• ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১
logo
ট্রাম্পের আদেশের পরপরই ধরপাকড় শুরু, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪ বাংলাদেশি
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের ধারপাকড় শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এরই মধ্যে নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকায় সাদা পোশাকে অভিযান চালিয়ে চারজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট (আইস)।  ট্রাম্প প্রশাসনের এ অভিযানের কারণে আতঙ্কে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত নথিপত্রহীন অবৈধ অভিবাসীরা।  জানা গেছে, শপথ গ্রহণের পর থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অভিবাসন–সংক্রান্ত শতাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিলসহ নতুন ৪৭টি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। এ সময় অবৈধ অভিবাসীদের শক্ত হাতে দমন করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তে সন্দেহভাজন প্রত্যেককে ব্যাপক মাত্রায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিউইয়র্কে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা আইন কর্মকর্তা খাদিজা মুনতাহা রুবা জানিয়েছেন, নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে আড্ডা দেওয়া অবস্থায় নথিপত্রহীন চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট। এ সময় তারা সাদাপোশাকে ছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী এক বাংলাদেশি বলেন, ফুলটন এলাকায় আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। অতর্কিতে সাদাপোশাকে কয়েকজন কর্মকর্তা এসে আমাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। এ সময় একজন প্রতিবাদী হয়ে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম সংশোধনী অনুযায়ী তিনি তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য নন। এ কথা বলায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিছুটা দূরে একই এলাকায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭৮ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে শপথ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অতিক্রম করে লাখ লাখ অনুপ্রবেশকারী নির্দ্বিধায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সীমান্তে প্রবেশ প্রথমেই বন্ধ করা হবে। তারপর বের করে দেওয়া হবে অপরাধীদের। এদিকে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে মেক্সিকো সীমান্তে। সীমান্ত এলাকায় রাখা হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ আদেশের আওতায় অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার একটি প্রকল্পও বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, সংবিধানের তোয়াক্কা না করে আরেক নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের একটি বিধানও বাতিল করেছেন ট্রাম্প। এতে এখন থেকে ৩০ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানেরা দেশটির নাগরিকত্ব পাবে না। অবশ্য, ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২৪টি অঙ্গরাজ্য ও শহরের কর্তৃপক্ষ একযোগে মামলা করেছেন।  আরটিভি/এসএইচএম-টি
৪ ঘণ্টা আগে

শিশুদের নামকরণ ব্যবসায় কোটিপতি যে নারী
আজ আমি মা হয়েছি, আপনারা আমার সন্তানের জন্য একটি সুন্দর নাম রাখুন। ঠিক এমনই একটি ফেসবুক পোস্টে যেন মন্তব্যের ঝড় বয়ে যায়, কমেন্টে জমা হয় হাজার হাজার নাম তাই না? কতশত মানুষের ভালোবাসা ও চিন্তা প্রকাশ পায় শুধু একটি নামের মাধ্যমে। কখনো কি ভেবেছেন, এই নামকরণও হতে পারে কারো বিশেষ পেশা? শুধু সঠিক নাম খুঁজে দেওয়ার মাধ্যমে মানুষকে আনন্দিত করে, আপনি হয়ে উঠতে পারেন বিনা পুঁজিতে কোটিপতি।  ভাবছেন এ আবার কেমন পেশা! জি নিউইয়র্কের টেলর ঠিক এমনই কাজ করে হয়েছেন কোটিপতি। যেখানে আমরা ফ্রীতেই কতজনের নাম রেখে দেই তাই না। তবে টেলর এত বোকা না। তিনিও বাচ্চাদের নামকরণ করেন তবে তা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে।  ৩৩ বছর বয়সি নিউইয়র্কের বাসিন্দা টেলর। সদ্যোজাত বাচ্চাদের জন্য নিখুঁত এবং মানানসই নাম খুঁজে বের করাই তার নেশা এবং পেশা। শুধু নামকরণ করার জন্য তিনি নেন ১৮০০ ডলার পর্যন্ত! টেলরের কাছে আসেন হাজার হাজার অভিভাবক, সন্তানের জন্য একেবারে ইউনিক এবং যথাযথ নাম খোঁজার আশায়। টেলর নামকরণের এই অদ্ভুত পেশায় পা রাখেন ২০১৫ সালে। নিজের হাতে বানানো নামের তালিকা নিয়ে ইনস্টাগ্রামে শুরু করেন তার পথচলা। প্রথম দিকে ফলোয়ার সংখ্যা ছিল বেশ কম, তবে ক্রমশ তার পোস্ট করা অভিনব নামগুলো নজর কাড়তে শুরু করে। অভিভাবকরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাদের সন্তানদের জন্য একদম মানানসই নাম চেয়ে পরামর্শ নিতে শুরু করেন। এভাবেই টেলর বুঝতে পারেন, বাচ্চাদের নামকরণের মাধ্যমে তিনি শুধু একটি নামই দিচ্ছেন না, বরং পরিবারগুলোর সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধকেও তুলে ধরছেন। টেলর জানান, ২০২২ সালে তিনি ১০০টিরও বেশি বাচ্চার নাম ঠিক করে দিয়েছেন। তার পরিষেবায় অভিভাবকরা ফোনে তার সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ পান, এবং সঙ্গে পান একাধিক নামের তালিকা, যা তিনি প্রস্তুত করেন অভিভাবকদের পরিবারের ইতিহাস বিশ্লেষণ করে। এই পরিষেবার জন্য তিনি সাধারণত নেন ২ লাখ ডলার পর্যন্ত। তবে যারা আরও বিস্তারিত এবং কাস্টমাইজড পরিষেবা চান, তাদের জন্যও রয়েছে বিশেষ অফার! ৯৬৭৪ ডলারের বিনিময়ে টেলর অভিভাবকদের ব্যবসা বা পেশার সাথে মিলিয়ে একেবারে নিখুঁত নামের তালিকা দেন। আরটিভি/এফআই
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮

নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বাংলাদেশ সোসাইটির সেলিম-আলী পরিষদের নির্বাচনী সভা
সেলিম-আলী প্যানেলের ব্রঙ্কস নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আয়োজনে নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪  অক্টোবর) রাতে ব্রঙ্কসের গোল্ডেন প্যালেসে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  এসময় বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সেলিম-আলী পরিষদ নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ সেন্টার, মূলধারায় শক্ত অবস্থান প্রতিষ্ঠা,ঐক্যবদ্ধ কমিউনিটি, নতুন প্রজন্মের সাথে সেতুবন্ধন সুদৃঢ় করে সোসাইটিকে আরো গণমুখি, কল্যাণকর ও সর্বজনীন সংগঠনে রূপান্তর করার ঘোষণা দেওয়া হয়। মহিলা সম্পাদক পদ সৃষ্টিসহ নারীর ক্ষমতায়নেও পদক্ষেপ গ্রহণে এই প্যানেলটির প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।  বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সেলিম-আলী প্যানেলের নির্বাচনী সমাবেশ থেকে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে পরিষদের আপত্তিকৃত ২৮২টি ভোট বাতিল করার দাবি জানানো হয়। সেলিম-আলী প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির শামীম মিয়া  ও শামীম আহমেদের যৌথ পরিচালনায় এবং  ব্রংকস   নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব আলম এর  সভাপতিত্বে এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের সভাপতি বদরুল হোসেন খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক ট্রাষ্টিবোর্ড সদস্য আলী ইমাম শিকদার, সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম, সিনিয়র সহ সভাপতি প্রার্থী মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ আলী, কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমী, কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট শহীদ আহমেদ, জুনেদ চৌধুরী, মোমিনুল হক, খলিলুর রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম, এ  ইসলাম মামুন, কফিল আহমেদ, বেলাল উদ্দিন , আনোয়ার আহমেদ প্রমুখ। সমাবেশে সেলিম-আলী প্যানেলের কর্মী-সমর্থকরা ছাড়াও কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের ‘মাদার সংগঠন’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির দ্বি-বার্ষিক কার্যকরি কমিটির (২০২৫-২০২৬) নির্বাচন আগামী ২৭ অক্টোবর রোববার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের জন্য ৫টি ভোট কেন্দ্র করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রগুলোর নাম ও স্থান নির্বাচন কমিশন পরে জানিয়ে দিবে। নির্বাচনে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল হচ্ছে ‘রুহুল-জাহিদ’ পরিষদ। আরটিভি/ ডিসিএনই
১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:১৫

ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা 
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ফ্লাইটটি ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৫ মিনিটে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।  শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের সবচেয়ে সফলতম সফর ছিল এবার। ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ১২টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সাইডলাইনে ৪০টি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন। সফরকালে প্রধান উপদেষ্টার ব্যাপক কর্ম-তৎপরতা বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিশ্বের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং অংশীদারিত্ব এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেন। তিনি চারদিনের সফরকালে খুবই কর্মব্যস্ত সময় পার করেন। সূত্র: বাসস। আরটিভি/এসএ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৫

