• ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১
logo
সেই সাহসী এএসআইকে পুরস্কৃত করলেন ডিএমপি কমিশনার
ছুরিকাঘাতে আহত হওয়া সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্প্রতি চিহ্নিত এক চাঁদাবাজ ও কুখ্যাত ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ভাটারা থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) মো. মেসবাহ উদ্দিন। এরপর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। এবার বীরত্বপূর্ণ এই কাজের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী তাকে পুরস্কৃত করেছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে তিনি এএসআই মেসবাহ উদ্দিনকে পুরস্কৃত করেন।  এ সময় ডিএমপি কমিশনার তার হাতে ৫০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার তুলে দেন ও তার সাহসিকতাপূর্ণ কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সঙ্গে এ-ও বলেন, মেসবাহ উদ্দিনের এমন কর্ম অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের জন্য অনুকরণীয়। প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ভাটারা থানার জে-ব্লক এলাকায় ছুরিকাঘাতে আহত হওয়া সত্ত্বেও অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় দিয়ে নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাটারা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও কুখ্যাত ছিনতাইকারী মো. মোবারক হোসেন নাফিজকে গ্রেপ্তার করেন এএসআই মো. মেসবাহ উদ্দিন। আরটিভি/আইএম/এস
৬ ঘণ্টা আগে

হলিউড-বলিউড হার মানবে যাদের কাছে!
এই দৃশ্য দেখে কিছুক্ষণের জন্য ভয়ে যে কারও হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যেতেই পারে। মনে হতেই পারে এটি হলিউড বা বলিউড সিনেমার কোনো দৃশ্য। তবে এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। এটি চট্টগ্রামের কাজির দেউরির দুঃসাহসী দুই তরুণ সাজ্জাদ ও মিনহাজের ছুটে চলার গল্প। ছোটবেলা থেকেই পারকোরের নেশায় আসক্ত তারা। নিজ থেকেই দীর্ঘ ৭ থেকে ৮ বছর অনুশীলনের ফলে আজ তারা অনায়াসে পাড়ি দিতে পারে যেকোনো দুর্গম পথ। ‘সাজ্জাদ অ্যান্ড মিনহাজ’ নামে একটি পেজে টেম্পল রান, ক্রেজি থিফ চেইসিং, এস্কেইপ বিল্ডিং, সাবওয়ে সার্ফারের মতো থিমে নিজেদের পারকোর ভিডিও আপলোড করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে তারা। তবে এই পথ চলার গল্পটা ততটা সহজ ছিল না। শুরুতে তাদের শুনতে হয়েছে মানুষের কটুকথা। ছিল পরিবারের বাধাও। তবে এখন তারাই বাহবা দিচ্ছে পারকোর বয়েজদের। মিনহাজের ভাষ্য, ছোটবেলা থেকেই পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা ছিল। মারধরও করতো। বলতো, এটা রিস্কের ব্যাপার। শুরুর দিকে পরিবার থেকে সাপোর্ট পেতাম না। এখন মোটামুটি সাপোর্ট পাচ্ছি। ‘সাজ্জাদ অ্যান্ড মিনহাজ’ নাম দিয়ে একটি পেজ খুলে নিজেদের পারকোরের ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিও আপলোড করে তারা। এরপর রাতারাতি সেটাতে ১৮ লাখ মানুষের ভিউ পড়ে। প্রচলিত ভাষায় যেটাকে বলা যায় ‘ভাইরাল হওয়া’। বাংলাদেশে ভিন্নধর্মী এই খেলা ছিল একেবারেই নতুন কিছু। মানুষের সাধুবাদ তাদের উৎসাহকে আরও বাড়িয়ে তোলে। সাজ্জাজের মন্তব্য, কার্টুন থেকেই আমার মধ্যে আগ্রহ জাগে। আমিও চেষ্টা করব। কার্টুন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই জগতে আসা। আন্তর্জাতিক পারকোরে বাংলাদেশের হয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন সাজ্জাদ- মিনহাজ জুটি। তবে অনুশীলন সরঞ্জাম ও প্লে-গ্রাউন্ডের অভাবসহ নানা সীমাবদ্ধতায় তাদের স্বপ্নের এই যাত্রাটা বেশ কঠিন। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে অবশ্য বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পতাকা মেলে ধরা সম্ভব বলে মত এই দুই তরুণের।  
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়