• ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
রিমান্ডের আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, ৪ পুলিশ সদস্য আহত
বরগুনায় ৭ জন রিমান্ডের আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের এসআইসহ ৪ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।  মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন। আহতরা হলেন, বরগুনার তালতলী থানার এসআই শহিদুল ইসলাম, কনস্টবল রিয়াজুল ইসলাম, অন্তর ও ফোরকান।  আটকৃতরা হলেন সদর উপজেলার ঘটবাড়ীয়া নামক এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে আশ্রাফুর রহমান অন্তু (২০), বরগুনার তালতলী উপজেলার মালিপাড়া এলাকার আ. ছত্তারের ছেলে মো. ছগির মিস্ত্রি (৫০) ও তার স্ত্রী হামিদা বেগম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, গত অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ বরগুনার তালতলী থানায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অভিযুক্তরা তালতলী বন্দরের জিয়া মঞ্চ ও বিএনপি অফিস ভাঙচুরসহ কুপিয়ে বিনষ্ট করেন। বাদী পক্ষের জাকির হোসেন নামে একজনের কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে তার অফিসে ভাঙচুর চালায়। এ ছাড়াও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন সময় মহরা ও বিভিন্ন মানুষের ওপর হামলার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়। পরে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও অন্য কোনো মদদদাতা রয়েছে কি না তা বের করতে আদালতে আসামিদের রিমান্ড চাইলে অভিযুক্ত সাত জনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। পরে তাদের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গেলে হাসপাতালে থাকা আসামিদের স্বজনরা আসামিদেরকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে পুলিশের ৪ সদস্য আহত ও হাসপাতালে কর্মরত ৫ জন স্টাফ আহত হয়। পরে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানায় জানালে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়। তবে এ ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে থাকা কোন আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পারেনি হামলাকারীরা। অভিযুক্ত রিমান্ডের আসামিরা হলেন, মো. মিজানুর রহমান (৩০), মো. রাকিব (২৫), মো. জাহিদ (২৫), মো. খলিল (৩০), মো. ইমরান হোসেন (২২), মো. আরিফুর রহমান (২০) ও মো. ইউসুফ (২৬)। বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশিরুল আলম বলেন, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে সাতজন আসামিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে স্বজন ও আসামিরা মিলে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে হামলাকারী তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হই। এছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, তালতলী থানা পুলিশের সদস্যরা ৭ জন আসামিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে আসামি ও স্বজনরা সঙ্গে থাকা পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ অবস্থায় হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন বাঁধা দিলে তাদের ওপরেও হামলা চালায় তারা। যেসব আসামিরা পুলিশের হেফাজতে ছিল তাদেরসহ ঘটনায় জড়িত স্বজনদের মধ্যে আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়াও যারা জড়িত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আরটিভি/এমকে-টি
১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৪৮

সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু গ্রেপ্তার
বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরা থেকে রাত ৯টায় ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, শম্ভুর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় অনেকগুলো মামলা রয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখ্য, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর পৈতৃক বাড়ি বরগুনার সদর উপজেলার সরকারি হাইস্কুল সড়ক এলাকায়। তিনি পেশায় আইনজীবী হলেও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সাতবার তিনি মনোনয়ন পেয়ে পাঁচবারই হন সংসদ সদস্য। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যান। ১৫ বছরে তিনি ও তার সহযোগীরা হয়েছেন বিত্তশালী। আরটিভি/এমকে-টি
১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১

ক্রেস্টে শেখ হাসিনার নাম, সমালোচনার ঝড়
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের বিজয়ী শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৫টি ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়েছে। বরগুনার তালতলীতে অনুষ্ঠিত সেই শিক্ষা সপ্তাহের ক্রেস্টগুলোর মধ্যে ১০টিতে স্লোগান লেখা রয়েছে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’। ক্রেস্টের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।  বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের পায়রা সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিন বিভাগে ৮৫ জন শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা ক্রেস্ট বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চে উজেলায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ছিল। অনুষ্ঠান তখন হলেও তালতলী উপজেলায় বিজয়ী শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়নি।  তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আগের ক্রেস্ট এখন বিতরণ করেছে। আয়োজকদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল। এ বিষয়ে তালতলীর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লিটু চট্টোপাধ্যায় বলেন, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ অনুষ্ঠান গত মার্চে শেষ হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের ক্রেস্ট এখন বিতরণ করেছি। ১০টি ক্রেস্টে ভুল ছিল। ওই ক্রেস্টগুলো জব্দ করা হয়েছে। সংশোধন করে পরে আবার বিতরণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা গণমাধ্যমকে বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছেন। আমি অনেক কাজের ফাঁকে উদ্বোধন করেছি মাত্র। ক্রেস্টে কী লেখা ছিল দেখিনি। পরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওই ক্রেস্ট বিতরণ করেছেন। ভুল হলে তার হয়েছে। আরটিভি/এএএ/এসএ
২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৫

