• ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
logo
প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করলেন পাকিস্তানি যুবক
প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেছেন এক পাকিস্তানি যুবক। জানা যায়, ১৯ ডিসেম্বর আদালতে পাকিস্তানের লাহোরের বাসিন্দা আলিম উদ্দিনের (২৮) সঙ্গে খাগড়াছড়ির তরুণী তাহমিনা আক্তারের (২২) বিয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।  এরপর রোববার (২২ ডিসেম্বর) তাহমিনার বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয়রা জানান, তাহমিনা আক্তার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। বিয়ের বিষয়ে তাহমিনা আক্তার বলেন, আলিম উদ্দিন পাকিস্তানের লাহোরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আট মাস আগে তার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সূত্রে পরিচয়। পরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১১ ডিসেম্বর আলিম উদ্দিন পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম আসেন। এ সময় প্রথমবারের মতো তার সঙ্গে আলিমের সরাসরি সাক্ষাৎ হয়। দুজনের প্রেমের বিষয়টি আমি আমার পরিবারকে জানাই। পরিবারের সম্মতিতেই দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তাহমিনার বাবা আবুল হোসেন বলেন, আলিমের সঙ্গে কথা বলে ভালো লেগেছে। আমার মেয়ে সুখী হলেই আমি খুশি। মেয়ের ভিসার প্রক্রিয়া চলমান। ভিসা হলেই বরের সঙ্গে সে পাকিস্তানে শ্বশুরবাড়িতে চলে যাবে। এর আগে দুজন আমার বাড়িতেই থাকবে। এ দিকে পাকিস্তানি যুবক আলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি আমার পরিবার জানে এবং তারা বিয়েতে সম্মতি দিয়েছে। তাদের কথায় আমি বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেছি। আমার পরিবার পাকিস্তানে আমাদের ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে।’ আরটিভি/এমকে
১ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান টানাপোড়েন অবসানের আশা ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রীর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকেই এক ধরনের টানাপোড়েন চলছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তাকে ফেরত আনা নিয়ে দুদেশের রাজনৈতিক মহলে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ এবং সবশেষ ভারতের একাধিক রাজ্যে বাংলাদেশ মিশনে হামলায় তীব্র হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এ টানাপোড়েন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশই।  তবে, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান টানাপোড়েনের অবসান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা। ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী পর্যটন প্রচার উৎসব চলছে রাজ্যটিতে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ উৎসব উপলক্ষে আগরতলার খেজুর বাগান এলাকার গীতাঞ্জলি গেস্ট হাউসে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অতীতের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডা. মানিক সাহা।  ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত, এমনকি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গেটেওয়ে হয়ে উঠবে, এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে এ কাজ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। আগামীতে এ সমস্যার সমাধান হবে। আশা করি, ত্রিপুরা ও গোটা ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আগের মতো উন্নত হবে।  তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরায় আসা দেশ-বিদেশি পর্যটকদের আরও বেশি সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার পর্যটক পুলিশ চালু করার পরিকল্পনা করছে। কারণ, সরকার দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ত্রিপুরা রাজ্যে আনার জন্য সব ধরনের সুবিধা ও বিশেষ করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করছে। আলোচনা সভার পাশাপাশি গীতাঞ্জলি গেস্ট হাউসে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের পর্যটকদের স্টল পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।   এ ছাড়া পর্যটন প্রচার উৎসব উপলক্ষে এদিন রাতে রাজধানীর আস্থাবল ময়দানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠ শিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫১

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন পরিকল্পিতভাবে অতিরঞ্জিত: শফিকুল আলম
