• ঢাকা রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১
logo
বইমেলায় শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ডাস্টবিন, ময়লা ফেললেন প্রেসসচিব
অমর একুশে বইমেলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ডাস্টবিন স্থাপন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মেলার প্রথম দিনে সেই ডাস্টবিনে ময়লা ফেলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত সেই ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার এরকম ৫টি ছবি পোস্টও করেছেন তিনি। ওই পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, শনিবার বাংলা একাডেমিতে একুশে বইমেলার প্রথম দিনে ডাস্ট বিনে জঞ্জাল নিক্ষেপ। এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সেই ডাস্টবিনের একটি ছবি পোস্ট করেছে। তাতে তারা লিখেছে, আজ থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা-২০২৫। বইমেলায় এলে আপনার হাতের অপ্রয়োজনীয় ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলতে ভুলবেন না। মেলার অভ্যন্তরীণ পরিবেশ সুন্দর রাখুন, আবর্জনামুক্ত থাকুন। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
৭ ঘণ্টা আগে

খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা নিয়ে মারুফ কামালের আবেগঘন স্ট্যাটাস
উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ রাতে লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার বিদেশযাত্রা নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান।  মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন।  ‘তবু যেতে দিতে হয়’  শিরোনামে লেখা তার সেই স্ট্যাটাসটি আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘অনেকবারই এ জীবনে বিদেশ সফরে আপনার সফরসঙ্গী হবার দুর্লভ সুযোগ আমি পেয়েছি। আবার কখনও আপনাকে বিদেশ ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরার সময়ে স্বাগত জানিয়েছি। আপনাকে বিদেশযাত্রায় কতো বার বিদায়ও তো জানিয়েছি। কিন্তু এবারকার মতো পরিস্থিতি ও অনুভূতি কখনও হয়নি আমার। আমি আজ হৃদয়মথিত আবেগ নিয়ে বেদনাভরা চিত্তে আপনাকে জানাচ্ছি বিদায় সম্ভাষণ। আপনি জানেন, দোয়া ছাড়া আমার তো আর কিছু করার নেই এখন। আমি পরম প্রভুর দরবারে অবনত মস্তকে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, আপনি যেন সুস্থতা ও সক্ষমতা নিয়ে আবারও ফিরে আসেন আপনার প্রিয় স্বদেশে। যে দেশকে আপনি আপনার একমাত্র ঠিকানা বলে জানেন। প্রতিটি ক্রান্তিকালে আপনি উচ্চারণ করেছেন অমোঘ বাণী ‘বাংলাদেশের বাইরে আর কোথাও আমার কোনো ঠিকানা নেই।’ সেই ঠিকানায় আপনি যেন ফের ফিরে আসেন আপনার সুপ্রিয় দেশবাসীর মধ্যে। যে দেশবাসীকেই আপনি আপনার বর্ধিত পরিবার বলে ঘোষণা করেছেন। একজীবনে একজন মানুষ যা করতে পারে, আপনি তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি কিছু করেছেন আপনার জনগণের জন্য, দেশের জন্য। আপনার জন্য ইতিহাস-নির্ধারিত কর্তব্য আপনি ইতোমধ্যেই পালন করে ফেলেছেন। এখন পালা আপনার উত্তরাধিকারীর। কিন্তু দেশ ও জাতির জন্য আপনার প্রয়োজন এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আপনার জীবন্ত উপস্থিতিই হবে জাতির প্রেরণার উৎস। আপনার আশীর্বাদ ও নির্দেশনাই হবে নতুন নেতৃত্বের পাথেয়। বিশ্বের দেশে দেশে আপনার চেয়েও বয়সে প্রবীণ অনেক নেতাই বেঁচে আছেন প্রাণবন্ত লিজেন্ড হয়ে। আপনিও এ জাতির আইকন হিসেবে আরও অনেক দিন বেঁচে থাকুন, প্রেরণা সঞ্চার করুন, নির্দেশনা দিন। তাই অচিরেই ফিরে আসুন হে মহীয়সী। আপনার এ বিদায় হোক কল্যাণময় ও শুভপ্রদ। আপনাকে যারা অকথিত যন্ত্রণা ও কষ্ট দিয়েছে, যাদের কুটিল হীন যড়যন্ত্র আপনার জীবনীশক্তিকে ক্ষয়িষ্ণু করেছে, শত অপমানে আপনাকে যারা হেয় করতে চেয়েছে, আজ তারা কোথায়? কী অবস্থান তাদের? আর আপনি দেদীপ্যমান সূর্যের মতো স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। যেসব কানুন, পদ্ধতি, পন্থা ও প্রতিষ্ঠানকে তারা আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য অপব্যবহার করেছে সেগুলোই আজ আপনাকে মর্যাদার শীর্ষে স্থাপন করেছে। স্বৈরশাসনের নিগড়ে বন্দি স্বদেশে আপনার অনুগামী যেসব নেতাকর্মী ও দেশবাসী আপনার মর্যাদা রক্ষায় সমর্থ হয়নি, তারাও আজ সহস্র গুণে ফিরিয়ে দিচ্ছে আপনার সম্মান। অলৌকিক এ মহিমার জন্য বিশ্বপ্রভু সকাশে অফুরন্ত সকাতর প্রণতি জানাই। ক্ষুদ্র একজন মানুষ হিসেবে আপনার কাছে আমার নিজের কৃতজ্ঞতার ঋণও তো অশেষ। আপনাকে যৎকিঞ্চিত সহায়তা করার মাধ্যমে দেশ ও জাতির যেটুকু সেবা করার সুযোগ আমি পেয়েছি, সে তো আপনারই করুণার দান। আমার মতো সামান্য একজন লেখক-সাংবাদিকের পরিচয়কে আপনার নামে সঙ্গে জড়াবার যে অধিকারটুকু আপনি আমাকে দিয়েছিলেন, তার জন্য আপনার প্রতি আমার সকৃতজ্ঞ অজস্র অভিবাদন।’  আরটিভি/আইএম/এআর
০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়