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে গাছ পড়ে একজনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বরগুনার বেতাগী উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে আশরাফ আলী (৬১) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়ায় বেতাগী উপজেলা ছোট মোকামিয়া নামক এলাকায় গাছ ভেঙে তার নিচে চাপা পড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আশরাফ আলী বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিসমত করুনা নামক এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে বেতাগীর ছোট মোকামিয়া নামক এলাকায় রওনা হন আশরাফ আলী। এ সময় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে হঠাৎ করে দমকা হাওয়া শুরু হলে একটি চাম্বল গাছ ভেঙে পড়ে। এ সময় তার নিচে চাপা পড়েন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বেতাগীতে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ ভেঙে পড়ে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আরটিভি/এএএ/এসএ
২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৩৯

আমতলীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
বরগুনার আমতলীতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে উপজেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ছাত্রদলের ৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। মঙ্গলবার রাতে আমতলী উপজেলা সড়কের মফিজ তালুকদারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।  বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমতলী কলেজের সামনে থেকে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে পৌর ছাত্রদল, উপজেলা ছাত্রদল ও কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অনানুষ্ঠানিকভাবে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে উপজেলা সড়কের মফিজ তালুকদার নামে এক বাসিন্দার বাড়ির সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে মিছিলের মধ্যে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় মিছিলে থাকা কয়েকজন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি ব্যাগ থেকে কয়েকটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে। ক্ষোভ প্রকাশ করে আমতলী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সোয়েব ইসলাম হেলাল বলেন, রাষ্ট্রপতির অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য ও পদত্যাগের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়েছিল। এ সময় পেছন থেকে মিছিলের মধ্যে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীসহ আশেপাশের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীদের ধরতে আমরা ধাওয়া দিলেও তাদের ধরা সম্ভব হয়নি। কয়েকদিন ধরেই উপজেলার যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হতে দেখা গেছে। ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে তারাই এ ঘটনা ঘটাতে পারে। এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ জানাননি।  আরটিভি/এমকে
২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০১