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন পরিকল্পিতভাবে অতিরঞ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করা এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। পোস্টে শফিকুল আলম বলেন, বিপ্লব-পরবর্তী দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন যে অতিরঞ্জিত তা প্রমাণিত হয়েছে নেত্র নিউজের একটি প্রতিবেদনে। নেত্র নিউজ একটি শীর্ষ অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট এবং নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশের জন্য তাদের খ্যাতি রয়েছে। তিনি বলেন, আমি আশা করেছিলাম নেত্র নিউজের প্রতিবেদনের পর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অন্তত একটি বিবৃতি দেবে। কারণ, তাদের প্রকাশিত অতিরঞ্জিত প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করেছে একটি শীর্ষ অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় তারা কোনো বিবৃতিও দেয়নি। তিনি আরও বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনে নয়জন হিন্দু সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এটা কোনোভাবেই সত্য নয়। তারা কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত হয়নি। বরং তাদের প্রত্যেকের মৃত্যুর পেছনে রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত এবং অন্যান্য কারণ ছিল। এই এই একই সময়ে একই কারণে আরও বহু মানুষও নিহত হয় যারা হিন্দুও নয়, সংখ্যালঘু নয় বরং সংখ্যাগরিষ্ঠ। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, হিন্দুদের ওপর বিপ্লব-পরবর্তী হামলার প্রতিবেদনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ১১ মিলিয়নেরও বেশি বার উদ্ধৃত করা হয়েছে। বিশেষ করে এটা প্রচার করছে শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী একটি হিন্দু আমেরিকান গোষ্ঠী, ভারতীয় মিডিয়াগুলো এবং ভারতীয় ভাষ্যকাররা। তারা বাংলাদেশ নিয়ে ভুল মেসেজ তৈরি করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। তিনি বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে তা অত্যন্ত গুরুতর। আমরা আশা করি, শীর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ এবং উদারপন্থি সংবাদপত্রগুলো কাউন্সিল দ্বারা প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনকে বিশ্বাস না করে তারা নিজেরা তদন্ত করবেন। তিনি আরও বলেন, এসব মিথ্যা রিপোর্টের ভিত্তিতে কেউ কেউ বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানোর বা বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা এ ধরনের বার্তার প্রতিবাদ জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমরা আশা করি আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠী যেমন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ স্বাধীনভাবে তদন্ত করবে। যেভাবে তারা তদন্ত করেছিলেন, ২০১৩ সালে হেফাজত কর্মীদের গণহত্যার বিষয়ে। শফিকুল আলম বলেন, এই অতিরঞ্জিত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে অন্যায়ভাবে চিত্রিত করছে। আমি বিশ্বের স্বাধীন সংবাদপত্র ও অধিকার গোষ্ঠীগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা বাংলাদেশে আসুন এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেখুন। আরটিভি/এফএ
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:২০

সংখ্যালঘু নিয়ে ভারত মিথ্যাচার করছে: হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ভালো আছেন, কিন্তু পতিত শেখ হাসিনা ভারতকে দিয়ে বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট। এ সময় ভারত সরকারকে এই কাজ থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুরে ভারতীয় গণমাধ্যম ও ধর্মান্ধ রাজনৈতিক কিছু ব্যক্তির বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা, হাইকমিশনে হামলা, পতাকা পোড়ানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ থেকে এই দাবি করেন তারা। মিছিলটি নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাব চত্বর থেকে ঘুরে আবারও গ্রান্ড হোটেল মোড়ে এসে সমাবেশ করে। এ সময় ফ্রন্ট নেতাদের পাশাপাশি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু। এ সময় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ঐক্য ফ্রন্ট্রের পীরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রবীন চন্দ্র মোহন্ত বলেন, ভারতে সহকারী হাই কমিশনে মৌলবাদী হিন্দুরা হামলা করেছে। আমরা রংপুরের সকল হিন্দুদের পক্ষ থেকে তাই প্রতিবাদে মাঠে নেমেছি। আমরা ওই ঘটনার প্রতিবাদ করছি ও বিচার দাবি করছি।  রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই একত্রিত, অভিন্ন নই। আমরা সুষ্ঠুভাবে বসবাস করছি। কোনো সাম্প্রদায়িক ফ্যাসাদ ছাড়াই। কিন্তু বিগত দিনের পতিত শেখ হাসিনা সরকার ভারতে পালিয়ে গিয়ে ভারত সরকারকে উস্কে দিয়ে আগরতলায় বাংলাদেশের অ্যাম্বাসিতে হামলা ও পতাকা পুড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবাদ জানাতে আমরা মিছিল করেছি। এরপর যদি কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটায় তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করবো। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ঐক্য ফ্রন্টের রংপুর জেলার সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং মুসলমান ভাইয়েরা আমরা আগে থেকেই ঐক্যবদ্ধ। এটা আজকের নয়। শত বছরের ঐক্য। ভারতীয় যে দালালেরা পতিত হাসিনার ইন্ধনে মিথ্যা প্রচারণা এবং হামলা ও জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দিয়েছে, এরা হাসিনার পতনকে মেনে নিতে পারেনি। তাদেরকে জানাতে চাই, আমাদের ঐক্য এখন আগের চেয়ে আরও অটুট।  আরটিভি/এএএ 
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩২

হাইকমিশনে হামলা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, দুর্ভাগ্যজনক ও নিন্দনীয়। বিশ্বের প্রতিটি দেশের জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন যেকোনো দেশের নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব।  এর কোনো ধরনের অবমাননা সে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করার শামিল। কোনো দেশের পতাকা নিয়ে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা যেকোনো দেশের নাগরিকের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বার্থে অত্যাবশ্যক। আরটিভি/এফএ
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫২

হাইকমিশনে হামলা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নিন্দা
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা জানিয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সংগঠনটির চেয়ারম্যান বাবু বিজন কান্তি সরকার ও মহাসচিব এস এন তরুন দে এক বিবৃতি এ নিন্দা জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, ভারতের উত্তর আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে উগ্রবাদীদের আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যে আক্রমণ করেছে তা পূর্বপরিকল্পিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর করা জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ। তারা আরও বলেন, ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে যে, আপনাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কৌশল হিসেবে বাংলাদেশে-ঘৃণার ব্যবহার উভয় দেশের সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী টানাপোড়েন সৃষ্টি করবে। আমরা আশা করব যে, নতুন বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি ভারতীয়রা শ্রদ্ধাশীল হবেন ও বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনকালে যে সকল নেতা ভারতে অবস্থান করছেন তাদের ফিরিয়ে দিয়ে বিচারে সহায়তা করবেন। আরটিভি/এফএ/এস
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৪

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ ১১২ বছর বয়সে মারা গেলেন
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ জন আলফ্রেড টিনিসউড মারা গেছেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের সাউথপোর্টের এক সেবাযত্ন কেন্দ্রে (কেয়ার হোম) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সেখানেই তিনি বসবাস করতেন। মৃত্যুকালে এই ব্যক্তির বয়স হয়েছিল ১১২ বছর।  মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তার পরিবারের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকডর্স কর্তৃপক্ষ।  চলতি বছরের এপ্রিলে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের খেতাব পান জন আলফ্রেড। এ বছরের এপ্রিলে ১১৪ বছর বয়সী হুয়ান ভিসেন্ট পি রেজ মোরার মৃত্যু হলে টিনিসউড বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের খাতায় নাম লেখান। তার পরিবার জানায়, জীবনের শেষদিন সংগীত আর ভালোবাসায় মুখর ছিল তার চারপাশ। ১৯১২ সালের ২৬শে আগস্টে যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে অ্যাডা ও জন বার্নার্ড টিনিসউডের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন জন টিনিসউড। একই বছর টাইটানিক জাহাজ আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে গিয়েছিল। ২০২০ সালে জন যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের খেতাব পান। জন আলফ্রেড সারা জীবন ছিলেন লিভারপুল ফুটবল দলের সমর্থক। ১৯০১ ও ১৯০৬ ছাড়া ক্লাবটির