সবচেয়ে ছোট বহর নিয়ে ঢাকা ছাড়লেন ড. ইউনূস
স্মরণকালের সবচেয়ে ছোট প্রতিনিধিদল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। ৫৭ জন সফরসঙ্গী নিয়ে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা হন।  আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসের উচ্চপর্যায়ের সাধারণ বিতর্কে বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণসংক্রান্ত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। দুই দেশের কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে গত শনিবার দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টা আগামী শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার পথে রওনা হবেন। আরটিভি/আইএম/এসএ
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২২

যেসব কারণে এবারের জাতিসংঘ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ 
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা এমন সময় জাতিসংঘের এই অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন যার মাত্র দেড় মাস আগে বাংলাদেশে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসন ক্ষমতাকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হটিয়ে এখন দেশটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করছে। ফলে এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য এবারের সম্মেলন কেন গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া এবং ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছে। এর আগে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশের একপ্রকার টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশের পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করে আসছিল। ফলে এই সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি প্রেক্ষাপট হিসাবে বিশ্লেষকদের অনেকেই দেখছেন। এমন মনোভাব পরিষ্কার হয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বক্তব্যেও। তিনি বলেছেন, ‘এবারের অধিবেশন দেশের জন্য বিশ্বসভায় নতুন পদচারণা এবং বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে বাংলাদেশকে তুলে ধরার বিশাল সুযোগ। বাংলাদেশে জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ায় এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।’ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ একটি উচ্চ পর্যায়ের রিসেপশন আয়োজন করেছে যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান, জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা, কিছু সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নেবেন। সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ূন কবির ধারণা দিয়েছেন, এবারের অধিবেশনে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট, এই মুহূর্তে কী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন, ভবিষ্যতে তারা কী করতে চান, এ বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরা এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আহ্বান জানানো হতে পারে। ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া এবং বাংলাদেশের হয়ে কথা বলাটা একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের জায়গা, বিভিন্ন সংস্কারের কৌশলগত বা টেকনিক্যাল দিকে সাপোর্ট, বিদেশে টাকা পাচার, অত্যাচার-নির্যাতন নিয়ে চলমান তদন্ত, এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতার পথ সুগম হবে।’ আরেক সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনীতির যে সংকটের মধ্য র্য়ে যাচ্ছে, সেখানে বৈদেশিক সাহায্য ও বিনিয়োগ আনতেও এবারের সম্মেলনটিকে কাজে লাগানো হতে পারে। আমাদের তো দরকার এখন আর্থিক সহায়তা এবং সহযোগিতা। ফলে ক্ষয়ক্ষতি থেকে উত্তরণে এবং একটা টেকসই আর্থিক উন্নয়নে ড. ইউনূস বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর কাছে সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল সাইডলাইনে আলোচনা করবেন আমার ধারণা।’ সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস মনে করেন, উন্নয়ন, ঋণ বা আর্থিক সহায়তার মতো বিষয়গুলো কমিটি পর্যায়ের আলোচনায় আসবে এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল সেখানে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে তার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের জন্য এবারের পরিষদ কতদূর ফলপ্রসূ হবে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যু জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অন্যতম উদ্বেগর জায়গা ছিল। সেখানেও বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের কর্মকর্তারা পরিবর্তিত চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহমুদ হাসান মনে করেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, মানবাধিকার এমন বিষয়গুলোও তাদের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আসবে। বর্তমানে যে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে, সেটা তারা তুলে ধরতে চাইবেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে শুভেচ্ছা পেয়েছেন। বিশ্বপরিসরে খ্যাতির কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের জন্য একটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবেন বলে বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন। সাবেক কূটনীতিবিদ নাসিম ফেরদৌস মনে করেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং একরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জায়গা থাকায় তাঁর বক্তব্য একটা বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে শোনা হবে। অর্থনীতির বাইরে প্রযুক্তিগত দিক, তরুণ প্রজন্মের অংশিদারিত্ব, রাজনৈতিক সহযোগিতা পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সদিচ্ছার মতো দিক নিয়ে আলোচনাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জাতিসংঘের যেসব অগ্রাধিকারের যেসব জায়গা রয়েছে সেগুলো বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, তাদের প্রতিনিধিদল সেসব ইস্যু সংক্রান্ত ইভেন্টে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে। এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোকে বিস্তৃত ও সুদৃঢ় করবে বলে আশাবাদও জানিয়েছেন তিনি। ২৭ তারিখ বক্তব্যে যে বিষয়গুলো উঠে আসবে তার একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের বিবরণ, জনগণকেন্দ্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু ইস্যু, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবস্থান, উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে সম্পদ পাচার প্রতিরোধ, নিরাপদ অভিবাসন, প্রযুক্তির টেকসই হস্তান্তর, ফিলিস্তিন–এমন বিভিন্ন বিষয় আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ভারত প্রসঙ্গ এমন অধিবেশনে সভার বাইরে নেতাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক একটা বড় গুরুত্ব বহন করে। সেক্ষেত্রে প্রতিবেশি ভারত বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বের জায়গা। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিউইয়র্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেখা হচ্ছে না বলে এর মধ্যেই জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে সময় মিলছে বলে জানানো হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে যে এক ধরনের টানাপোড়েন চলছে সেটা স্বীকার করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও। তবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলে জানানো হয়েছে। সমস্যার সমাধান করতে হলে সমস্যার অস্তিত্ব অস্বীকার করলে চলবে না এবং টানাপোড়েন দূর করার চেষ্টা করা হবে এবং একটা ওয়ার্কিং রিলেশন (কাজের সম্পর্ক) রাখার চেষ্টা করা হবে বলে জানান মো. তোহিদ হোসেন। তবে সম্পর্কটা মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে হতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রতিবেশি যেহেতু পরিবর্তন হয় না অনেক দ্বিপাক্ষিক বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা হতেই হবে, ভারতেরও কোনও অপশন নেই, আমাদেরও কোনও অপশন নেই, উল্লেখ করেন তিনি। পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং বেশ অনেক জায়গায় দুইদিকের স্বার্থের বিষয় রয়েছে, যেসব কারণেই ভারতের সাথে একটা ভালো সম্পর্কের জায়গা ধরে রাখতে আলাপ আলোচনা করতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষক হুমায়ূন কবির। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ গঠন করা হয়েছিল ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে। জাতিসংঘের প্রধান নীতিনির্ধারণী অংশ এই পরিষদ। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সারা বিশ্বের জাতিসংঘের সদস্য সব দেশের নেতারা বৈঠকে বসেন এবং বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশগুলির মাঝে ভোটাভুটিও হয়। যেমন এবারের অধিবেশনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য না হয়েও এবারে অধিবেশনে অংশ নিয়েছে ফিলিস্তিন মিশন। এ বছর মে মাসে সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে পূর্নাঙ্গ সদস্য করতে পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১৪৩ টি দেশ। এবারের অধিবেশনে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং দখলদারিত্ব বন্ধ নিয়েও ভোট হয়েছে। সেখানে ১৯৩ টি দেশের মধ্যে ১২৪ টি দেশ পক্ষে, ১৪ টি বিপক্ষে ভোট দিয়েছে, ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল ৪৩ টি দেশ। এই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মধ্য দিয়ে আগামী এক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বেআইনি দখলদারিত্ব বন্ধে প্রস্তাব পাস হয়েছে। পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে বিশ্বের সার্বিক উন্নয়ন ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য। এমন উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হয় বার্ষিক অধিবেশন। এবারের অধিবেশন শুরু হয়ে গেছে ১০ই সেপ্টেম্বরে। এ অধিবেশনে সংঘাত নিরসন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করাসহ ভবিষ্যৎ-কেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সংস্থাটির একমাত্র শাখা যেখানে ১৯৩টি সদস্য দেশের সবাই প্রতিনিধিত্ব করার এবং সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ পায়। সভার বাইরে নেতাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক সাধারণত বেশি গুরুত্ব বহন করে।-বিবিসি। আরটিভি/এসএপি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪

জো বাইডেনের সঙ্গে বসবেন ড. ইউনূস, বৈঠক হবে নিউইয়র্কে
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সব ঠিক থাকলে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতাদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত তিন দশকে বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে এমন বৈঠক কখনও হয়নি। ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র এ ঘটনাকে বাংলাদেশের জন্য বিরল ঘটনা বলছেন। তাদের দাবি, সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আলাদাভাবে কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বসেছেন এমন ঘটনা খুব কমই রয়েছে।  ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, সাধারণ অধিবেশনের সময় সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এক থেকে দেড় দিনের জন্য নিউইয়র্কে যান। যুক্তরাষ্ট্রের রাীতি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আয়োজক দেশ হিসেবে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। সেখানে রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের আমন্ত্রণ থাকে। সেই সুযোগে বিশ্ব নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ পাওয়া বিরল ঘটনা। যদি পাওয়া যায় সেটি এক্সক্লুসিভ। এ কূটনীতিক আরও বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের কথা রয়েছে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এই বৈঠক হওয়ার কথা। এটা এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশের জন্য একটা বিরল ঘটনা হতে যাচ্ছে। নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের সঙ্গে জো বাইডেনের বৈঠকের তাৎপর্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের একাধিক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলছেন, গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা সফর করে গেছে। দুই সপ্তাহের মাথায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈঠক করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন খাতের সংস্কারসহ বাংলাদেশের সামনের দিনের অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র যে সব ধরনের সহায়তা করবে, নিউইয়র্কের আসন্ন বৈঠক সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক যাচ্ছেন ড. ইউনূস। তি‌নি ২৭ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ওইদিন রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা করবেন ড. ইউনূস। আরটিভি/এমকে
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০১

নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও জয়শঙ্করের বৈঠক, উঠতে পারে যেসব বিষয়
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তৌহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। সে টানাপোড়েন কাটিয়ে ওঠার জন্য আলোচনা হবে। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছ থেকে ফেরত চাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। যদিও ঢাকার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে দিল্লিকে কোনো অনুরোধ জানানো হয়নি। তবে এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক জাগরণ জানিয়েছে, বৈঠকে জয়শঙ্কর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত অত্যাচারের বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে দিল্লির কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কোনো বৈঠক হবে না। আরটিভি/এসএপি-টি
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২৩

জাতিসংঘ অধিবেশন / নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার 
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের আসন্ন ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্রে তার এই সফর ঘিরে জোর প্রস্তুতি চলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছাড়বেন তিনি। শিডিউল অনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বর ভাষণ দেবেন সাধারণ অধিবেশনে। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে একাধিক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা আছে ড. ইউনূসের। এছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করার কথা আছে প্রধান উপদেষ্টার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আলোচনায় আছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারটি। এছাড়া সার্কভুক্ত আরেক দেশ নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে। অবশ্য, সম্প্রতি ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম দাবি করেছে, নিউইয়র্কে অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক চেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান। শুধু তা-ই নয়, নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক না হওয়ার বার্তাও দিয়েছে ওইসব গণমাধ্যম। তবে, ঢাকা ও ভারতের সংশ্লিষ্টরা এখনও বিষয়টি স্পষ্ট করেনি। এছাড়া, আয়োজক দেশ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের।  কূটনৈতিক সূত্রমতে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন এবং বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স হামাদ বিন ঈসা আল খালিফার সঙ্গেও ড. ইউনূসের বৈঠক হতে পারে অধিবেশনের ফাঁকে। পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ এ খানের সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। সফরকালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ. হংবোর সঙ্গেও সাক্ষাৎ হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার।   এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সাধারণ পরিষদে কনফারেন্স ডিপ্লোমেসির সুযোগ থাকে এবং সাইডলাইনে সবসময় বৈঠক হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বৈঠকগুলো শেষ মুহূর্তে ঠিক হয়। আবার অনেক সময় দুইপক্ষের আগ্রহ থাকলেও সময় সংক্ষিপ্ততা বা শিডিউল অমিলের কারণে বৈঠক করা সম্ভব হয়না। আরটিভি/এসএইচএম
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১১

ইউনূস-মোদির বৈঠক নিউইয়র্কে করার প্রস্তাব দিলো ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠক আয়োজনে নয়াদিল্লিকে প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা।  শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।  জানা যায়, চলতি মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে বৈঠকটি করার প্রস্তাব করা হলেও ভারত এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। সূত্র বলছে, চলতি মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার জন্য নিউইয়র্কে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই অধিবেশনে যোগ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার মাঝে একটি বৈঠক আয়োজনে ঢাকার পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। ভারতীয় পক্ষ এখন পর্যন্ত এই প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং নিউইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য মোদির অ্যাজেন্ডাও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য ঘিরে বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সাক্ষাৎকারে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন ইউনূস। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এই উপদেষ্টার মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি। চলতি সপ্তাহে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের সমালোচনা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।  সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল ‘‘ইসলামপন্থী’’ বলে ভারতের যে ‘‘আখ্যান’’ রয়েছে, দেশটিকে সেটি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। পিটিআইকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তাহলে তাকে সেখানে চুপ থাকতে হবে। ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। দেশে এটা কেউ পছন্দ করছে না। এটা আমাদের বা ভারতের জন্য ভালো নয়।’
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়