গভীর সমুদ্রে ভারতীয় জেলেদের দাদাগিরি
ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমা থেকে ৩১ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী। এ সময় ভারতীয় পতাকাবাহী দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়। গত মঙ্গলবার এসব ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশি জেলেরা উভয় দেশে একই সময়ে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দাবি করেছেন।  জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার ১২ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। এ কারণে নদীতে ও সাগরে বাংলাদেশি জেলেরা ইলিশ ধরা থেকে বিরত রয়েছেন। কিন্তু এই সময়ে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে ইলিশ শিকার করে যাচ্ছেন।  ভারতীয় ৩১ জেলেকে আটকের বিষয়  নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ অঞ্চল-ভোলার মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় যে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ও অবৈধ কর্মকাণ্ড ঠেকাতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড অভিযান পরিচালনা করছে। এর অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার দুটি ট্রলারসহ ভারতীয় ৩১ জেলেকে আটক করা হয়েছে।’  বাংলাদেশি জেলেদের অভিযোগ, সাগরে তাদের সঙ্গে দস্যুর মতো আচরণ করেছে ভারতীয় জেলেরা। হ্যান্ডমাইকে বাংলাদেশি জেলেদের সরে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। সরতে না চাইলে ইট-পাথর নিক্ষেপ করছে; জাল কেটে দিচ্ছে। ভারতীয় জেলেদের ট্রলারে ছয় সিলিন্ডারের শক্তিশালী ইঞ্জিন। ধাক্কা দিয়ে তারা বাংলাদেশি ছোট ছোট ট্রলারকে ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।  বরগুনার পাথরঘাটার জেলে মোহাম্মদ আলম মাঝি বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে আমাদের অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিত। ভারতীয় জেলেদের দ্বারা আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পেতাম না। উল্টো আমাদের ধমকিয়ে রাখত। এবার যদি ভারতীয় জেলেদের ফিরানো যায় তাহলে আগামী বছর দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।’  মোহাম্মদ নুহু নামের এক জেলে বলেন, ‘ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় চালনার বয়া, মাইজদার বয়া, বড়ইয়ার চর, ফেয়ারওয়ের বয়া, বড় আমবাড়িয়া, ডিমের চর, সোনার চর, কবরখালীসহ ইলিশ বিচরণের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসে মাছ শিকার করে।’  বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহসভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী বলেন ‘আগের সরকার ভারতের পাতানো নিষেধাজ্ঞা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতীয়দের ইলিশ ধরার সুযোগ করে দিয়েছে। এ সুযোগে ভারতীয়রা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এসে ইলিশ শিকার করছে। এই পাতানো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ভারত ও বাংলাদেশে একত্রে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর চাই।’  গত মঙ্গলবার দেওয়া নৌবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিএনএস আখতার উদ্দিনের টহল চলাকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে বিদেশি পতাকাবাহী দুটি ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা হয়। এ সময় ট্রলার দুটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু নৌবাহিনীর জাহাজ ট্রলার দুটিকে বাংলাদেশের জলসীমার ভেতরেই আটক করতে সক্ষম হয়।  আটক ট্রলার দুটিতে মোট ৩১ জন সদস্য ছিলেন। তাঁদের বাড়ি ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন গ্রামে। ট্রলার দুটি পটুয়াখালীতে এনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটকদের কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে নৌবাহিনী।  দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড ভোলা জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ জানান, ‘দেশীয় জলসীমায় ভারতীয় জেলেদের অনুপ্রবেশ ঘটনা রয়েছে। তবে সামনের দিনগুলোতে কঠোর হয়ে টহল জোরদার করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় জেলে অনুপ্রবেশের অভিযোগ আমরা আর নিতে চাই না। এ জন্য গভীর সমুদ্রে জাহাজের পাশাপাশি স্পেশাল টহলের জন্য ইতিমধ্যে অতিরিক্ত শক্তিশালী ট্রলার ও স্পিডবোট প্রস্তুত করা হয়েছে।’  কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুয়েল ইসলাম জানান, ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পটুয়াখালী জেলা কারাগারে রয়েছেন। আরটিভি/এসএপি
১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৩৫

আরটিভির সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, প্রধান শিক্ষককে শোকজ 
বরগুনার পাথরঘাটায় আরটিভির সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশিদকে শোকজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত সোমবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দীপক কুমার বিশ্বাসের স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে শোকজ করা হয়েছে। জানা গেছে, পাথরঘাটায় ১৪৩ নং উত্তর মানিকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশিদ। এ ঘটনায় আরটিভিতে সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।  উপজেলা শিক্ষা অফিসের ওই পত্রে বলা হয়েছে, মো. হারুন-অর রশিদ ১৪৩নং উত্তর মানিকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) পদে কর্মরত আছেন। জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির পাথরঘাটা প্রতিনিধি তাওহীদুল ইসলাম শুভ, গত ৭ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার সময় আপনার বিদ্যালয়ে গিয়ে আপনার উপস্থিত না পাওয়াসহ বেশ কিছু বিচ্যুতি ও অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর দাখিল করেছেন।  এতে আরও বলা হয়েছে, আপনি কেন ওই সময়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন? আপনি বিদ্যালয়ে সকালে এসে চলে গেছেন এবং কোথায় গিয়েছিলেন? আপনার অনুপস্থিতি ও গমনে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার কর্মকর্তার অনুমোদন ছিল কিনা? কেন স্থানীয় ইউপি সদস্য পান্না মিয়া আপনার বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়ে আসা ও ঠিকমত বিদ্যালয়ে না থাকার অভিযোগ করেছেন। কেন একই দিনে দুই জন সহকারী শিক্ষককে ছুটি দিয়েছেন? কেন একজন শিক্ষক একটি শ্রেণি কক্ষে (৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির) একসাথে ৩টি ক্লাস নিচ্ছিলেন? ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম এই ৩টি শ্রেণিতে ভর্তিকৃত ১৬ জন শিক্ষার্থী মধ্যে উপস্থিত পাওয়া যায় মাত্র ৮ জন শিক্ষার্থী? কেন সাংবাদিকের সাথে ফোন করে দুর্ব্যবহার করলেন? তার সন্তোষজনক উত্তর আগামী ৭ দিনের মধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দীপক কুমার বিশ্বাসের নিকট দাখিল করবেন। অন্যথায়, আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে সুপারিশ করা হবে। এ বিষয়ে পাথরঘাটা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীপক কুমার বিশ্বাস জানান, প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশিদকে ইতোমধ্যে শোকজ করে অভিযোগের জবাব চাওয়া হয়েছে। তার অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত কমিটি করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হবে।   উল্লেখ্য, উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ১৪৩ নং উত্তর মানিকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম অভিযোগ পেয়ে গত ৭ অক্টোবর সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম শুভ। এর পরেই মুঠোফোনের মাধ্যমে ওই প্রধান শিক্ষক অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং বলেন বিদ্যালয় থেকে রবের না হলে দেখে নিবেন ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ কারেন সাংবাদিক শুভ। আরটিভি/এসএপি
১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৫৮