জেতা সব কটি ট্রফির ম্যাচ উপভোগ করেছেন তিনি। চলতি বছরের এপ্রিলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জন আলফ্রেডকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের স্বীকৃতি দেয়। এক বিবৃতিতে জনের পরিবার বলেছে, তার অনেক সূক্ষ্ম গুণ ছিল। তিনি ছিলেন একাধারে বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ, সাহসী, যেকোনো সংকটে শান্ত, গণিতে মেধাবী ও একজন সদালাপী। এই গুণগুলো তাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রয়্যাল আর্মি পেস কোরে সামরিক চাকরির সময় সুবিধা দিয়েছে। সেখানে তিনি হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষণ, আটকে পড়া সেনাদের শনাক্ত করা এবং খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করার মতো কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জনের সঙ্গে তার স্ত্রী ব্লডওয়েনের পরিচয় হয় লিভারপুলে একটি নাচের অনুষ্ঠানে। ১৯৪২ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের কন্যা সুজানের জন্ম ১৯৪৩ সালে। এই দম্পতি ৪৪ বছর দাম্পত্য জীবন উপভোগ করেন। জনের স্ত্রী মারা যান ১৯৮৬ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন আলফ্রেড রয়্যাল মেইলে কাজ করেন। পরে তিনি জ্বালানি তেল কোম্পানি শেল ও বিপিতে হিসাবরক্ষকের কাজ করেন এবং ১৯৭২ সালে অবসরে যান। জনের পরিবার বলেছে, অবসর নেওয়ার পরও তিনি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজে ছিলেন সক্রিয়। জীবদ্দশায় জন একবার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তরুণ বয়সে তিনি অনেক বেশি সক্রিয় ছিলেন। তিনি অনেক হাঁটাহাঁটি করতেন। তবে এত লম্বা সময় কীভাবে বেঁচে আছেন, সে বিষয়ে তাঁর কোনো ধারণা নেই। তিনি অন্যদের থেকে আলাদা নন। জন বলেন, ‘আপনি হয়তো লম্বা সময় অথবা খুব কম সময় বাঁচবেন। আর এ ব্যাপারে আপনার কিছুই করার নেই।’ শততম জন্মদিনের আগে জন আলফ্রেড সাউথপোর্টের হলিস রেস্ট কেয়ার হোমে চলে আসেন। সেখানেই কাটান জীবনের বাকি সময়। ২০১২ সালে ১০০ বছরে পা রাখার পর থেকে প্রতিবছর জন্মদিনে ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁকে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠাতেন। বয়সে জনের চেয়ে ১৪ বছরের ছোট ছিলেন রানি এলিজাবেথ। বর্তমান রাজা তৃতীয় চালর্সও কার্ড পাঠানোর এ ধারা জারি রেখেছিলেন। বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ ছিলেন জাপানের জিরোইমন কিমুরা। তিনি ১১৬ বছর ৫৪ দিন বেঁচে ছিলেন। ২০১৩ সালে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী ও মানুষ জাপানের ১১৬ বছর বয়সী তোমিকো ইতোকা। আরটিভি/এফআই
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩

প্রেমের টানে বাংলাদেশে কোরিয়ান যুবক, গ্রহণ করলেন ইসলাম ধর্ম
হাজার মাইলের দূরত্ব ঘুচিয়ে ইন্টারনেটের বদৌলতে প্রেম-পরিণয় ঘটছে অহরহই। প্রায়ই শোনা যাচ্ছে, ভিনদেশি তরুণ, ভিনদেশি তরুণী প্রেমের টানে ছুটে আসছেন বাংলাদেশে। এমনই এক ঘটনা এবার ঘটেছে সাভারে। ১৯ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া তরুণীর প্রেমে মজে বাংলাদেশে এসেছেন জে. মিঙ্গি নামে দক্ষিণ কোরিয়ার এক তরুণ। এ মাসের শুরুর দিকে বিয়ের পর আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) হয়ে গেল তাদের বিবাহ-পরবর্তী সংবর্ধনা। প্রায় চার মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোলের তরুণ জে. মিঙ্গির সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় হয় সাভারের আড়াপাড়া সবুজবাগ এলাকার মো. রেজাউল করিমের মেয়ে রেজভি আক্তার সুমাইয়ার। সেই পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজন। এই প্রেমের টানে গত ১ নভেম্বর সাভারে চলে আসেন জে. মিঙ্গি। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি হয়ে যান আরফান ইসলাম। পরদিন ২ নভেম্বর ইসলাম ধর্মের রীতিতে সুমাইয়ার সঙ্গে আবদ্ধ হন বিবাহবন্ধনে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে সাভারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ যুগলের বিবাহ-পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন আগতরা। যুগলের জন্য জানান শুভকামনা। ভিনদেশি তরুণের সঙ্গে কন্যার বিয়ে হওয়ায় আনন্দিত সুমাইয়ার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরাও। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, এরপর সফল পরিণয়ে খুশি আরফান-সুমাইয়া যুগল। ভাঙা বাংলায় স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা জানান কোরিয়ান তরুণ। হাজার মাইলের দূরত্ব ঘুচিয়ে যে কাছে আসা, চার হাত এক হওয়া তা আজীবন অটুট থাকুক, এমনটিই প্রত্যাশা জানান বিবাহ-পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আমন্ত্রিত অতিথিরা। আরটিভি/এসএইচএম
