• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo

আত্মঘাতীর আশীর্বাদে দুই দশক পর ইউরোর সেমিতে ডাচরা

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৬
আত্মঘাতীর আশীর্বাদে দুই দশক পর ইউরোর সেমিতে ডাচরা
ছবি: সংগৃহীত

সব ঘটন-অঘটন ছাপিয়ে এবারের ইউরোর সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়তো আত্মঘাতী গোলই। সব মিলিয়ে ইউরোর ১৭তম আসরে এখন পর্যন্ত আত্মঘাতী গোল হয়েছে ১০টি। গতবারের ইউরো বাদ দিলে ইউরোর বাকি ১৫ আসরে এ ধরনের গোল হয়েছে মোটে ৯টি। এই আত্মঘাতী গোলই যেন আজ আশীর্বাদ হয়ে ধরা দিল ডাচদের কাছে। দুর্দান্ত খেলতে থাকা তুর্কিদের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত এক আত্মঘাতী গোলের আশীর্বাদেই দীর্ঘ দুই দশক পর ইউরোর শেষ চারে উঠল কমলারা।

বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং কিংবা ধারেভারে ডাচদের থেকে পিছিয়ে থাকলেও বড় টুর্নামেন্টে তাদের একাধিকবার হারানোর ইতিহাসও আছে তুরস্কের। সেই ইতিহাসকে পুঁজি করেই আজ জার্মানির বার্লিনে ডিপে-সিমন্স-গাকপোদের বিপক্ষে শেষ আটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন কালহানোগ্লু-গুলাররা। খেলেছেনও দারুণ। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিট ডাচদের দাপট থাকলেও ধীরে ধীরে গুছিয়ে নিয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকে তুর্কি শিবির। ১১ থেকে ৩৪ মিনিটের মধ্যে অন্তত চারবার ডাচ রক্ষণে ত্রাস সৃষ্টি করে তুর্কি আক্রমণভাগ। লাগাতার আক্রমণের ফলও ধরা দেয় জলদিই। মাত্র মিনিটের মধ্যে তুর্কিরা পেয়ে যায় দুটি কর্ণার। প্রথমটি কাজে লাগাতে না পারলেও সফলতা ধরা দেয় পরেরটিতেই।

ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে হাকান কালহানোগ্লুর কর্ণার কিকটি ডাচ রক্ষণের বাঁধায় ফিরে গেলেও বক্সের সামান্য বাইরে বল পেয়ে যান তুরষ্কের মেসিখ্যাত আর্দা গুলার, নিয়ন্ত্রণে নিয়েই করেন ক্রস। আর দারুণভাবে লাফিয়ে তাতে হেড করেন তুর্কি ডিফেন্ডার আকেইদিন, যা থামানোর কোনো সুযোগই ছিল না ডাচ গোলরক্ষক ভারব্রুগানের। এরপর গোলের আর তেমন কোনো সুযোগ আসেনি তুর্কিদের সামনে। তবে ডাচরা আর কোনো ভয় ধরাতে পারেনি তুর্কি রক্ষণভাগে। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে কোম্যান শিষ্যরা।

দ্বিতীয়ার্ধে বল মাঠে গড়ানোর আগেই আক্রমণভাগ থেকে বার্জউইনকে তুলে নিয়ে ওয়েগহর্স্টকে মাঠে নামান কোম্যান। ধার বাড়ে ডাচদের আক্রমণেও। মাঠে নামার ৫ মিনিটের মাথায়ই গোলের সুযোগ পান ওয়েগহর্স্ট। এর তিন মিনিট পর আরেকটি সুযোগ। কিন্তু দুটি সুযোগই নষ্ট করেন ডাচদের বদলি স্ট্রাইকার।

ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ আসে তুর্কিদের। তুরস্কের নাম্বার টেন কালহানোগ্লুর ফ্রি-কিক থেকে পাওয়া বলটাকে গোলে প্রায় পরিণতি দিয়েই ফেলেছিলেন আর্দা গুলার। কিন্তু তুরস্কের ভাগ্যে যেন চপেটাঘাতই করে বসে ডাচ গোলপোস্ট।

এরপর ৫৭ মিনিটে ডিপের আরেকটি চেষ্টা রুখে দেন তুর্কি গোলরক্ষক গুনক। ৫ মিনিট বাদে ডাচদের আরও একটা প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় তুর্কি রক্ষণের সামনে।

৬৫তম মিনিটে আবারও ডাচ রক্ষণে আবারও ভয় ধরায় তুরস্ক। কিন্তু তুর্কি উইঙ্গার ইলদিজের শটটা দারুণভাবে রুখে দেন ভারব্রুগান। চার মিনিট বাদে আবার পরীক্ষা দেন তুর্কি গোলরক্ষক গুনক। এবার ওয়েগহর্স্টের দুর্দান্ত এক ভলি রুখে দিয়ে তুরষ্কের জাল অক্ষত রাখেন শেষ ম্যাচের এ নায়ক।

কিন্তু আর বেশিক্ষণ জাল অক্ষত রাখতে পারলেন না গুনক। ৭০তম মিনিটে কর্ণার থেকে ওয়ান টু ওয়ান খেলে বক্সের ভেতর ক্রস করেন মেম্ফিস ডিপে; আর উড়ে আসা সেই বলে বুলেট গতির এক হেড করেন ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ভ্যান ডাইক; যার কোনো জবাবই ছিল না তুর্কি গোলরক্ষকের কাছে। ম্যাচের ২০ মিনিট বাকি থাকতে সমতায় ফেরে নেদারল্যান্ডস।

এই গোলেই যে কনফিডেন্স আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায় কমলা শিবিরের। আক্রমণে আরও চাপ বাড়াতে থাকেন ডিপে-সিমন্স-ওয়েগহর্স্টরা। ৭৫তম মিনিটে ডিপের একটি আক্রমণের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন তুর্কি ডিফেন্ডার মুলডুর। কিন্তু পর মুহূর্তেই বনে যান ভিলেন। ৭৬তম মিনিটে ডেনজেল ডামফ্রিজের ডান প্রান্ত থেকে করা একটি ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে পাঠিয়ে দেন নিজেদের জালে। চলতি ইউরোর ১০ম আত্মঘাতী গোল এটি।

পিছিয়ে পড়ে শেষ ১৪ মিনিটে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করেন তুরস্কের খেলোয়াড়রা। কিন্তু ভারব্রুগেনের সামনে বিফল হয়ে যায় তুর্কিদের সব প্রচেষ্টা। শেষ পর্যন্ত ৭৬তম মিনিটে পাওয়া আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে থেকেই ইউরোর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ডাচরা। সবশেষ ২০০৪ সালের ইউরো আসরে এতদূর যেতে সক্ষম হয়েছিল তারা।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জামায়াত আমিরের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৪ জানুয়ারি)
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ অর্থনীতির জন্য ‘আত্মঘাতী’: ডিসিসিআই সভাপতি
তুরস্কের নারী বেলুন পাইলট ওজদেম