এনসিএল টি-টোয়েন্টির ট্রফি উন্মোচন
সিলেটে শুরু হচ্ছে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। রোববার (৮ ডিসেম্বর) শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হয়ে গেল এ আসরের ট্রফি উন্মোচন পর্ব। ৮ প্রতিযোগী দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়করা উপস্থিত ছিলেন ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর আবার জাতীয় লিগের দীর্ঘ পরিসরের পর্বের পর এবার টি-টোয়েন্টি লিগও অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে লিগ। টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক।
কথা ছিল এ আসরের রবিন লিগের সবকটা খেলা সিলেটে হলেও নক-আউট পর্বের ম্যাচ হবে ঢাকার শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। কিন্তু বিপিএলের প্রস্তুতির কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত শের-ই-বাংলায় আর এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টি আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরটিভি/এমএম-টি
মন্তব্য করুন
তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, চ্যালেঞ্জিং পুঁজি বাংলাদেশের
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানরা। আর আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানকে ২২৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে জুনিয়র টাইগাররা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি জুনিয়র টাইগাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন টাইগার ওপেনার জাওয়াদ আবরার। তবে তিনে ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আজিজ হাকিম তামিম।
আর এই ব্যাটকে সঙ্গ নিয়ে ফিফটি তুলে নেন আরেক ওপেনার কালাম সিদ্দিকি। ১১০ বলে ৬৬ রান করে আউট হন কালাম। ৬ বলে ১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন দেবাষীশ দেবা। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান তামিম।
১৫ বলে ১০ রান করে শিহাব জেমস আউট হলেও ১৩২ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। কিন্তু পরের বলেই ক্যাচ আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
শেষ দিকে ফারিদ (১০) এবং মারফ মৃধা শূন্য রানে আউট হলে রাফির অপরাজিত ১১ রানে ভর করে ২২৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের হয়ে আব্দুল আজিজ, ওমারজাই এবং খাতির দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও আল্লাহ গাজানফর এবং নাসির খান নেন একটি করে উইকেট।
আরটিভি/এসআর
শর্ত পূরণ নয়, সাকিবকে দলে না রাখার পেছনে রয়েছে অন্য কারণ
আর মাত্র কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যেখানে খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। বিসিবিকে দেওয়া তিনটি শর্ত পূরণ না হওয়ায় নাকি এমন সিদ্ধান্ত এই ক্রিকেটারের।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দেশের বেসরকারি একটি গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশের মাটিতে খেলার স্বাধীনতা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং দেশে ফেরা ও বিদেশে যাওয়ার নিশ্চয়তা চেয়েছিল সাকিব। এই তিনটি বিষয়ে অনুমোদন পেতে সরকারকে রাজি করাতে বিসিবিকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু এই বিষয়ে কোনো সমাধান দিতে পারেনি বিসিবি।
যার ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ওয়ানডে সিরিজ খেলা হচ্ছে না বাঁ-হাতি অলরাউন্ডারের। তাকে ছাড়াই স্কোয়াড অনুমোদন করেছেন বিসিবি সভাপতি।
এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটিকে জানিয়েছিল, আমরা চাইলেই অনেক কিছু করতে পারি না। সাকিব দেশে খেলতে পারে না, সে দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারে না। এভাবে শুধু বিদেশে খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন।
এর একদিন পর শনিবার দেশের প্রথম সারির একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে জানানো হয়েছে ভিন্ন কথা। সাকিব যে তিনটি শর্ত দিয়েছে, তা নাকি জানে না বোর্ড কর্মকর্তারা। তার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের না থাকার পিছনে দেখিয়েছে অন্য কারণ।
মুঠোফোনে গণমাধ্যমটিকে এক বোর্ড কর্মকর্তা বলেন, আমাদের মনে হয়েছে, নানা কারণে এ মুহূর্তে সাকিবের যে মানসিক স্থিতি, সেটি ঠিক খেলার মতো অবস্থায় নেই। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টেন লিগ খেলা আর জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা এক জিনিস নয়। সে কারণেই আমরা মনে করেছি, সাকিবের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে না খেলাটাই ভালো। নির্বাচক কমিটিকে বোর্ডের এই মনোভাবের কথা জানানো হয়েছে।