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১১

পর্দায় ফিরছেন আবুল হায়াত
গুণী অভিনেতা আবুল হায়াত। ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-সিনেমা, এমনকি বিজ্ঞাপনেও  দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি। যা আজও তার ভক্তদের মনে দাগ কেটে আছে। তবে বর্তমানে অনস্ক্রিন খুব একটা দেখা যায় না তাকে। এদিকে অভিনেতাকে আবারও টিভি পর্দায় দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন নাটকপ্রেমীরা।  অবশেষে ভক্তদের সেই অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। শিগগিরই ‘শেকড়ের টানে’ নামের একটি নাটক দিয়ে পর্দায় ফিরছেন আবুল হায়াত। এটি একক খণ্ডের একটি নাটক। সুজিত বিশ্বাসের রচনায় নাটকটি নির্মাণ করছেন বাবু সিদ্দিকী। ইতোমধ্যে নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন আবুল হায়াত।  অভিনেতা বলেন, এতে গল্পের প্রধান চরিত্র অর্থাৎ দাদুর চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। গল্পে দেখা যাবে, একটি গরিব মেয়েকে বিয়ে করার জন্য আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলাম। ২৫-২৬ বছর পর তার ছেলে শেকড়ের টানে আমার কাছে এসে উপস্থিত হয়। আমার কাছে ভালো লেগেছে গল্পটি। আশা করছি দর্শকদেরও ভালো লাগবে।    কয়েক দিন আগেই নিজের আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন আবুল হায়াত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জন্ম থেকে এখন পর্যন্ত যেসব কথা মনে হয়েছে বলা দরকার, বলেছি। আবার অনেক কথা হয়তো বলা দরকার ছিল, বলা হয়নি। সব মিলিয়ে নিজেকে প্রকাশের চেষ্টা করেছি আমার বইটিতে। আশা করছি, সবকিছু মিলিয়ে আমার পুরো যাত্রাপথ জানা যাবে। আরজুমান্দ আরা বকুল বলেন, দীর্ঘদিন পর হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগল। একজন আবুল হায়াত আমাদের অভিনয় অঙ্গনের গর্ব, অহংকার। যদিও তিনি কিছুটা অসুস্থ। তার পরও গল্প ভালো লাগায় তিনি যে অভিনয় করেছেন, এটাও অনেক বড় বিষয়।  তা ছাড়া হাকিম ভাইয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করাটা উপভোগ্য ছিল। শতাব্দী ও জিম নতুন হিসেবে ওরাও বেশ ভালো করছে অভিনয়ে। ওদের জন্য শুভকামনা রইল। পরিচালকের জন্যও শুভকামনা। এমন ভালো গল্প নির্বাচনে তাকে বিশেষ ধন্যবাদ। প্রসঙ্গত,  ‘শেকড়ের টানে’ নাটকে আবুল হায়াত ও আরজুমান্দ আরা বকুল ছাড়া আরও রয়েছেন, আজিজুল হাকিম, শতাব্দী ও জিমসহ অনেকেই।  আরটিভি/এইচএসকে/এসএ  
১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১৫

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ নিয়ে কাজ একটি অনন্য দৃষ্টান্ত: নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করে বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত অ্যান্ড্রে কার্সটেন্স বলেছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ নিয়ে কাজ একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পুটিয়াজানি এলাকায় ডিসঅ্যাবল্ড রিহেবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিআরআরএ) আঞ্চলিক কার্যালয়ে ডিআরআরএ ও নিকেতন ফাউন্ডেশন, নেদারল্যান্ডসের অংশীদারিত্বের ২৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, নিকেতন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যান্টোইনেট থার্মোসুইজেন, ডিআরআরএ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ফারিদা ইয়াসমিন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, নিকেতন ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় গত ২৫ বছর ধরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের পুনর্বাসন ও সেবা দিয়ে আসছে ডিআরআরএ প্রতিষ্ঠানটি।  নিকেতন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যান্টোইনেট থার্মোসুইজেন বলেন, বাংলাদেশ ঋতু বৈচিত্রের দেশ। আমরা এখানে দীর্ঘ বছর কাজ করি। সেবার মান এবং পরিসর বাড়াতেও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আমরা পুনর্বাসন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সেবা এবং মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি টেকসই সমাধান তৈরি করতে। আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর আগে, আগত অতিথিরা কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিদর্শন করে ফিজিওথেরাপি, সেন্সরি থেরাপি, বিশেষ শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।  আরটিভি/একে-টি
০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়