• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে গ্যালারিতে অসুস্থ হয়ে বায়ার্ন সমর্থকের মৃত্যু
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পর্তুগালের লিসবনভিত্তিক ক্লাব বেনফিকা মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এই ম্যাচে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে জার্মান জায়ান্টরা। তবে জয়ের আনন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। মাঠ ছাড়ার আগেই শোক সংবাদ শুনতে হয় তাদের। খেলে দেখতে এসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ক্লাবের এক সমর্থক। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। তাৎক্ষণিকই অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রবেশ করতে দেখা যায় জরুরি মেডিকেল সেবার কর্মকর্তা ও পুলিশ অফিসারদের।  পরবর্তীতে জানা যায়, গ্যালারিতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক বায়ার্ন ভক্ত। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান ওই সমর্থক। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জার্মান ফুটবলে। সমর্থকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বায়ার্ন মিউনিখও। মৃত ব্যক্তির সম্মানে এই রাতে কোনো গান গাওয়া বা কোনো ধরনের জয়োধ্বনিও তোলেনি বায়ার্ন সমর্থকরা। পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে ছিল নীরবতা। বায়ার্ন মিউনিখ সমর্থকদের সংগঠন ক্লাব এআর ১২ জানিয়েছে, জরুরি চিকিৎসার কারণে আজকে যথারীতি সমর্থন (গান বা জয়োধ্বনি) করা হচ্ছে না। খেলার চেয়ে জীবন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তার পরিবার এবং বন্ধুদের ধৈর্য ধরার সামর্থ্য বৃদ্ধি কামনা করি।’ এক বিবৃতিতে বায়ার্ন জানিয়েছে, আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার স্ট্যান্ডে একটি মেডিকেল জরুরি অবস্থা শুরু থেকেই খেলার উপর ছায়া ফেলেছিল। সমর্থকরা স্বাভাবিক সোচ্চার সমর্থন থেকে বিরত ছিল। ক্লাবটি ম্যাচের কভারেজও কমিয়ে দিয়েছে।  শেষ বাঁশি বাজানোর প্রায় এক ঘণ্টা পর জার্মান রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা দুঃখজনক সংবাদ পেল যে ভক্ত হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা গেছে। এফসি বায়ার্ন ভক্তের আত্মীয়দের সঙ্গে শোক ভাগাভাগি করছে। আরটিভি/এসআর
০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫৬

রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। টুর্নামেন্টটিতে জার্মান এই ক্লাবটির কাছে টানা ৬ ম্যাচে হারের তিতো স্বাদ পেয়েছিল কাতালানরা। কিন্তু অবশেষ বায়ার্নের বিপক্ষে জয়েরে দেখা পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। আর এই জয়ের অন্যতম নায়ক ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার রাফিনিয়া। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে জার্মান জায়ান্টদের ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে হান্সি ফ্লিকের দল। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন রাফিনিয়া এবং আরেকটি গোলে করেছেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। বায়ার্নের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন হ্যারি কেইন।  ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটিতে প্রায় সাড়ে ৯ বছর পর বায়ার্ন মিউনিখকে হারাল বার্সেলোনা। এর আগে ২০১৫ সালের মে মাসে ন্যু ক্যাম্পে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে লিওনেল মেসির জোড়া ও নেইমারের একটি গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। এদিন ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মাঝমাঠে ফের্মিন লোপেসের বাড়ানো বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় পারেননি বায়ার্নের এক ডিফেন্ডার। বল ধরে এগিয়ে বক্সে ঢুকে এগিয়ে আসা গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারের বাধা এড়িয়ে জাল খুঁজে নেন রাফিনিয়া। এরপর বল দখলে রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে যায় বায়ার্ন। অষ্টাদশ মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি তাদের। বক্সে বাঁ দিক থেকে সের্গে জিনাব্রির পাসে চমৎকার ভলিতে সমতা টানেন ইংলিশ স্ট্রাইকার কেইন। ২৬তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে লেভানদোভস্কির নিচু শট পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে যায়।  ৩৬তম মিনিটে আবারও গোল হজম করে বায়ার্ন। লামিনে ইয়ামালের ক্রস হেডে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় পারেননি ডিফেন্ডার কিম মিন-জায়ে। তার পেছনেই থাকা ফের্মিন বক্সে ঢুকে নয়ার এগিয়ে আসায় ফ্লিক করে বল দেন অন্য পাশে। বাকি কাজটা সারেন লেভানদোভস্কি। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে দারুণ গোলে স্কোরলাইন ৩-১ করেন রাফিনিয়া। ডান দিক থেকে মার্ক কাসাদোর ক্রস বাঁ দিকে প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একজনের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, সেখানে তার ডান পায়ের শট প্রতিপক্ষের আরেকজনের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জড়ায় জালে। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন রাফিনিয়া। ৫৬তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ইয়ামালের ক্রস বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি, সঙ্গেই লেগে ছিল প্রতিপক্ষের দুজন। তাদের সুযোগ না দিয়ে বক্সে ঢুকে নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার। বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা চতুর্থ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার তিনি। আগের তিন জন হলেন রিভালদো, রোনালদিনিয়ো ও নেইমার। বাকি সময়েও বায়ার্নকে কোণঠাসা করে রেখে আক্রমণ করে যায় বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। প্রতিযোগিতাটিতে সব মিলিয়ে বায়ার্নের বিপক্ষে ১৪ ম্যাচে বার্সেলোনার তৃতীয় জয় এটি, হার ১০টি, বাকি একটি ড্র। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ১০ নম্বরে উঠেছে বার্সেলোনা। টানা দ্বিতীয় হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ২৩ নম্বরে আছে বায়ার্ন। আরটিভি/এসআর
২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৭

ফাইনালে উঠতে রিয়াল-বায়ার্নের আগুনে লড়াই
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মানেই স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের আধিপত্য। যেখানে ১৪টি শিরোপা জিতে সফল দল মাদ্রিদ, সেখানে দ্বিতীয় সফলতম ক্লাব এসি মিলানের শিরোপা ৭টি।  ইউরোপের সেরা হওয়ার দৌড়ে চলতি মৌসুমেও দারুণ ছন্দে রয়েছে, কার্লো আনচেলত্তির দল। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের ঘরের মাঠে, ২-২ গোলের সমতা নিয়ে ফিরেছে ভিনিসিয়াস-লুকা মদ্রিচরা। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে ৩৬তম লা-লিগা শিরোপাও নিশ্চিত করেছে ক্লাবটি। ফলে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকেই বাভারিয়ানদের আতিথেয়তা দেবে হোয়াইটরা। এদিকে মৌসুমটা ভালো কাটেনি টমাস টুখেলের দলের। এখন পর্যন্ত কোনো শিরোপা জিততে পারেনি তারা। খুইয়েছে বুন্দেসলিগায় নিজেদের দীর্ঘ একযুগের আধিপত্যও। ২০১১-১২ মৌসুমের পর এবারই লিগ জয়ে ব্যর্থ হলো ক্লাবটি।  চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পড়লেই শিরোপা ছাড়া মৌসুম শেষ করতে হবে তাদের। মৌসুম শেষে বিদায় নিতে যাওয়া কোচকে তাই অন্তত একটা শিরোপা উপহার দিতে চায় নুয়ার-মুলাররা।  অপরদিকে এ ম্যাচে জয়ই পারে শিরোপার জন্য বায়ার্নে আসা কেইনের আশা বাঁচিয়ে রাখতে। তবে ম্যাচটা রিয়ালের ঘরের মাঠে হওয়ায় যত চিন্তা টুখেলের।  এদিকে লা-লিগা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় লস ব্লাঙ্কোসদের চিন্তায় এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। আছে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই। দলের মূল ভরসার সবাই পুরো ফিট। দারুণ ছন্দে আছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, জুড বেলিংহামরা।  চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন নিয়মিত গোলকিপার কর্তোয়া। যদিও তার বদলে মৌসুম জুড়ে দারুণভাবেই গোলবার সামলেছেন আন্দ্রে লুনিন। ফলে সেমিফাইনালের হাইভোল্টেজ ম্যাচে এগিয়ে থাকবে এ গোলকিপারই।  এ ম্যাচের জয়ী দল আগামী ২ জুন উইম্বলিতে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ পিএসজিকে হারিয়ে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা ডর্টমুন্ড।  