অথচ কয়েক দিন আগে আবুধাবি টি-টেন লিগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়েস্ট সিরিজ দিয়ে মাঠে ফেরার কথা জানিয়েছিলেন সাকিব। সে জন্য নিজেকে প্রস্তুতও করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু দল ঘোষণার আগে বিসিবির মানসিক স্থিতির অভিযোগটা অজু হাতই বলা যায়।
ক্রিকেটীয় বিবেচনায় সাকিবকে বাদ দেওয়ার কোনো কারণ না দেখলেও বোর্ডের এমন মনোভাবের কারণেই গাজী আশরাফ হোসেনের নির্বাচক কমিটি শেষ পর্যন্ত দলে রাখেনি সাকিবকে। এমনিতে দল নির্বাচনে নির্বাচক কমিটির সিদ্ধান্তে বাইরের প্রভাব থাকার কথা নয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, সাকিবের বিষয়টি ‘স্পর্শকাতর’, তাকে দলে না রাখার সিদ্ধান্ত তাই ‘নীতিনির্ধারণী’ বিষয়ের পর্যায়ে পড়ে।
সে কারণেই নির্বাচক কমিটিকে বোর্ড থেকে এ বার্তা দেওয়া হয়েছে যে তারা যেন সাকিবকে বাদ দিয়ে ওয়ানডে সিরিজের দল নির্বাচন করে। নির্বাচকেরাও সেভাবেই তা করেছেন। এখন শুধু দলটা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হওয়া বাকি।
বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচকরা এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল বোর্ডে জমা দিয়েছেন। সাকিবকে দলে না রাখতে বোর্ডের নির্দেশনা থাকায় তাতে নেই সাকিবের নাম।
আরটিভি/এসআর-টি
একনজরে দেখে নিন ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২ দলের নাম
আগামী বছর ১৫ জুন যুক্তরাষ্ট্রে পর্দা উঠবে ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপের ২১তম আসরের। আর ১৩ জুলাই নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। প্রথমবারের মতো ৩২টি দল নিয়ে মাঠে গড়াবে এই টুর্নামেন্ট। যার জন্য ১২টি ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে ফিফা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে বোটাফোগো ও অ্যাথলেটিকো মিনেইরোর ম্যাচ দিয়ে চূড়ান্ত হয়ে টুর্নামেন্টের ৩২টি দল। অ্যাথলেটিকো মিনেইরোকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ৩২ নম্বর দল হিসেবে টিকিট নিশ্চিত করেছে ব্রাজিলের ক্লাব বোটাফোগো।
এর আগে, দুই সপ্তাহ আগে মেগা আসরের ট্রফি উন্মোচন করেছিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (ফিফা)। নতুন মোড়কে তৈরি করা হয়েছে এবারের ট্রফি।
আধুনিক ডিজাইন, নান্দনিকতা, এবং বৈশ্বিক ঐক্য এই তিন বিষয়কে উপজীব্য করে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টি নন্দন ট্রফিটি। এটি প্রস্তুত করেছে বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড টিফানি অ্যান্ড কোং, যা বিশ্বমানের কারুকার্যের জন্য পরিচিত।
সোনায় মোড়ানো পৃথিবীর আকৃতির ট্রফিটিতে ফিফার ২১১ সহযোগী দেশের নাম খোদাই করা আছে, যা বৈশ্বিক ফুটবল সম্প্রদায়ের ঐক্যের প্রতীক। ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বের ১৩টি ভাষা। এর ফলে ট্রফিটির সর্বজনীনতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর যুত্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টটির ড্র।
এক নজরে দেখে নিন ক্লাব বিশ্বকাপের ৩২টি দলের নাম
স্বাগতিক
ইন্টার মায়ামি।
উয়েফা থেকে ১২টি দল
রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, বায়ার্ন মিউনিখ, চেলসি, প্যারিস সেন্ট জার্মেইন, ইন্টার মিলান, পোর্তো, বেনফিকা, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, জুভেন্টাস, অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, রেড বুল সালসবার্গ।
এএফসি ও সিএএফ থেকে ৮টি দল
আল হিলাল, উরওয়া রেড ডায়মন্ডস, আল আইন, উলসান হুন্দাই, আল আহলি, উইদাদ এসি, তিউনিস ও মামেলোডি সানডাউনস।
কনমেবল ও ওএফসি থেকে ৭টি দল
ফ্ল্যামেঙ্গো, ফ্লুমিনেন্স, রিভার প্লেট, পালমেইরাস, বোকা জুনিয়র্স, অকল্যান্ড সিটি ও বোটাফোগো।
কনকাকাফ থেকে ৪টি দল
লিওন, পাচুকা, মারিও মোন্তোররেই ও সিয়াটল সাউন্ডার্স।
আরটিভি/এসআর-টি
হাইব্রিড মডেল নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন শোয়েব আখতার
আগামী বছরের শুরুতে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। কিন্তু পাকিস্তানে গিয়ে এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চায় না ভারতীয় দল। যার ফলে পিসিবিকে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিয়েছে বিসিসিআই। কিন্তু এই টুর্নামেন্ট এককভাবে আয়োজন করতে চায় পিসিবি। দুই পক্ষের দর-কষাকষিতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভবিষ্যৎ।
