হোটেলের বাথরুমে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয় শ্রীদেবীর। ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এই অভিনেত্রী।
কিন্তু নতুন তথ্য জানালেন শ্রীদেবীর দেবর সঞ্জয় কাপুর। তিনি দাবি করেছেন, আগে কখনো হৃদরোগে আক্রান্ত হননি শ্রীদেবী। মৃত্যুর সময় হোটেল কক্ষেই ছিলেন এই অভিনেত্রী।
এদিকে শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে দুবাইভিত্তিক একটি সংবাদপত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই পত্রিকার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জিনিউজ জানায়, দুবাইয়ে বিয়ের মূল অনু্ষ্ঠানের পর মুম্বাইয়ে ফিরে এসেছিলেন বনি কাপুর।
দুবাইয়ের হোটেলে একাই ছিলেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু স্ত্রীকে চমকে দেয়ার জন্য শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ আবারও বিমানে দুবাইয়ের জুমিরাহ্ এমিরেটস টাওয়ারস হোটেলে পৌঁছান বনি কাপুর। স্বামীকে হঠাৎ দেখে খুশি হন। বেশ কিছুক্ষণ আড্ডাও মারেন দুজনে। এরপর ডিনার বাইরে করার প্ল্যান করেন তারা।
বাইরে যাবার আগে ফ্রেস হওয়ার জন্য বাথরুমে যান শ্রীদেবী। কিন্তু বেশ কিছু সময় কেটে যাওয়ার পরও শ্রীদেবী বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না দেখে দরজায় ধাক্কা দেন বনি কাপুর। তারপর জল উপচে বাইরে চলে আসায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তিনি।
শ্রীদেবীকে ওই অবস্থায় দেখে চমকে যান বনি। প্রথমে একাই তাকে বের করে আনার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুকে ফোন করেন। রাত ৯টা নাগাদ পুলিশকে জানান বনি কাপুর।
এদিকে শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে এখন শুরু হয়েছে নয়া গুঞ্জন। এরইমধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পরই হয়তো জানা যাবে কীভাবে মারা গেলেন শ্রীদেবী?
মৃত্যুর পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও শ্রীদেবীর মরদেহ ভারতে আনা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। প্রথমে জানা গিয়েছিল রোববার রাতেই মরদেহ মুম্বইয়ে নিয়ে আসা হবে।
কিন্তু মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় জটিলতার কারণে সোমবার মরদেহ নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়। প্রিয় অভিনেত্রীকে শেষ চোখের দেখা দেখতে এখন অপেক্ষারত পুরো ভারত। সোমবার শ্রীদেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
পিআর/পি