০৮ মে ২০২৪, ১৭:৪৯

রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের আগে বায়ার্ন শিবিরে ইনজুরি ধাক্কা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্র করায় ফাইনালের ওঠার লড়াই কঠিন করেছে বায়ার্ন। দ্বিতীয় লেগে রাফায়েল গুয়েরেইরোর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এদিকে আগামী বুধবার ডু অর ডাই ম্যাচে মাঠে নামবে জার্মান জায়ান্টরা। শনিবার (৪ মে) রাতে বুন্দেসলিগায় স্টুটগার্টের কাছে ৩-১ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে আক্রান্ত হয় গুয়েরেইরোকে ক্রাচে ভর করে মাঠ ছাড়তে দেখা গেছে। ম্যাচের ১৭ মিনিটে এই ডিফেন্ডার ইনজুরিতে পড়েন। এ প্রসঙ্গে বায়ার্ন কোচ টমাস টুখেল স্কাই স্পোর্টসকে বলেছেন, সম্ভবত দ্বিতীয় লেগে রাফা খেলতে পারছেন না। এটা আমাদের জন্য দূর্ভাগ্যের। এছাড়াও ইংলিশ ডিফেন্ডার এরিক ডায়ারেরও খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবারের ম্যাচে সেরেহু গুরিয়াসির সাথে সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পান ডায়ার। পরে তাকে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে খেলতে দেখা গেছে। যদিও বায়ার্নের স্পোর্টিং ডিরেক্টর ম্যাক এবারল বলেছেন ডায়ারের ইনজুরি নিয়ে তিনি অতটা চিন্তিত নন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি তার সাথে কথা বলেছি, মনে হচ্ছেনা বিষয়টি ততটা গুরুতর।’ হাঁটুর ইনজুরির কারণে রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচ মিস করার পর ডাচ সেন্টার ব্যাক মাথিস ডি লিটের খেলাও অনিশ্চিত। কবে নাগাদ তিনি পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে পারবেন তা নিয়ে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।   গত মঙ্গলবার প্রথম লেগে ম্যাচে ঘরের মাঠে মাদ্রিদের সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন। ডি লিটের পরিবর্তে মাঠে নামা কিন মিন-জায়ে রিয়ালের দুই গোলের জন্যই দায়ী ছিলেন। যে কারণে, ডি লিটের অনুপস্থিতি বেশ ভালভাবেই অনুভূত হয়েছে।
০৫ মে ২০২৪, ২৩:১০

রিয়াল মাদ্রিদে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বায়ার্ন কোচ টুখেল
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নিজেদের কিছুটা এগিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন বায়ার্ন কোচ টুখেল। কিন্তু ২-২ গোলে বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের মাঠে রুখে দিয়েছে ভিনি-রদ্রিগোরা। তবে দ্বিতীয় লেগে রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জয় পেতে আত্মবিশ্বাসী বায়ার্ন বস। প্রথম লেগে ড্র করায় ফাইনালের ওঠার লড়াই কিছুটা এগিয়ে রয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। নিজেদের ঘরের মাঠ বলে খানিক অনুকূল পরিবেশ পাবে কার্লো আনচেলত্তির দল। বায়ার্ন বস বিশ্বাস করেন, রিয়ালের মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে নিতে পারবে তার শিষ্যরা। টুখেল বলেন, এটা বিশ্বাস করা গুরুত্বপূর্ণ যে, অবশ্যই এটা সম্ভব (মাদ্রিদে জেতা)। এটি এখনও ৫০-৫০ ম্যাচ এবং আমি মনে করি, আমরা সেখানে দুর্দান্ত সুযোগ পেতে সক্ষম হবো।  ‘লক্ষ্য একেবারে পরিষ্কার, আমাদের জিততে হবে। আমাদের সাহসী আর আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। এবং খেলায় খুব সতর্ক থাকতে হবে।’ প্রথমে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুত দুই গোল করে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। কিন্তু তারা প্রথমার্ধেই বেশ কিছু সুযোগ মিস করে। যা নিয়ে পুরোপুরি হতাশ টুখেল। নিজের হতাশা প্রকাশ করতে গিয়ে টুখেল বলেন, আমরা তৃতীয় গোল করতে পারতাম। কিন্তু আমরা যথেষ্ট সতর্ক ছিলাম না। আমাদের তৃতীয় গোল করার যথেষ্ট সুযোগ ছিল এবং কিছু ত্রুটি ছিল। পরিস্থিতি পরিষ্কার, আমরা সেখানে যাব এবং আমাদের যেকোনো মূল্যে জয় নিয়েই আসতে হবে। টুখেল আরও বলেন, ফলাফল তো ফলাফলই, এটা নিয়ে বেশি সময় ব্যয় করে আলোচনা করার কোনো মানে হয় না। রিয়াল মাদ্রিদ এর আগেও এটি করেছে। দুটি সুযোগের মধ্যে দুটি গোল করেছে।  ‘আমরা প্রথম দল নই যেখানে এটি ঘটেছে। তারা ক্লিনিক্যাল এবং এটির জন্য তাদের অপেক্ষা করার ধৈর্য রয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ (প্রতিপক্ষ) দলগুলোর সঙ্গে এটি করে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের হতাশ থাকা উচিত নয়।’
০১ মে ২০২৪, ১৪:০৮

ভিনিসিয়ুসের জোড়া গোলে বায়ার্নকে রুখে দিলো রিয়াল মাদ্রিদ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন বায়ার্ন মিউনিখ কোচ টমাস টুখেল। তবে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের প্রাণভোমরা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। প্রথম লেগে স্বাগতিকদের মাঠে ২-২ ব্যবধানে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার (৩০এপ্রিল) দিবাগত রাত বায়ার্নের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ এরিনায় খেলতে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে মাদ্রিদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এ ছাড়াও বায়ার্নের হয়ে হ্যারি কেইন এবং লিরয় সানে একটি করে গোল করেন। এদিন ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে বায়ার্ন। তৃতীয় মিনিটে গোলের সুযোগও পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। হ্যারি কেইনের বাড়ানো বল বক্সের ভিতরে থেকে শট করেন সানে। তবে দুর্দান্ত ভাবে সেই জোরালো শট রুখে দেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক লুনিন। ম্যাচে প্রথম ১৫ মিনিট ছিল স্বাগতিকদের। একের পর এক আক্রমণ করে মাদ্রিদের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখে বাভারিয়ানরা। তবে সেই ধাঁক্কা সামলে নিজেদের চেনার রুপে ফিরার চেষ্টা করতে থাকে ভিনি-রদ্রিগোরা। মাচের ২৪তম মিনিটে বায়ার্ন দর্শকদের সামনে নিজেদের আসল রূপ দেখায় রিয়াল। মাঝ মাঠ থেকে প্রতিপক্ষের গোলবারের দিকে বল বাঁড়ান টনি ক্রস। সেই বল পেয়ে দুর্দান্তভাবে নইয়ারকে পরাস্থ করে বায়ার্নের জলে বল পাঠান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এরপর গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। তবে সেই আক্রমণ সামাল দিয়ে ছোট ছোট পাশে এগোতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ৪০ মিনিটের দিকে চুয়ামেনির ফাউলে বক্সের কাছে ফ্রি কিক পায় বায়ার্ন। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কেইন। ৪৩ তম মিনিটে বেলিংহামকে অবৈধভাবে আটকানোর চেষ্টা করে হলুদ কার্ড দেখেন মাজরোউই। রদ্রিগোর নেওয়া শট মাথা দিয়ে পরাস্থ করেন কেইন। এতে কর্ণার পায় মাদ্রিদ। তবে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সফরকারীরা। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে বায়ার্ন। আট মিনিটের মাথায় গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। ৫৩তম  মিনিটে লাইমের বাঁড়ানো বল থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মিডফিল্ডার লিরয় সানে। এরপর ৫৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেইন। এরপর আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। ৭৫তম মিনিটে বেলিংহাম এবং টনি ক্রসকে তুলে নেয় মাদ্রিদ বস আনচেলিত্তো, এবং মাঠে নামেন লুকা মদ্রিচ এবং ব্রাহিম। ৮২তম মিনিটে রদ্রিগোকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন কিম মিনজাই। এতে পেনাল্টি পায় রিয়াল। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিয়ুস। শেষ দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বায়ার্ন। তবে শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়েন রিয়াল মাদ্র্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ।
