ঢাকা

রিয়েল টাইমে আবহাওয়ার তথ্য পেতে চান বিজ্ঞানীরা

ডয়চে ভেলে

বুধবার, ২৮ মে ২০২৫ , ১১:৫৭ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি।

অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণাগার রিয়েল টাইমে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণের লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রচলিত সেন্সর ব্যবহার না করে বিজ্ঞানীরা ফাইভ-জি সংকেতের মাধ্যমে আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চান। প্রচলিত সেন্সর ব্যবহার না করে বিজ্ঞানীরা ফাইভ-জি সংকেতের মাধ্যমে আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চান। তারা নেটওয়ার্ক সেন্সিং নামে নতুন এক প্রযুক্তি তৈরি করছেন। পরিবেশের পরিবর্তন বুঝতে ফাইভ-জি সিগন্যাল ব্যবহার করা হয়। এই মোবাইল যোগাযোগ প্রযুক্তির কারণে রিয়েল-টাইমে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব হয়।

বিজ্ঞাপন

সিডনি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক সেন্সিং ল্যাব এর জে গু বলেন, আমরা আমাদের মোবাইলের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বেস স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। বেস স্টেশন থেকে মোবাইলে এবং মোবাইল থেকে বেস স্টেশনে সিগন্যাল পরিবেশগত বিভিন্ন কারণে প্রভাবিত হয়ে থাকে। যখন বৃষ্টি হয় কিংবা পানির স্তরের পরিবর্তন হয় তখন সিগন্যালে ভিন্নতা তৈরি হয়। সিগন্যালের এমন পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে আমরা বন্যা ও বৃষ্টিপাত সম্পর্কে তথ্য পেতে পারি। তথ্য বিশ্লেষণ করে তা ডিজিটাল টুইনে পাঠাতে এআই ব্যবহার করা হয়। এরপর প্রোগ্রামটি কখন এবং কোথায় বন্যা হতে পারে তার ছবি তৈরি করে। বর্তমানে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে স্যাটেলাইটের ছবি এবং জটিল সিমুলেশন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এভাবে রিয়েল-টাইম তথ্য পাওয়া যায় না।

জে গু জানান, এখন যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে তা শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদী ও সাধারণ পূর্বাভাস দিতে পারে। যেমন একদিন পরের কিংবা পরবর্তী কয়েক দিনের, অথবা বড় কোনো এলাকার পূর্বাভাস দিতে পারে। এটা কার্যকর, তবে আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাসের জন্য যথেষ্ট কার্যকর নয়। আমাদের পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা আধা বা এক ঘণ্টার মধ্যে বন্যার আশঙ্কা আছে কিনা, কোন সড়কে কতটুকু বন্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে তথ্য দিতে পারি। তথ্যের নির্ভুলতা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে না। ফলে জরুরি পরিস্থিতিতে এটি দারুণ সহায়ক হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার লিসমোর শহর তার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছিল। প্রায় পাঁচ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল অথবা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। উদ্ধারকারী বাহিনী ভবিষ্যতে নেটওয়ার্ক সেন্সিং থেকে লাভবান হওয়ার আশা করছে।

স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিসের ডেভিড মঙ্ক বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো, একটি তথ্যসমৃদ্ধ কমিউনিটি গড়ে তোলা যারা তাদের নিজস্ব পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সঠিক সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে বন্যার সময় জরুরি পরিষেবার খুব বেশি প্রয়োজন হবে না। এটাই হবে বিশ্বের সব জরুরি পরিষেবার মূল লক্ষ্য। আমাদের সাড়া দিতে হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। নেটওয়ার্ক সেন্সিং যেহেতু ইতিমধ্যে বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করে, তাই বন্যার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য এটি একটি সাশ্রয়ী পদ্ধতি। ফাইভ-জি কভারেজ থাকা সব এলাকায় এই প্রযুক্তি কাজ করে।

ডেভিড মঙ্ক বলেন, এটা একটা যুগান্তকারী প্রযুক্তি, কারণ, এর জন্য আপনাকে আসলে এমন কোনো সেন্সর ইনস্টল করতে হয় না, যেটা দুর্যোগের সময় ভেঙে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এবং যেটা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হতে পারে। নেটওয়ার্ক সেন্সিং প্রযুক্তি নিয়ে এখনো কাজ হচ্ছে। কখন এবং কীভাবে এটি ব্যবহার করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |