• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১
logo
পুকুরে ভাসছিল নারী ও শিশুর মর‌দেহ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পুকুর থেকে নারী ও এক ছেলেশিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ বৃহস্প‌তিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মৌচাক তেলির চালা এলাকার একটি পুকুর থেকে মর‌দেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধার হওয়া নারীর আনুমানিক বয়স ২৮ বছর, তার পরনে ছিল নীল রঙের থ্রিপিস। আর বছর আড়াইয়ের শিশুটির পরনে ছিল হলুদ রঙের টি শার্ট। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। পু‌লিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকা‌লে স্থানীয়রা পু‌কু‌রে মর‌দেহ দেখ‌তে পায়। এলাকাবাসী পু‌লি‌শে খবর দি‌লে দুপু‌রে মর‌দেহ উদ্ধার ক‌রে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতাল ম‌র্গে পাঠায়। এলাকাবাসীর ধারণা মর‌দেহ দু‌টি মা ও ছে‌লের হ‌তে পা‌রে।  মৌচাক ফাঁড়ির ইনচার্জ প‌রিদর্শক ম‌হিদুল ইসলাম জানান, খবর পে‌য়ে মর‌দেহ উদ্ধার ক‌রে ম‌র্গে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। ময়নাতদন্ত শে‌য়ে মর‌দে‌হের প‌রিচয় ও হত‌্যা বা আত্মহত্যার বিষয় নি‌শ্চিত করা যা‌বে। আইনগত ব‌্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন র‌য়ে‌ছে।  আরটিভি/এএএ 
৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৪৯

কালিয়াকৈরে বন্ধুকে কুপিয়ে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ 
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দশ তলা একটি ভবনের ছাদ থেকে সাব্বির আহমেদ (১৭) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বন্ধুদের বিরুদ্ধে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বালুর মাঠে ইউনিক টাওয়ারের দশ তলা একটি ভবনের ছাদে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাব্বির সফিপুর আন্দারমানি এলাকার বাসিন্দা লিটন মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সফিপুর বালুর মাঠ এলাকায় ইউনিক টাওয়ারের নবম তলার বাসিন্দা আবদুর রহিম মিয়ার জমজ দুই ছেলে রাকিব ও সাকিব বন্ধু সাব্বিরকে নিয়ে ছাদে আড্ডা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে ছাদে থাকা অন্য আরেক যুবককে নিচে পাঠিয়ে দেয় রাকিব ও সাকিব। পরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে সাব্বিরকে জখম করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে গুরুতর অবস্থায় সাব্বিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গের পাঠানো হয়েছে।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ২ হত্যা মামলা
দুই যুবককে হত্যার অভিযোগ গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২১৭ জনের নাম উল্লেখ করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই দুই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা এলাকার হায়াত আলী ফকিরের ছেলে মো. জসিম ফকির (৩৬) ও কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকার বাসিন্দা শাহিনুর মাহমুদ শেখ (৪০)। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ওই দুটি হত্যা মামলায় বাদী হয়েছেন নিহত জসিম ফকিরের ভাই রিয়াজ ফকির ও নিহত শাহিনুরের স্ত্রী সালমা বেগম। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় গত ৪ আগস্ট বিকেলে আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে জসিম ফকির নিহত হন। পরে তার লাশ নিহতের পরিবার উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে নিহতের ভাই রিয়াজ ফকির বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ হেলাল, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে হুকুমের আসামি করে ১০৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া, অপর মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহেনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে হুকুমের আসামি করে ১০৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নাজমুস সাকিব খান বলেন, কালিয়াকৈর থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর একটি শুক্রবার রাতে নথিভুক্ত করা হয়েছে, অপরটি শনিবার সকালে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:০৮

পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী।  শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভোররাতে উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আঁখি আক্তার (৩২) গোবিন্দপুর এলাকার বাবুলের স্ত্রী। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো স্বামী-স্ত্রী দুজনেই রাতে খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। শুক্রবার ভোররাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আঁখি ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় বাবুল তাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে আশেপাশের লোক ছুটে এলে স্ত্রী স্ট্রোক করেছে বলে সে কান্নাকাটি করতে থাকে। তার এমন আচরণে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী বাবুলকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, পারিবারিক কলহে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৬ আগস্ট ২০২৪, ১৩:৪৭

কালিয়াকৈরে ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে ধরলেন শিক্ষার্থীরা
কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।  রোববার (১১ আগস্ট) ওই এলাকার ফাতেমা হোটেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযান চালিয়ে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন।  আটককৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর থানার গোরাচালা এলাকার নজরুল ইসলামের স্ত্রীর ফাতেমা আক্তার (৩৭), কালিয়াকৈর উপজেলার হিজলহটি এলাকার হাবিব হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন (১৮), বগুড়া জেলার শেরপুর থানার বাঘা বটতলার এলাকার ফয়েজ মিয়ার ছেলে ককটেল হোসেন (২০)।   বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় রোববার ফাতেমা হোটেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা অভিযান চালিয়ে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। ওই তিন মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়। পরে আটককৃতদের চন্দ্রা মোড়ে পুলিশ বক্সে আটক করে রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এলাকাবাসী শিক্ষার্থীদের এমন অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র মেহেদী হাসান বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ৩ জনকে আটক করে রাখা হয়েছে তারা বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা করতো বলে জানা গেছে।  স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের রিপন আহমেদ বলেন, মহাসড়কে আমরা সঠিকভাবে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছি। সকালে ছাত্ররা ফাতেমা হোটেলে অভিযান করে তিন মাদক ব্যবসাকে আটক করেছে।
১২ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৮

সাপের কামড়ে মৃতকে জীবিত করতে কবিরাজের কাণ্ড!
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সাপের কামড়ে মৃত সাইফুল ইসলাম (৪০) নামের এক যুবককে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে জীবিত করার আয়োজন করেন এক ভুয়া কবিরাজ। পরে কড়ি (ছোট শামুকের খোল) আনার কথা বলে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।  রোববার (৩০ জুন) দিবাগত রাতে তার দফন সম্পন্ন হয়। সাইফুল ইসলাম পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার বাসুরা গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে। এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, সাইফুল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাতে টেঁটা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে মাছ ধরতে বাড়ির পাশের একটি বিলে যান। যাওয়ার পথে হঠাৎ সাইফুলের বাম পায়ে বিষধর একটি সাপ কামড় দেয়। এরপর সঙ্গে থাকা অন্য ব্যক্তি টেঁটা দিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন। পরে মৃত সাপটি নিয়ে সাইফুল বাড়িতে ফিরে স্বজন ও এলাকাবাসীকে ঘটনাটি জানান। পরে স্বজনরা তাকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যান। ঝাড়ফুঁক শেষে কবিরাজের বাড়ি থেকে রাতেই তাকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ বাড়িতেও নিয়ে আসেন স্বজনরা। দুপুর দুইটাই জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়। এমনকি দাফনের জন্য কাফনের কাপড়ও পরানো হয়। এমন সময় এক কবিরাজ তাদের বাড়িতে আসেন। পরে তিনি বলেন, এই লাশ এখনো মরেনি। মৃত ব্যক্তিদের শরীর শক্ত হয়ে যায় কিন্তু তার শরীর শক্ত হয়নি। ঘুমন্ত মানুষের মতো নড়াচড়া করছে। কড়ি নিয়ে এসে ঝাড়ফুঁক করলে তাকে সুস্থ করা সম্ভব। কবিরাজের এমন কথার পর মরদেহ দাফন বন্ধ করা হয়। পরে কবিরাজের কথামতো খোলা মাঠের মধ্যে কলা গাছ, দুধ, মহিষের শিংসহ বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। কবিরাজের চিকিৎসার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশ থেকে শতশত লোক তাদের বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন। এমন সময় কবিরাজ তাদের জানায় তার চিকিৎসার জন্য কড়ি প্রয়োজন। এটি সাভারে পাওয়া যেতে পারে, এর জন্য কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা লাগবে। কবিরাজের কথা মতো তাকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে পাঠানো হয় সাভারে। বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হতে থাকে। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বারোটা বেজে গেলেও সেই কবিরাজ আর ফিরে আসেনি। নিহতের ভাই আলী হোসেন বলেন, কলাগাছ, দুধ, নতুন সিলভারের কলসিসহ অনেক কিছু ব্যবস্থা করেছি। পরে ওঝা বলে তার চিকিৎসার জন্য কড়ি লাগবে। ভালো কড়ি নাকি পাওয়া যায় সাভারে। কড়ি আনতে গিয়ে সে আর ফিরে আসেনি। পরে গ্রামবাসী ও সবার পরামর্শে রাতে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মৃত ব্যক্তির স্বজনেরা লাশ ধরতে দেননি। ওঝা নাকি তাদের বলে গেছেন, চিকিৎসা শেষ করার আগপর্যন্ত এই লাশ ধরা যাবে না। ওই ওঝা কড়ি আনার কথা বলে আর ফিরে আসেননি। পরে স্বজনেরা লাশ দাফন করেছেন।
৩০ জুন ২০২৪, ১৩:০৯

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন / ব্যানার-বিলবোর্ডে শ্রীহীন কালিয়াকৈর, নজর নেই প্রশাসনের
আগামী ২১ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এ নির্বাচনে বিভিন্ন বিলবোর্ডে প্রার্থীদের দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষেধ থাকলেও মানছেন না কোনো প্রার্থীরা। অপরদিকে বিলবোর্ড, পোস্টার অপসারণের সরকারি প্রজ্ঞাপন থাকলেও উপজেলা প্রশাসনের নেই কোনো উদ্যোগ।  শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে উপজেলা চত্বরসহ বিভিন্ন মহাসড়কে এমনি চিত্র চোখে পড়ে। দেখা গেছে, ব্যানার, বিলবোর্ড আর পোস্টারে ঢাকা পড়ে সৌন্দর্য হারাচ্ছে কালিয়াকৈর শহর। এমনকি থানার ও উপজেলার প্রধান ফটকটি পর্যন্ত ঢেকে গেছে নানা প্রচারণামূলক ব্যানার, পোস্টারে। থানার সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষেও রয়েছে অসংখ্য ব্যানার-বিলবোর্ড। অথচ এসব ব্যানার, পোস্টার অপসারণে নেই কোনো উদ্যোগ। থানার মূল ফটকসহ সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষে কোচিং সেন্টার, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে ভর্তি, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণামূলক পোস্টার ঝুলছে।  এছাড়াও কালিয়াকৈর, সফিপুর, চন্দ্রা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ওপর বিলবোর্ড, পোস্টারসহ নানা নেতাকর্মীদের বিলবোর্ড লাগানো রয়েছে। তবে কালিয়াকৈর পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে যত্রতত্র বিলবোর্ড-ব্যানার টানানো রয়েছে শহরে। অনেক সময় এসব বিলবোর্ডের কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে যানবাহন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি নেই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহাম্মেদ জানান, বিলবোর্ড একবার অপসারণ হয়েছে। আবার বিলবোর্ড লাগিয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।     
১৭ মে ২০২৪, ১৬:০০

কালিয়াকৈরে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাসের চাপায় মোটরসাইকেলে থাকা স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হলেও চালককে আটক করা যায়নি।  রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে পরিবার ও এলাকায় চলছে শোকের মাতম। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বড়ইতলী গ্রামে নিহত পরিবারের বাড়িতে গেলে এমন চিত্র দেখা যায়। নিহতরা হলেন উপজেলার বড়ইতলী গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে আসিফ মাহমুদ ও তার স্ত্রী তানজিন (২৪)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালনা হাইয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন।                                   পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, আসিফ মাহমুদ ও তানজিনের দশ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রোববার রাতে আসিফ মাহমুদ ও তার স্ত্রী তানজিনকে নিয়ে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার আজগানা এলাকায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ির ফেরার পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস এলাকায় পৌছালে জামালপর পরিবহনের একটি বাস আসিফ মাহমুদ ও তার স্ত্রী তানজিনকে চাপা দেয়। তারা দুজনে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান। এ সময় দুজনই গুরুত আহত হন।  পুলিশ আরও জানায়, আহত অবস্থায় আসিফ মাহমুদ ও তানজিনকে উদ্ধার করে ঢাকা নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।  এ বিষয়ে ওসি মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা বাসটিকে জব্দ করেছি। তবে বাসের চালককে আটক করা যায়নি।  এ দুর্ঘটনায় পরিবার ও এলাকায় চলছে শোকের মাতম।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪২

কারখানার সীমানায় কুকুর হত্যা, বিড়ম্বনায় প্রতিষ্ঠান
একটি পাগল কুকুর যেনো বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ালো গাজিপুরে অবস্থিত এফ বি ফুটওয়্যারের। জুতা প্রস্তুতকারি এই প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় একটি বেওয়ারিশ পাগল কুকুর মেরে ফেলাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। আর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কারখানায় দায়িত্বরত গুড গার্ড সিকিউরিটি এন্ড প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্টের সিকিউরিটি গার্ড। ঘটনা চলাকালিন ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন সজীব নামের এক ব্যক্তি। এরপর থেকেই অজ্ঞাতনামা কিছু লোক এফ বি ফুটওয়্যারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই না, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফ্যাক্টরির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফোন কল ও এসএমএস দিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। এ ঘটনায় এফ বি ফুটওয়্যার লিমিটেডের এইচআর অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে কালিয়াকৈর থানায় পুরো ঘটনা উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এদিকে ফেসবুকে ভিডিও শেয়ার করা ব্যক্তি মো. সজীব তার ভুল স্বীকার করেন। এরসঙ্গে আরও একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গত ২৮ জুন বেলা আনুমানিক ১০টায় আমার পার্শ্ববর্তী কারখানায় একটি কুকুরকে কোম্পানির নিরাপত্তা কর্মীরা মারধর করে এবং আমি সেটা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করি। পরে জানতে পারি কুকুরটি পাগল ছিল এবং একটি ছাগলকে কামড়িয়ে মেরে ফেলেছে। যেহেতু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটিতে অনেক শ্রমিক কাজ করে তাই তাদের এবং অন্যান্য প্রানীর নিরাপত্তার স্বার্থে পাগল কুকুরটিকে ধরে মারা হয়েছে। আমি পুরোপুরি ঘটনা না জেনে একটি অসত্য তথ্য ছড়িয়ে সামাজিক বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছি এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করেছি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে মানসম্পদ বিভাগের প্রধান মো. মনজুরুল হাসান গণমাধ্যমে বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি অবশ্য কারও কাম্য নয়। এমন একটি অমানবিক ঘটনা আমদের কারখানার সীমানায় ঘটে যাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। আমরা এতে মর্মাহত। ঘটনার পর থেকে কর্তব্যরত গার্ডদের বিরুদ্ধে আমরা গুড গার্ড প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দায়ের করি। প্রাথমিকভাবে দুজন গার্ডকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে তারা যেন বিষয়টি আরও কঠোরভাবে পরিচালনা করে সেই বিষয়েও আমরা নজর দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এফ বি ফুটওয়্যারের সম্মানহানী যেভাবে করা হচ্ছে সেটিও বিড়ম্বনার বিষয়। আমরা আইন অনুযায়ি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। কিন্তু এরমধ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যেভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেটির বিষয়েও আমরা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করব সবকিছুর একটি সুন্দর সমাধান হবে। সেটাই আমাদের চাওয়া। অন্যদিকে, সিকিউরিটি কোম্পানির ভাষ্য অনুযায়ী কুকুরটি একদিন পূর্বে কারখানার (এফ বি ফুটওয়্যার লি:) একটি ছাগল মেরে ফেলে এবং তার অস্বাভাবিক চলাফেরা লক্ষ্য করা যায়। কুকুরটি পাগল নিশ্চিত হলে ফ্যাক্টরির অন্যান্য প্রাণী (ছাগল -৬০টি, গরু-২৬ টি) এবং প্রায় ২৫০০ শ্রমিক কর্মচারীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কুকুরটিকে মেরে ফেলা হয়।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৬

ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা একটি শিল্প অঞ্চল। এখানে রয়েছে তিন শতাধিক শিল্প কারখানা। এসব শিল্প কারখানা ঈদের ছুটি ঘোষণা করলেই ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা এলাকাজুড়ে বেড়ে যায় যানজট। সড়কের দুই পাশে রয়েছে শতাধিক বাস কাউন্টার। চন্দ্রা থেকে চৌরাস্তার মহাসড়কের দুপাশে অসংখ্য ফুটপাত রয়েছে। এসব ফুটপাত ও যত্রতত্র ভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণেই যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। তবে ঢাকা টাঙ্গাইল এলেঙ্গা মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা।  জানা গেছে, ঈদ আসলেই মনে পড়ে মানুষের দুর্ভোগের কথা। নাড়ির টানে উত্তরবঙ্গের ২২ জেলার মানুষ প্রতি বছরই ঈদে যানজটের পরে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় চন্দ্রা এলাকাজুড়ে। এবারও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত চার লেন প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেজে ১৩ কিলোমিটার রাস্তায় বিরামহীন নির্মাণকাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।  যানজট নিরসনে ঈদের পূর্বেই এলেঙ্গায় থেকে চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চান তারা। ঢাকা টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে গাজীপুরের ভোগড়া পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় চার লেনসহ দুই পাশে ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুটি সার্ভিস লেন হয়েছে। এতে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যানজট প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এ রাস্তা দেখে উন্নত দেশের রাস্তার মতো মনে হলেও এটি এখন দৃশ্যমান ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের রাস্তা। আর এই রাস্তার সুফল ভোগ করছে উত্তরবঙ্গসহ মোট ২২ জেলার মানুষ। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তাটি এখনও চার লেনে উন্নীত হয়নি। ফলে মহাসড়কের ৭০ কিলোমিটার এলাকার সুফল মিললেও দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি উত্তরবঙ্গের ২২ জেলার মানুষের। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ভোগান্তির আশঙ্কা অনেকটাই কমে গেছে। এরিমধ্যে গাজীপুর ভোগরা সহ চৌরাস্তা থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ৮টি ফ্লাইওভার দিয়ে গাড়ী চলায় যানজট কমে গেছে। ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় অসংখ্য বাস কাউন্টার, সড়কের দুপাশে ফুটপাত, যত্রতত্র ভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানান চালকরা। গাজীপুর সড়ক ও জনপথ উপসহকারী প্রকৌশলী অভি সুজন জানান, সড়ক ও জনপথ চন্দ্রা এলাকায় সড়কের মাঝে ডিভাইডার কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজ শেষ হলে চন্দ্রা এলাকা যানজট কমে যাবে।  কোনাবাড়ি থানা হাইওয়ে ভারপ্রাপ্ত (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, এবার আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে চন্দ্রা আশপাশের সকল বাস কাউন্টার, ফুটপাত উচ্ছেদ করা হচ্ছে। যাতে করে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে। যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করবেন বলে জানান।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়