প্রায় ১৯ বছর পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পা রাখলেন ক্রিকেটাররা
এক সময়ের দেশের ক্রিকেটের তীর্থস্থান বলা হতো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এ স্টেডিয়াম নানা ইতিহাসের সাক্ষী। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আসরের বিভিন্ন রেকর্ডে ঠাই হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়। টেস্টে বাংলাদেশের পথচলা, প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ও প্রথম পাঁচ উইকেট শিকারের ইতিহাসও রচনা হয়েছিল এ মাঠেই।
গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন
স্মৃতি বিজড়িত এই স্টেডিয়ামের শেষ ক্রিকেট ম্যাচটি ছিল ২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে লড়েছিল টাইগাররা। এরপর ক্রিকেটের ঠিকানা বদলে যায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে।
ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামটি এই প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে বড্ড অচেনা। দীর্ঘ ১৯ বছর পর আবারও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরল ক্রিকেটের কার্যক্রম। উপলক্ষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস যাচাই। যার জন্য মাঠটির অ্যাথলেটিক ট্র্যাকটিকে বেছে নিয়েছে বিসিবি। দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে যা নতুন।
বিসিবির ট্রেইনার ইফতেখার ইসলাম ইফতির ভাষ্য, ‘এটা তাদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। তার জন্য আমার কাছে মনে হয় তাদের ভিন্নতা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে।’
গরমের তীব্রতা এড়াতে একেবারে ভোরে শুরু হয় এ সেশন। সকাল ৬ টা থেকে দেড় ঘণ্টা প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ১৬০০ মিটার দৌড়াতে হয়। রানিং টেস্টে দেন তিন ফরম্যাটে থাকা ৩৫ জন ক্রিকেটার।
ইফতি আরও জানালেন, ‘অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক বেছে নেওয়ার কারণ আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬শ মিটার টাইম-ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে যদি নেই তাহলে প্রপার টাইমিংটা হয়। কারণ, ওইভাবেই হিসাব করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’
রানিংয়ে প্রথম ভাগে সেরা হন তানজিম হাসান সাকিব। দ্বিতীয় ভাগে সেরা ছিলেন নাহিদ রানা। এই আয়োজনে অনুপস্থিত ছিলেন সাকিব আল হাসান, তাসকিন, মোস্তাফিজ ও সৌম্য।
মন্তব্য করুন