এর মধ্যেই পাকিস্তান ও ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইস্যুতে সুর কিছুটা নরম করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শর্ত সাপেক্ষে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে রাজি হয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি।
গত ৩০ নভেম্বর পাকিস্তান অবজার্ভারের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দুটি শর্ত পূরণ হলেই হাইব্রিড মডেলে খেলা আয়োজন করবে পিসিবি। প্রথমটি হলো- পিসিবিতে আইসিসির প্রদেয় রাজস্বের হার বাড়াতে হবে।
আর দ্বিতীয়টি হলো ভারত যদি এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না আসে, তাহলে ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টগুলোতে অংশ নিতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান। কিন্তু দুই দেশের শর্তের লড়াইয়ের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার শোয়েব আখতার।
হাইব্রিড মডেল চুক্তিতে আগেই সই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এই কিংবদন্তি পেসার। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এমন মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে শোয়েব আখতারকে। তবে এককভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে পিসিবির দাবিকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শোয়েব বলেন, আপনি আয়োজকস্বত্ব ও রাজস্বের জন্য অর্থ পাচ্ছেন। এটি ঠিক আছে, আমরা সবাই এটি বুঝতে পারি। পাকিস্তানের অবস্থানও যুক্তিসঙ্গত। তাদের একটি শক্তিশালী অবস্থান বজায় রাখা উচিত ছিল, কেন উচিত হবে না? একবার যদি আমরা আমাদের দেশে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে সক্ষম হই এবং তারা (ভারত) আসতে ইচ্ছুক না হয়, তাদের উচিত আমাদেরকে উচ্চ হারে রাজস্বের ভাগ দেওয়া। এটাই ভালো সিদ্ধান্ত।
আইসিসির বর্তমান রাজস্ব কাঠামো অনুসারে ৩৭ শতাংশেরও বেশি রাজস্ব পায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। অন্যদিকে পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৫ শতাংশের কিছু বেশি। মূলত, এ ব্যবধান কমানোর দাবিই করেছে পিসিবি।
তবে পিসিবির দ্বিতীয় শর্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন শোয়েব। তিনি মনে করেন, বন্ধুত্ব বাড়াতে অবশ্যই পাকিস্তানের উচিত হবে ভারতে খেলতে যাওয়া। তবে জবাব হতে অন্য কৌশলে। ভারতকে তাদের মাটিতে গিয়ে হারিয়ে আসতে হবে পাকিস্তানের।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎতে ভারতে খেলার ক্ষেত্রে আমাদের বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে সেখানে যাওয়া উচিত। বরাবরই আমার বিশ্বাস, ভারতে গিয়ে তাদের পরাজিত কর। ভারতে খেলুন ও তাদের ঘরের মাটিতে পরাজিত করুন।
আরটিভি/এসআর/এস
ফুটবল মাঠে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১০০, থানায় আগুন
ফুটবল মাঠে বিভিন্ন ধরণের রেকর্ডের সাক্ষী হয়ে থাকেন দর্শকরা। তবে এবার একটি হতাশাজনক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে গিনির ফুটবল দর্শকরা। দেশটির ফুটবল ম্যাচে রেফারির একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ১০০ জন সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গিনির এনজেরেকোরে, সেখানে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। অন্তত ১০০ জন সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। পরে তা স্টেডিয়ামের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। তবে হাসপাতালের মর্গ লাশে পরিপূর্ণ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় হাসপাতালের এক ডাক্তার এএফপিকে জানিয়েছে, হাসপাতালে যতদূর চোখ যায়, শুধু লাশের সারি। অন্যরা হলওয়েতে মেঝেতে পড়ে আছেন। মর্গ লাশে পরিপূর্ণ। প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, স্টেডিয়ামের বাইরের রাস্তায় বিশৃঙ্খলার দৃশ্য। এ ছাড়াও মাটিতে অসংখ্য মরদেহ পড়ে থাকতেও দেখা গেছে।
মাঠে থাকা এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, রেফারির একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। মাঠে বেশ কয়েক জন সমর্থক ঢুকে পড়েন। তার পরে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তা ক্রমেই বড় হয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা এনজেরেকোর থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
