সাকিবের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি বাংলাদেশের
সুপার এইটে ওঠার অলিখিত ফাইনালে ২৩ রানেই জোড়া উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সাকিব আল হাসান ও ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে ভালো শুরুর পর তামিম ফিরলেও উইকেটে ছিলেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত সাকিবের অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংসে ভর করে দেড়শ ছাড়ানো পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভ্যালে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
টস হেরে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তনে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওপেনিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন টাইগার দলপতি। ব্যক্তিগত ১ রানে তার বিদায়ে দলীয় ৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর শান্তর পথেই হাঁটেন লিটন। তিনে নেমে ২ বলে ১ রানে সাজঘরে ফেরেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে আরিয়ানকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ফাঁদে পড়েন। মিডউইকেটে ছুটে গিয়ে ড্রাইভে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান এঙ্গেলব্রেখট। এতে দলীয় ২৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
জোড়া উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে পথ দেখান অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান এবং তরুণ ওপেনার তানজিদ। এই দুই ব্যাটারের দাপুটে ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তুলে লাল-সবুজেরা।
তবে ভালো শুরুর পরই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তানজিদ। ফন মিকেরেনের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে আশাহত হন তানজিদ। বেশি দূর এগোয়নি তার পুল। মিডউইকেট সীমানার বেশ আগেই ডি লিডির মুঠোবন্দি হন এই ওপেনার। ২৬ বলে ৩৫ রানে থামলে ভাঙে সাকিবের সঙ্গে তার ৩২ বলে ৪৮ রানের জুটি।
তানজিদের বিদায়ে কমে বাংলাদেশের রান তোলার গতি। ইনিংসের সপ্তম ওভারেই ৬৬ রান তোলা বাংলাদেশের পুঁজি ১০ ওভার শেষে দাঁড়ায় ৭৬ রান।
এরপর ২৭ বল পর বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চাপ কমানোর চেষ্টা করেন সাকিব। তবে অন্যপ্রান্তে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হৃদয়। টিম প্রিঙ্গলের আন্ডার-কাটে জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে ব্যাট লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে বল। এতে ১৫ বলে ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হৃদয়।
এরপর সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দায়িত্বশীল এক ইনিংসে দীর্ঘদিনের রানখরা কাটান সাকিবও। সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপের আগে ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। এরপর কেটে গেছে ২০ ইনিংস। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত অর্ধশতকের দেখা পেলেন তিনি। ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি ছুঁতে ৩৮ বল খেলেছেন তিনি।
তবে সাকিবের ফিফটির পরই প্যাভিলিয়নে ফেরেন রিয়াদ। ফেরার আগে খেলেন ২১ বলে ২৫ রানের ইনিংস।
শেষ পর্যন্ত সাকিবের ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৪ এবং জাকের আলির ৭ বলে ১৪ রানের ক্যামিওতে ১৫৯ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন