা বাংলাদেশ পারছে না। এ ছাড়া সাধারণ মানুষ কর প্রদান করেন, কিন্তু সেটি সরকারের কোষাগারে যায় না।  অন্যদিকে, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যের দামের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে নয়, বরং রাজস্ব বাড়ানোর স্বার্থেই বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, উপদেষ্টা পরিষদ নতুন ভ্যাট হারের বিষয়টি এরইমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। যা আগামী সপ্তাহ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।  আরটিভি/আরএ/এস
কাদামাটিতে লুটোপুটি, মাটির তৈরি মঞ্চে যেভাবে চলে রেসলিং
চারদিকে বাঁশের ঘের, মাঝখানে মাটির মঞ্চ। এর মাঝেই কাদা মাখিয়ে চলছে লড়াই। প্রতিযোগীরা কোলে তুলে নিয়ে ছুড়ে ফেলছেন প্রতিপক্ষকে। চারদিকে দর্শকদের উল্লাস আর চিৎকার। ভাবছেন এ আবার কেমন খেলা? উগান্ডার মুকোনো শহরে সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই মাটির রেসলিং, যা স্থানীয়ভাবে পরিচিত "সফট গ্রাউন্ড রেসলিং" নামে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেনো মাটিতে গড়াগড়ি করে হচ্ছে এইখেলা?  কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে আছে একজন মানুষের সংগ্রামের গল্প। ড্যানিয়েল বুম্বাশ, যিনি এই খেলার আয়োজন করেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি পেশাদার কুস্তিগীর হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু অর্থের অভাব আর দেশে কুস্তির সুযোগ না থাকায় তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তাই তিনি নিজের মতো করে কুস্তির মঞ্চ তৈরি করেছেন কাদামাটির মঞ্চ।  ড্যানিয়েল বলেন, আমি এমন একটি জায়গা তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যেখানে মানুষ কুস্তি শিখতে পারবে এবং আমার মতো স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। কিন্তু এই মাটির কুস্তি শুধু একটি খেলা নয়। কারণ এই কাদামাটির মঞ্চকে পেশাদার কুস্তিগীররাও ভিন্নধর্মী বলে মনে করেন।  ড্যানিয়েলের মতে, বিভিন্ন দেশের পেশাদার কুস্তিগীররা এখানে আসেন মাটির মঞ্চের কুস্তি খেলার অভিজ্ঞতা নিতে। তারা আগে কখনো এমন সফট মাটির মঞ্চে লড়াই করেনি। ড্যানিয়েলের স্বপ্ন, একদিন উগান্ডা আন্তর্জাতিক কুস্তির মানচিত্রে জায়গা করে নিবে। যেভাবে ফুটবলে নাইজেরিয়া আর ঘানা পরিচিত, তেমনি কুস্তিতে উগান্ডাও পরিচিত হবে। তবে এই খেলাটি আয়োজন করা সহজ নয়। অনেক প্রতিযোগী এমনকি চাকরি হারিয়েছেন কুস্তি চালিয়ে যাওয়ার জন্য। এক প্রতিযোগী জানান, আমার অফিস থেকে পাঁচদিন কাজ চেয়েছিল, কিন্তু আমি সপ্তাহে তিনদিন অনুশীলন করতে চেয়েছিলাম। তারা সেটা মেনে নেয়নি। আমি চাকরি ছাড়লাম, কিন্তু আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করছি। মাটির কুস্তির শিকড় বহু প্রাচীন। এটি একসময় সামাজিক বিনোদনের অংশ ছিল। কিন্তু আজ তা কেবল বিনোদন নয়, উগান্ডার তরুণদের স্বপ্ন পূরণের মঞ্চ হয়ে উঠেছে। আর এই মাটির কুস্তি একদিন উগান্ডাকে কুস্তির বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত করবে এটাই বিশ্বাস ড্যানিয়েলের। আরটিভি/এফআই
রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের বছর হতে পারে ২০২৫
রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের বছর হতে পারে ২০২৫। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আদায় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এ বছর চ্যালেঞ্জের। স্বৈরাচার পতনের পর আওয়ামী লীগ শঙ্কা ও সংকটে থাকলেও সম্ভাব্য সুদিন এখন বিএনপির। আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসানে রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাই দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দাবি বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর। আওয়ামী লীগ পতনের পর গেল চার মাসে বিএনপি নেতাকর্মীদের বক্তব্য ও আচরণ বলছে, অঘোষিতভাবে যেন তারাই ক্ষমতায়, বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। তবে জাতীয় নাগরিক কমিটির নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়া বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সে পথে অন্তরায়। জাতীয়তাবাদী শক্তি দ্রুত নির্বাচন চাইলেও রহস্যজনক কারণে নির্বাচন বিলম্বের কথা বলছেন কেউ কেউ। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মনে করেন, তরুণ্যের উদ্মাদনা ভালো। তবে সেই সম্ভাবনা যেন প্রদীপের মতো নিভে না যায়। আশা করি, চলতি বছরেই বাংলাদেশ নতুন সরকার পাবে। বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলছেন, কোনো কিংস পার্টি গঠন করে নির্বাচন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। রাজনীতি করতেই পারে, কিন্তু কিংস পার্টিকে সময় দেওয়ার জন্য কালক্ষেপণ কোনো অবস্থাতেই আমরা মেনে নেব না। যেকোনো মূল্যেই চলতি বছরেই নির্বাচন আদায় করে ছাড়বো। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, নিশ্চয়ই মানুষের চোখের ভাষা বুঝবে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন আদায় করার প্রয়োজন হবে না। গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস বলে বাংলাদেশের রাজনীতির যত বাঁক বদল ঘটেছে, তার সবগুলোতে লাভবান হয়েছে বিএনপি। তবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াত। আরটিভি/আরএ/এস