০১ মে ২০২৪, ০৩:২২

‘ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো’তে বায়ার্নের মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ 
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরের প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপের এ দুই জায়ান্ট দল। এতে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদকে আতিথেয়তা দিবে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হবে ম্যাচটি। রিয়াল মাদ্রিদ এ নিয়ে ৩৩বারের মতো সেমিফাইনাল খেলবে, অন্যদিকে বায়ার্নের ২১তম। সবচেয়ে বেশি সেমিফাইনাল খেলার তালিকায়ও এই দুই দলই সেরা। দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটাচ্ছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। কয়েক ম্যাচ হাতে রেখেই তারা নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা। কোয়ার্টার ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে কার্লো আনচেলোত্তির দল।  এদিকে চলতি মৌসুমটা খুব ভালো কাটছে না তাদের। ১২ বছর বুন্ডেসলিগায় শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে তাদের। ডিএফবি কাপও জিততে পারেনি তারা। ফলে চলতি মৌসুমে জেতার মতো শুধু চ্যাম্পিয়নস লীগই হাতে আছে তাদের।  এছাড়া মৌসুম শেষে ক্লাব ছেড়ে যাবেন কোচ টমাস টুখেল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে তাকেও রাজকীয় বিদায় দিতে চাইবে বাভারিয়ানরা। তবে এই রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে লড়াই করে সেমিফাইনাল নয় ফাইনাল হিসেবে দেখছেন বায়ার্ন কোচ টুখেল। তাই সেরা দল নিয়ে মাঠে নামতে চায় তারা। কিন্তু এই ম্যাচের জন্য এখনও স্কোয়াড ঘোষণা করেনি জার্মান ক্লাবটি। অন্যদিকে সব দিক থেকে এগিয়ে থাকা রিয়াল একদিন আগেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে মাদ্রিদ বার্য়ান মিউনিখ ম্যাচের জন্য। রিয়াল মাদ্রিদ স্কোয়াড: গোলরক্ষক: কোর্তোয়া, লুনিন, কেপা। ডিফেন্ডার: কারভাহাল, মিলিতো, আলাবা, নাচো, লুকাস ভাজকেজ, ফ্রাঁ গার্সিয়া, রুডিগার, মেন্ডি। মিডফিল্ডার: বেলিংহাম, টনি ক্রুস, লুকা মদরিচ, কামাভিঙ্গা, ভালভার্দে, চৌমেনি, সেবেলোস, আরদা গুলার। ফরোয়ার্ড: ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, জোসেলু, ব্রাহিম।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৪

রিয়াল-বায়ার্ন ম্যাচকে ‘ফাইনাল’ হিসেবে দেখছেন কোচ টুখেল
ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গী হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ম্যাচটিকে সেমিফাইনাল নয় বরং ফাইনাল হিসেবেই দেখছেন বায়ার্ন কোচ টমাস টুখেল। মঙ্গলবার (৩০এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার সময় বায়ার্নের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ এরিনায় প্রথম লেগে লড়াই করবে রিয়াল মাদ্রিদ। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে বায়ার্ন কোচ বলেন, এই ম্যাচকে ফাইনালের মতো করে ভাবছি আমরা। এমন লাইন-আপ সাজাব যা দেখলে মনে হবে ফাইনালের জন্যই খেলছি।  ‘হ্যাঁ, আমরা জানি কিছু খেলোয়াড় পুরো ম্যাচ খেলতে পারবে না। কিন্তু আমরা এটা ভাবব না যে, দ্বিতীয় লেগ বাকি আছে। আমি কেবল এই একটা ম্যাচ জেতা নিয়েই ভাবতে চাই এবং এরপর মাদ্রিদে সেরা অবস্থায় থেকে পৌঁছাব।’ ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে টুখেল বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো ওয়েম্বলিতে (ফাইনালের ভেন্যু) জায়গা করে নেওয়া। আমরা আর্সেনালকে হারিয়েছি এবং এটা আমাদের প্রচুর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমরা লড়াইয়ের জন্য মরিয়া হয়ে আছি। আমাদের চোখ  কেবল কালকের ম্যাচ নিয়েই। কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে গিয়ে জয় নিয়ে আসে রিয়াল। যার ফলে প্রস্তুতিতে ভাসছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি।  