সাবেক প্রধান বিচারপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুরের পর উচ্চ আদালত বসছেন না। জানালেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
আমিনুল ইসলাম বলেন, দুপুরের পর হাইকোর্ট বিভাগ বসছেন না। আর বেলা ১১টার পর আপিল বিভাগ ও চেম্বার বিচারপতির আদালতও বসছে না।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লতিফুর রহমান। তিনি নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। আজ বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্টে লতিফুর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
লতিফুর রহমান সাবেক প্রধান বিচারপতি ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি ১৯৩৬ সালে ১ মার্চ যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কায়েদে আজম কলেজ (বর্তমান শহিদ সোহরাওয়ার্দি কলেজ)ও জগন্নাথ কলেজে (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) প্রভাষক হিসেবে কাজ করেন।
১৯৬০ সাল থেকে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইন পেশা শুরু করেন। লতিফুর রহমান শুরুতেই এমএইচ খন্দকারের নিকট শিক্ষানবিশ ছিলেন। খন্দকার বাংলাদেশের প্রথম এটর্নি জেনারেল ছিলেন।
১৯৭৯ সালে লতিফুর রহমান সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৮১ সালে তার বিচারকের চাকরি স্থায়ী হয়। ১৯৯১ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন অবসর গ্রহণ করেন।
সবশেষ বিচারপতি লতিফুর রহমান ২০০১ সালের ১৫ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এইচটি/সি