শঙ্কা ও সংকটে আ.লীগ, সম্ভাব্য সুদিন বিএনপির
রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের বছর ২০২৪। শঙ্কা ও সংকটে আওয়ামী লীগ থাকলেও সম্ভাব্য সুদিন এখন বিএনপির। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর ২০২৪ ছিল দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে ঘটনাবহুল বছর। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি স্বৈরশাসকের পতন ঘটে এ বছরই। স্বস্তিতে রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি হয় ফেরারি বিএনপির। রাজনীতিতে ফিরেছে নিরুদ্দেশে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামেও। বছরের শুরু হয়েছিল সমালোচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় ডামি যা নির্বাচন নামে পরিচিতি লাভ করে। সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে আন্দোলনে নেমে গ্রেপ্তার হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরুসহ ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী। সরকার পতনের পরদিন রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হাজার হাজার নেতাকর্মী ছেড়ে দেন জেল কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের মার্চের দিকে একের পর এক আওয়ামীপন্থী আমলাদের দুর্নীতি, টাকা পাচারের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে থাকে। বাদ যাননি পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ। তবে সাবেক এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের ছেলের ছাগলকাণ্ডই যে ঘটনার সূত্রপাত ঘটায় তা জোড় আলোচনায়। শেখ হাসিনার পিয়ন জাহাঙ্গীর আলমের ৪০০ কোটি টাকার ঘটনাও উল্লেখযোগ্য।  কোটা কমিয়ে সরকারি চাকরিতে মেধায় নিয়োগের দাবিতে ২০১৮ সালে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, বিরতি দিয়ে ২০২৪-এ পরিণতি লাভ করে। ছাত্রদের দাবি উপেক্ষা করে বিতর্কিত মন্তব্য করে আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢালেন শেখ হাসিনা। ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির ডাক দিলে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরস্ত্র শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। প্রাণ বাঁচাতে পানি পান করাতে গিয়ে প্রাণ দেন মীর মুগ্ধ। আন্দোলন দমাতে কারফিউ ঘোষণা, সেনা মোতায়েন করেও সুবিধা করতে পারেনি স্বৈরচার সরকার। সমন্বয়কে তুলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে নির্যাতন ও ২০০ এর বেশি মামলায় দুই লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়। এ অবস্থায় জাতীয় ঐক্য ও সরকার পতনের ডাক দেয় বিএনপি। সরকার পতনের সপ্তাহ খানেক আগে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হয় জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরকে। ৫ আগস্ট কারফিউ ভেঙে ‘মার্চ টু ঢাকায়’ যোগ দেন লাখো জনতা। আন্দোলন দমাতে ব্যর্থ হয়ে বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজে চড়ে ভারতে পালিয়ে যান প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতা আকড়ে থাকা আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। গণভবন, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। গা ঢাকা দেন আওয়ামী লীগের জাদরেল নেতারা। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হন ক্ষমতাচ্যুত দলটির প্রভাবশালী কয়েকজন মন্ত্রী-এমপিরা। কায়দাকানুন করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান কেউ কেউ।  ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। প্রায় সাত বছর পর বিএনপির জনসভায় ভিডিও বার্তা দেন তিনি। এক যুগ পর গত ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। টেলিভিশনে বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় তারেক রহমানের। ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তবর্তী সরকার। জেলে না গিয়ে সরকার গঠন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। চাকরি চেয়ে রাজপথে আন্দোলন শেষে সরাসরি সরকারে যোগ দেন নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব। যদিও ফ্যাসিবাদ পতনে প্রাণ দিতে হয় প্রায় ২ হাজার ছাত্র জনতাকে। পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে হাজার হাজার নিরীহ শিক্ষার্থীকে। যে তিনটি বড় গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতির বাঁক বদল ঘটেছে, তার সবগুলোতে লাভবান হয়েছে বিএনপি। এবারের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বিএনপির। তবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াত। এদিকে নতুন দল গঠন করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। নতুন বছরের দ্বিতীয় মাসেই তাদের দলের আত্মপ্রকাশের কথা রয়েছে।  আরটিভি/আরএ/এস