আনচেলত্তিকে নিয়ে বায়ার্ন কোচ বলেন, কার্লো একজন কিংবদন্তি। তার মধ্যে শান্ত ও অভিজ্ঞতার ছাপ দেখা যায়। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেদের নিয়ে ভাবা। সমাধান খুঁজতে আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা সবাই এই লড়াইয়ের জন্য মুখিয়ে আছি।  এখনও পর্যন্ত ২৬ বার রিয়ালের মুখোমুখি হয়েছে বায়ার্ন। এর মধ্যে ১১টিতে জিতেছে তারা। সবশেষ ২০১৭-১৮ মৌসুমেও সেমিফাইনাল খেলেছিল দুই দল। সেবার দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলে বায়ার্নকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে রিয়াল। তবে এবার এর পুনরাবৃত্তি চান না টুখেল।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৪০

আর্সেনালকে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গী বায়ার্ন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার লড়াই থেকে আগেই পিছিয়ে পড়েছে আর্সেনাল। এবার ছিটকে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকেও। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-২ গোলে ড্র করলেও, দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছে ইংলিশ ক্লাবটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে জার্মান জায়ান্টরা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বায়ার্নের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলতে থাকে দুই দল। আগে রক্ষণভাগ সামলানো পরে গোলের চেষ্টা এই কৌশল নিয়েছিল তারা। তবে আক্রমণে উঠছিল একটু সময় নিয়ে। সেগুলো সহজেই সামাল দিচ্ছিল প্রতিপক্ষের রক্ষণ। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে দূরপাল্লার আচমকা শটে গোলের চেষ্টা করেন জামাল মুসিয়ালা। সেটা ঝাঁপিয়ে ঠেকান আর্সেনাল গোলরক্ষক দাভিদ রায়া। লক্ষ্যে এটাই ছিল প্রথম শট।   পাঁচ মিনিট পর মার্টিন ওদেগোরের শট একজনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে দূরের পোস্ট ঘেঁষে একটু বাড়তি বাউন্স করে জালে যাচ্ছিল। তবে সতর্ক মানুয়েল নয়ার ভালোভাবেই সামাল দেন পরিস্থিতি।  ৩১তম মিনিটে ওদেগোরের পাসে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে সরাসরি নয়ার বরাবর শট নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। গোল শূন্য থেকে বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জালের দেখা পেয়ে যাচ্ছিল বায়ার্ন। ৪৭তম মিনিটে লেয়ন গোরেটস্কার জোরাল হেড ফেরে ক্রসবারে লেগে। ফিরতি বলে রাফায়েল গেরেইরোর শট ব্যর্থ হয় রায়ার হাত ছুঁয়ে পোস্টে লেগে। ৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিক বায়ার্ন। লেরয় সানের শট মাথার উপর থেকে হাত দিয়ে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন রায়া। ঠিক মতো পারেননি আর্সেনাল গোলরক্ষক। ছুটে গিয়ে বল ধরে একটু সময় নিয়ে দূরের পোস্টে ক্রস করেন গেরেইরো। দারুণ গতিতে গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিকে এড়িয়ে জোরাল হেডে জাল খুঁজে নেন কিমিখ।  ৮৭তম মিনিটে কাছ পোস্ট ঘেঁষে ওদেগোরের চমৎকার শট নয়ারের হাত ছুঁয়ে বাইরে চলে যায়। তবে কর্নার দেননি রেফারি! বাকি সময়ে গোলের তেমন কোনো সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি আর্সেনাল। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এতে সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদকে পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তাই ফাইনালে উঠতে হলেও এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ শিরেপাধারীদের কাছে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে জার্মান ক্লাবটিকে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩২

বায়ার্নকে টপকে ১২০ বছরের আক্ষেপ ঘুচালো লেভারকুসেন
জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাব লেভারকুসেন। ক্লাব প্রতিষ্ঠার শত বছর পেরোলেও জার্মান লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দলটি। তবে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে রূপকথার গল্প লিখলেন কোচ শাবি আলোন্সো। সবশেষ ম্যাচে ভেরডার ব্রেমেনকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লেভারকুসেন। এতে বায়ার্ন মিউনিখের ১১ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে জার্মান বুন্দেসলিগার নতুন চ্যাম্পিয়ন লেভারকুসেন ।  গতকালের এই জয়ের পর লেভারকুসেনের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ২৯ ম্যাচে ৭৯। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট সমান ম্যাচে ৬৩। দুই দলের ব্যবধান ১৬ পয়েন্ট হয়ে যাওয়ায় পরের পাঁচ ম্যাচে হারলেও শীর্ষেই থাকবেই লেভারকুসেন। ১২০ বছরের ক্লাব ইতিহাসে এটিই শীর্ষ লিগে লেভারকুসেনের প্রথম ট্রফি। এর আগে পাঁচবার রানার্সআপ হয়েছে তারা। জিতলেই ক্লাব ইতিহাসের প্রথম লিগ শিরোপা। বায়ার লেভারকুসেনের সামনে সমীকরণ ছিল ঠিক এতোটাই সরল। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরুই করেছিল তারা। ২৫ মিনিটে প্রথম গোল আসে পেনাল্টি থেকে। ভিক্টর বনিফেসের গোলের পর থেকেই উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যায় বে অ্যারেনায়। গ্রানিত শাকা লেভারকুসেনে এসেছিলেন একরাশ সমালোচনা নিয়ে। আর্সেনাল থেকে রীতিমত সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়ে বিদায় নিলেন। কিন্তু লেভারকুসেনের জার্সিতে যেন নিজের ফুটবলীয় প্রতিভার সবটা দেখিয়ে দিলেন। দারুণ এক গোল দলকে নিয়ে গেলেন শিরোপার আরও কাছে।  বাকি সময়টা কেবলই ফ্লোরিয়ান ভির্টজ আর বে অ্যারেনার সমর্থকদের। পুরো মৌসুমে দাপুটে ফুটবল উপহার দেয়া লেভারকুসেন শেষ আধঘণ্টায় ছিল আরও ক্ষিপ্র। ৮৪ মিনিটে চতুর্থ গোলের পরেই সমর্থকরা নেমে পড়েন মাঠে। কয়েক মিনিট বন্ধ ছিল সে সময়। ৮৯ মিনিটে গোলের পর আর আটকানো সম্ভব হয়নি। ৫-০ গোলের জয় নিশ্চিত। সেই সঙ্গে নিশ্চিত ক্লাব ইতিহাসের প্রথম শিরোপা। সমর্থকদের আটকে রাখা তো দায়! রেফারিও তাই বাধ্য হয়ে বাজালেন বাঁশি। ওই এক বাঁশির শব্দেই শেষ হলো বুন্দেসলিগায় টানা ১১ বছরের বায়ার্ন মিউনিখের রাজত্ব। বুন্দেসলিগায় ৫ ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করলো বায়ার লেভারকুসেন।  এই মৌসুমের আগে ক্লাবের ইতিহাসের সোনালি সময় ছিল ১৯৯৬-৯৭ থেকে পরের ছয় মৌসুম। এই সময়টায় চারবার বুন্ডেসলিগায় রানার্স আপ হয় তারা। একবার রানার্স আপ হয় জার্মান কাপে। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ফাইনালে উঠে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। ক্লাবের এই সোনালী সময়ের ইতিহাসও তাই মূলত বেদনায় গাঁথা অপ্রাপ্তির গল্প। বারবার কাছে গিয়েও চূড়ান্ত সাফল্য না পাওয়ায় কৌতূক করে তাদের নামে দেওয়া হয় ‘নেভারকুজেন’, যাদেরকে দিয়ে কখনোই সম্ভব নয়।  কিন্তু আলোন্সো আর তার দল সেই ইতিহাস পাল্টে দিল। ক্লাবকে তারা এনে দিলেন ১২০ বছরের ইতিহাসের সেরা সাফল্য। ২০২২ সালের অক্টোবরে যখন ক্লাবের হাল ধরেন শাবি, লেভারকুজেন তখন ভয়ানকভাবে ধুঁকছে। বুন্ডেসলিগার পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান ছিল ১৭তম। শাবির জন্য সেটিই ছিল শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ক্লাবের প্রথম দায়িত্ব। কোচিং অভিজ্ঞতা বলতে ছিল রিয়াল সোসিয়াদাদের ‘বি’ দলের হয়ে তিন বছর কাজ করা। সেই শাবির কোচিংয়েই রেলিগেশনের শঙ্কা উড়িয়ে লেভারকুসেন মৌসুম শেষ করে ষষ্ঠ স্থানে থেকে।  উত্থানের সেই গল্প নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায় এই মৌসুমে। শাবির কোচিংয়ে লেভারকুসেন হয়ে ওঠে অজেয় ও অপ্রতিরোধ্য। একের পর এক ম্যাচ জিতে, রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে শেষ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই তারা নিশ্চিত করে ফেলল শিরোপা জয়। লেভারকুসেনের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন।   
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়