নেইমারের জন্য মন খারাপ আর্জেন্টিনা ভক্ত মাশরাফির
ইতিহাস গড়া হলো না পিএসজির। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ফ্রেঞ্চ দলটিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতলো বায়ার্ন মিউনিখ। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন কিংস্লে কোমান। পিএসজির হৃদয় ভেঙে এভাবেই বাধ ভাঙা উল্লাসে মাতে বায়ার্ন মিউনিখ। অশ্রুসিক্ত নয়নে মাঠ ছেড়েছেন লিগ ওয়ানের দলটির সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার। এমন দৃশ্য দেখে আর্জেন্টিনার সমর্থক হয়েও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের জন্য মন খারাপ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার।
পুরো মৌসুম জুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা জার্মান ক্লাব বায়ার্ন। তাই তো ২০১২/১৩ মৌসুমের পর আবার জিতলো ইউরোপ সেরার মুকুট। ষষ্ঠবারের মতো ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন হলো বাবারিয়ানরা। শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে ক্লাব ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল জয়ের রেকর্ড গড়ল তারা।
লিসবনে খেলার শুরু থেকেই আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে, বায়ার্ন। জার্মান চ্যাম্পিয়নদের গতিময় ফুটবলের সামনে এই ম্যাচে নিজেদের ছায়া হয়েই রইলেন পিএসজির মূল ভরসা নেইমার-ডি মারিয়া-এমবাপেদের মতো তারকারা।
ডিফেন্স লাইন ওপরে তুলে আক্রমণ শানায় বায়ার্ন। পিএসজির জন্য ভালো কিছু সুযোগ তৈরি হলেও কাজে লাগাতে পারেনি পিএসজি।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে বায়ার্নকে লিড এনে দেন কিংস্লে কোমান। জসুয়া কিমিচের ক্রসে হেডে জালে বল জড়ান এই ফ্রেঞ্চ উইঙ্গার। যা চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি জার্মান ক্লাবটির ৫০০তম গোল।
পিছিয়ে পড়ে যেনো আরও খেই হারিয়ে ফেলে পিএসজি। বাকি সময় আর গোল না হওয়ায় হৃদয় ভাঙা বেদনা নিয়েই মাঠ ছড়ে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা টমাস টুখেলের দল।
ফাইনালের পর ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন মাশরাফি।
তিনি লিখেছেন, ‘একটা ম্যাচ শেষে কতো ভালো এবং খারাপ লাগা কাজ করছে...
১-একজন আর্জেন্টিনার ফুটবল সমর্থক হিসাবে ডি মারিয়ার হার এতটুকুও খারাপ লাগেনি।
২-এমবাপের গতির কাছে আর্জেন্টিনার শেষ বিশ্বকাপের বিদায় এখন চোখে ভাসে তাই ওর জন্যও খারাপ লাগেনি এতটুকুও।
৩-লেভানদভস্কি বা মুলার কারও উৎযাপনও নিতে পারছিনা।
৪-আবার ব্রাজিলের সমর্থক না হয়েও নেইমারের জন্য অস্থির লাগছে। মনে হচ্ছে ও পেলে খুব ভালো লাগতো।
৫-পরে বুঝতে পারলাম এটাই মূল কারণ যে জার্মানির কোন জয় আমি নিতে পারি না। কারণ আর্জেন্টিনা ওদের কাছে ধরা।’
আরও পড়ুন
ওয়াই
মন্তব্য করুন