রং নম্বরে প্রেম, প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে ৪০ বছরের নারী
রং নম্বরে দুই বছর পরিচয়। এরপর তাদের দেখা ও প্রেম। প্রেমিক সুমনের কথায় দেখা করতে বগুড়া থেকে ঢাকায় আসেন ৪০ বছর বয়সি প্রেমিকা। পরে বিয়ের দাবি নিয়ে সুমনের বরগুনার তালতলী উপজেলায় বাড়িতে ১৬ দিন ধরে অবস্থান করেছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই তরুণী জানিয়েছেন, প্রেমিক সুমন বিয়ে না করা পর্যন্ত এই বাড়ি থেকে কোথাও যাবেন না। এদিকে সুমন তার বাড়িতে প্রেমিকা অবস্থান নেওয়ার পরপরই ঘর থেকে পালিয়েছেন। প্রেমিক সুমন তালতলী উপজেলার ৫নং বড়বগী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আগাঠাকুরপাড়া গ্রামের মৃত আ. সালামের ছেলে।  জানা গেছে, বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার তরফ সরতাজ গ্রামের ওই নারীর সঙ্গে দীর্ঘ ২ বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ওই নারী বিয়ের জন্য প্রেমিক সুমনকে চাপ দেন। কিন্তু প্রেমিক সুমন তাকে বিয়ে না করার জন্য নানা টালবাহানা করতে থাকেন। ফলে গত ১ সেপ্টেম্বর সকালে প্রেমিক সুমনকে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী। সুমনের মা বলেন, ওই মেয়ে এই এলাকার অনেক ছেলেদের সঙ্গে কথা বলেছে। এরপর আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে। এরপর আমার ছেলের মোবাইল নম্বর নিয়ে ২ মাসের মতো কথা বলেছে। তারপর ওই মেয়ে ঠিকানা নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছে এবং বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার খান বলেন, খবর পেয়ে সুমনের বাড়িতে গিয়ে নারীর বক্তব্য শুনলাম, তিনি সুমনকে বিয়ে করতে চান। অন্যদিকে সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না এবং তার কোনো খবরও পাওয়া যাচ্ছে না। তালতলী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম খান বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আরটিভি নিউজ/এএএ  
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৩৮

