চলতি মৌসুমে ফেডারেশন কাপে হার দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির কাছে ১–০ গোলের হারে সাদাকালো শিবির। তবে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৬–০ গোলের বড় ব্যবধানে হারানোয় সে হতাশা কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠবে মোহামেডান।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে চট্টগ্রাম আবাহনীকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলাই করেছেন আলফাজ আহমেদের শিষ্যরা।
শুরুতে কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা অবশ্য ছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর। তবে ওপরে উঠে আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে নিজেদের রক্ষণকে বারবার ঝুঁকির মুখে ফেলেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। ১১ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণকে গোলকধাঁধায় ফেলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। আরিফ হোসেনের পাস থেকে গোল করেন উজবেক মিডফিল্ডার মোজাফফরভ। তিন মিনিট পরই আবার আরিফের সহায়তা, যদিও গোলটা এবার তিনিও করতে পারতেন।
রক্ষণকে বোকা বানিয়ে প্রায় ফাঁকায় উঠে আরিফ সোলেমান দিয়াবাতের দিকে বল বাড়িয়ে দিলে বাকি কাজটা করতে মোহামেডান অধিনায়ক কোনো ভুল করেননি। ২–০ গোলে পিছিয়ে পড়া চট্টগ্রাম আবাহনী প্রথমার্ধে মোহামেডানকে মাঝেমধ্যে চোখ–রাঙানোর চেষ্টা করেছে ঠিকই, কিন্তু গোল করার মতো আক্রমণ গড়তে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে তৃতীয় গোল পায় মোহামেডান। তরুণ উইঙ্গার রাজু আহমেদ জিশান ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে ক্রস করলে লাফিয়ে উঠে হেডে গোল করেন আরিফ হোসেন। ৬৯ মিনিটে রাজু আহমেদ জিশান স্কোরলাইন ৪–০ করেন। আরিফের আরও একটি সহায়তা থেকে ৭৭ মিনিটে মোহামেডানকে ৫–০–তে এগিয়ে দেন আরেক তরুণ সৌরভ দেওয়ান। চট্টগ্রাম আবাহনীর কফিনে শেষ গোলটি করেন জুয়েল মিয়া, ৮০তম মিনিটে।
প্রথম ম্যাচে মোহামেডানকে হারিয়ে উড়তে থাকা রহমতগঞ্জ আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও ফুরফুরে মেজাজেই ছিল। ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ইয়াংমেন্স ফকিরেরপুলের বিপক্ষে নাবিব নেওয়াজের হ্যাটট্রিকে পুরান ঢাকার দলটি জয় তুলে নিয়েছে ৬–০ গোলে।
১২ মিনিটে মিরাজ হোসেন অপির গোলে এগিয়ে যাওয়া রহমতগঞ্জ প্রথমার্ধ শেষ করে ২–০ গোলে এগিয়ে থেকে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে নিজের গোলের খাতা খোলেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ। ৫৬ মিনিটে করেন নিজের দ্বিতীয় গোল (৩–০)। ৫৩ মিনিটে ঘানার ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল বোয়েটেং রহমতগঞ্জকে ৪–০ গোলে এগিয়ে দেন। ৭২ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন নাবিব নেওয়াজ (৫–০)। যোগ করা সময়ে গোল করে ফাহিম নূর তোহা ব্যবধান নিয়ে যান ৬–০–তে।
আরটিভি/এমএম