জানা গেছে, গিনির জুনটা নেতা মামাদি দৌমবৌয়াকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য এই ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। ২০২১ সালে জোর করে গিনির ক্ষমতা দখল করেছিলেন মামাদি। নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন তিনি। পরে আন্তর্জাতিক বিরোধিতায় ক্ষমতা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন মামাদি। এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হল সংঘর্ষ।
আরটিভি/এসআর
রিশাদের পরিবর্তে বিগ ব্যাশের দল হোবার্টে আফগান তারকা
বাংলাদেশি রিশাদ হোসেনের পরিবর্তে আফগানিস্তানের লেগস্পিনার ওয়াকার সালামখেইলকে দলে ভিড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগের দল হোবার্ট হ্যারিকেন্স। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করে সবার নজরে আসেন রিশাদ হোসেন।
টাইগার অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে দল পেয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। তাকে কিনে নিয়েছিল হোবার্ট হ্যারিকেন্স। বিগ ব্যাশে সুযোগ পেলেও খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিলে রিশাদের। এর কারণ, বিগ ব্যাশ চলাকালে দেশের মাটিতে আয়োজিত হবে একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএল।
সাংঘর্ষিক শিডিউলের কারণে দল পেলেও ডানহাতি এই লেগস্পিনারের বিগ ব্যাশে খেলা নিয়ে দোটানায় ছিলেন রিশাদ। শিডিউল সংঘর্ষের কারণে শেষ পর্যন্ত সেরা অপশন হিসেবে বিপিএলকেই বেছে নিয়েছেন রিশাদ। শুরুতে দল না পেলেও ফরচুন বরিশালের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর ফলে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাবান ফ্র্যাঞ্জাইজি বিগ ব্যাশ লিগে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় বর্তমানে গ্লোবাল সুপার লিগে খেলছেন রিশাদ। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধি রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছেন তিনি।
এই টাইগার স্পিনারের জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন দলটির হাই-পারফরম্যান্স জেনারেল ম্যানেজার স্যালিয়্যান বিমস।
এ বিষয়ে স্যালিয়্যান বিমস বলেন, ‘ওয়াকার এক অসাধারণ তরুণ প্রতিভা। তিনি আমাদের বোলিং লাইন-আপে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবেন। একইসাথে তিনি রিশাদের মতোই একজন রিস্ট স্পিনার। যদিও রিশাদকে না পাওয়া হতাশাজনক। তবে আমরা জানি, ওয়াকার প্রথম অংশে আমাদের জয় এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।’
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিগ ব্যাশ লিগে খেলা সাকিব দুটি মৌসুম খেলেন। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া টুর্নামেন্টটিতে খেলেন বাঁহাতি টাইগার অলরাউন্ডার।
এরপর বিগ ব্যাশ ও জিম্বাবুয়ের আফ্রো-জিম টি-টেন লিগসহ বেশ কিছু বিদেশি টুর্নামেন্টে দল পান তিনি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে খুব ভালো ফর্মে নেই রিশাদ।
আরটিভি/এমএম/এসআর-টি
স্বর্ণজয়ী শুটার সাদিয়া আর নেই
২০১০ সালে এসএ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে দলগত ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন সাদিয়া সুলতানা। কমনওয়েলথ শুটিংয়েও ছিল তার পদক। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসের পর থেকে তিনি শুটিং অঙ্গন থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন। এবার চিরতরে হারিয়ে গেলেন সাবেক এই তারকা শুটার।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সাদিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সতীর্থ শুটার ও ফেডারেশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা।
কয়েক বছর আগে আগুনে পুড়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে তার জীবন খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না। সতীর্থ শুটারদের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ রাখতেন না। একেবারে নিভৃতে ছিলেন তিনি।
ক্রীড়াঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় সাদিয়ার মৃত্যুর কারণটি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তারকা শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকী ও শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, ‘আমরা চট্টগ্রামে শুটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছে, সাদিয়া আর নেই। এর বেশি কিছু বলতে পারেনি। হাসপাতালে গিয়ে তারাও বিস্তারিত জানবে।’
বিসিবির সাবেক পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দীন আলমগীর জানান, চট্টগ্রাম শহরেই হামজারবাগস্থ মোমিনবাগ অনিবার্ণ ক্লাব প্রাঙ্গণে রাত ৮টা দিকে কৃতী শুটার সাদিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরটিভি/এমএম/এসআর-টি