এখনো ফেরেনি পাথরঘাটার ২৫০ জেলেসহ ২৩ ট্রলার
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপে অনেক জেলেরা উপকূলে ফিরে আসলেও এখনো বরগুনার পাথরঘাটার ২৩ ট্রলারের ২৫০ জেলে ফিরে আসেননি। এখন পর্যন্ত তাদের সম্পর্কে তথ্য দিতে পারছে না বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতি। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, পরপর কয়েকটি নিম্নচাপ হওয়ায় জেলেরা এ বছর লোকসানের মধ্যেই রয়েছে। কয়েকদিন আগে নিম্নচাপ শেষে সাগরে নামার পর আবারও সৃষ্ট হয় এই নিম্নচাপটি। কিছু জেলে ট্রলার ঘাটে ফিরে আসলেও লোকসানের কথা চিন্তা করে অনেক ট্রলার সাগরে থেকে যায়। তিনি আরও বলেন, সাগর উত্তাল হলেও তারা কোথায় কী অবস্থায় আছে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। পাথরঘাটায় দুদিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় অনেকের মোবাইল বন্ধ। এ ছাড়া নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় ফোনে জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। আমরা কিছু ট্রলার প্রস্তুত রেখেছি নিম্নচাপ শেষ হলেই ট্রলার ও জেলেদের খুঁজতে বের হবে। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা স্টেশনের লেফটেন্যান্ট মো. সাকিব মেহেবুব বলেন, পাথরঘাটার ২৩টি ট্রলার নিখোঁজ আছে জানতে পেরে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিচ্ছি। সাগরের মধ্যে নৌবাহিনীর জাহাজে কিছু জেলে উদ্ধার হয়েছে তারা কোন এলাকার এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। তবে আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি নিখোঁজ জেলেদের শিগগির উদ্ধার করতে পারব। আরটিভি/এএএ 
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:০১

বরগুনায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সভায় মারামারি, অস্ত্রসহ আটক ১
বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অনুষ্ঠানে স্থানীয় ২ সমন্বয়কের গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক যুবককে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জোনের বিভাগীয় ছাত্র জনতা মৈত্রী সফরের অংশ হিসেবে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ওই সভার একপর্যায়ে নেতৃত্ব ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার পূর্ব বিরোধের জেরে বরগুনার সমন্বয়ক দাবি করা মীর নিলয় ও আরেক সমন্বয়ক দাবি করা রেজাউল করিম গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি থেকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারামারি শুরু হলে পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং প্রথম দফার সভা সংক্ষিপ্ত করা হয়। তবে এ সময় শিল্পকলার বাইরে একদল বিক্ষিপ্ত শিক্ষার্থী মীর নিলয়কে ছাত্রলীগের দোসর আখ্যায়িত করে স্লোগান দিতে থাকেন এবং তারা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিয়াকে নিলয় গ্রুপের মাধ্যমে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয়। পরে বিকেলে দ্বিতীয় দফার সভা শুরু হলে সভাস্থলে বরগুনা থানাপাড়ার অনিক নামে একজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিল্পকলায় প্রবেশ করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে। মতবিনিময় সভার মঞ্চে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আট সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ, সানজানা আফিফা অদিতি, এম এ সাঈদ, হাসিবুল ইসলাম শান্ত শহিদুল ইসলাম শাহেদ, তৌহিদ আহমেদ আশিক, জিহাদ হোসাইন, সাব্বির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আব্দুল হান্নান মাসুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের সময় কোনো দল দেখিনি। এখন কেন দল নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। আন্দোলনের শুরুতে যারা ছিলো তারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন। কোনো দখলবাজ, চাঁদাবাজকে আমরা জায়গা দেব না। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ৫ আগস্ট থেকে ক্ষমতা দেখানোর রাজনীতি বন্ধ হয়েছে। দখলবাজির রাজনীতির অবসান হয়েছে। বরগুনায় দুপক্ষের মধ্যে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করা একটি পক্ষের নেতা রেজাউল করিম ও তার সমর্থকরা জানান, ছাত্রলীগের নামধারী নেতা মীর নিলয় আন্দোলনের সময় কোনো ভূমিকা রাখেনি। এখন তিনি বরগুনার সমন্বয়ক দাবি করছেন। তিনিসহ তার লোকজন সভা চলাকালে তাদের ওপর হামলা করে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকার পতনের আন্দোলনে সময় মীর নিলয়ের বাসায় হামলা করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বরগুনার আরেক পক্ষের সমন্বয়ক দাবি করা মীর নিলয় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সমন্বকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যে ঘটনা ঘটেছিল তা অবসান হয়েছে। সমন্বয়ক রেজাউল লোকজন নিয়ে আমার গায়ে হাত তুলেছিল। এখন সমস্যা নেই।’ বরগুনা সদর সর্কেলের পুলিশ সুপার আবদুল হালিম বলেন, ‘শিল্পকলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভায় দুপক্ষের হাতাহাতি ঘটনা ঘটলে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এছাড়াও অনিক নামের একজনকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়