জয়নাবের সন্দেহভাজন হত্যাকারী রাজনীতিক নেতাদের মদদপুষ্ট
পাকিস্তানে শিশু জয়নাব ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন এক সিরিয়াল কিলারকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ওই ব্যক্তি আন্তর্জাতিক শিশু যৌন নিপীড়ন চক্রের সঙ্গে জড়িত। খবর স্কাই নিউজ, সামা টিভি, জিও টিভির।
মোহাম্মদ ইমরান আলিকে সাত বছরের শিশু জয়নাব আনসারির হত্যার ঘটনায় আটক করা হয়। গেলো ১১ জানুয়ারি জয়নাবের বাড়ি কাসুর থেকে এক মাইলের বেশি দূরে ময়লার মধ্যে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশ বলছে, ২৪ বছর বয়সী এই সন্দেহভাজন ব্যক্তি জয়নাবসহ আরও সাতজনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
শিশু নির্যাতনের ধারণকৃত ভিডিও আন্তর্জাতিক চক্রকে ইমরান পাঠাতো কিনা সেটি খতিয়ে তদন্তকারীদের নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি মিয়ান সাকিব নিসার।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: প্যারিসে বন্যা, ল্যুভর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা
--------------------------------------------------------
এদিকে লাহোর হাইকোর্টের একজন বিচারক ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে আরও এক সপ্তাহ দিয়েছেন।
স্থানীয় এক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইমরানের ৩৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তারা জানাচ্ছেন, যেগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক শিশু নিপীড়ন চক্রের সম্ভাব্য সংযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে টেলিভিশন উপস্থাপক ড. শহিদ মাসুদ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছেন, ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতারা জড়িত আছেন। এমনকি ইমরান আলির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিদেশি মুদ্রা রয়েছে।
এরপর পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংক এক চিঠিতে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ইমরানের কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই।
কোরআন শিক্ষা ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় জয়নাব। এর এক সপ্তাহ পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ওইসময় তার বাবা-মা হজব্রত পালন করতে সৌদি আরব ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য করুন