• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন 
দেশে পা রাখা মাত্রই গ্রেপ্তার কুয়েতের সাবেক মন্ত্রী
বিদেশ থেকে ফিরে দেশের মাটিতে পা রাখা মাত্রই গ্রেপ্তার হয়েছেন মোবারক আলারৌ (৪৬) নামে কুয়েতের সাবেক এক মন্ত্রী। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত দেশটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন তিনি। মন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল তাকে।  আলারৌয়ের বিরুদ্ধে মন্ত্রী থাকাকালে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের পছন্দের কোম্পানিকে সরকারি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া, সরকারি তহবিলের অর্থ লোপাট এবং সংবাদমাধ্যমে অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় গত নভেম্বরে তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন কুয়েতের একটি আদালত। তবে ২০২২ সালের আগস্টে মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পর পরই দেশত্যাগ করায় এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন তিনি। একই মামলায় কুয়েতের একটি মন্ত্রণালয়ের একজন আন্ডার সেক্রেটারি এবং সরকারি সংস্থা ফেডারেশন অব কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাবেক প্রধানকেও একই সাজা দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে যে কোম্পানিকে আলারৌ এবং তার সহযোগীরা টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন, সেটির কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কুয়েতের দৈনিক আল কাবাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (৬ মে) আলারৌ দেশে ফিরে কুয়েতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখা মাত্র তাকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর পুলিশ। আলারৌর আইনজীবীরা অবশ্য তার সাজা মওকুফের জন্য আপিল করেছেন। আগামী ৩০ মে সেই আপিলের ওপর শুনানি হবে।  প্রসঙ্গত, প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সম্প্রতি জোর অভিযান শুরু করেছে কুয়েত।
সেই ভিডিওতে নিজেকে নাচতে দেখে যা বললেন মোদি
চুরির অভিযোগে রাশিয়ায় গ্রেপ্তার মার্কিন সেনা 
ভারতে লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু
পুলিৎজার পেল রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস
জিম্মি মুক্তিতে হামাসের সম্মতির পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত 
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান ইসরায়েলি নির্বিচার আগ্রাসনের সাত মাস পূর্ণ হতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিগত তিন-চার মাসে কয়েক দফায় আলোচনার পর অবশেষে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির শর্তে জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতদিন যুদ্ধবিরতি না হওয়ার জন্য হামাসের বারবার পিছিয়ে যাওয়াকেই কারণ হিসেবে দেখাচ্ছিল ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। তাই অবশেষে হামাসের সম্মতির খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে গাজার বাসিন্দারা। কিন্তু তাদের সে উচ্ছ্বাস হয়তো স্থায়ী হচ্ছে না; জিম্মি মুক্তিতে হামাস রাজি হলেও বেঁকে বসেছে ইসরায়েলি প্রশাসন। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে ফের হামলা শুরু করেছে দখলদার রাষ্ট্রটির সেনারা।  এরই মধ্যে রাফাহর পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলার খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা। ফিলিস্তিনের তথ্য কেন্দ্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে রাফাহ। পূর্ব রাফাহর আল-জাইনা এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র বলছে, এর আগেও দুটি বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছিলেন।  এদিকে অ্যাসোসিয়েট প্রেস এজেন্সি (এপি) জানিয়েছে, ইসরায়েলি বেশকিছু ট্যাঙ্ক রাফাহ সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছে।  বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (৬ মে) মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে আসা গাজা যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোন করে প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।  কিন্তু ইসরায়েল এখন বলেছে, নতুন প্রস্তাবের শর্তগুলো তাদের দাবি পূরণ করেনি এবং চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার পাশাপাশি রাফাহতে হামলার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে সমঝোতা হয়নি। যে প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে, তা মিসরের প্রস্তাবের একটি তুলনামূলক নমনীয় সংস্করণ। এতে এমন সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে, যা ইসরায়েল কখনও মেনে নেবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইসরায়েলি কর্মকর্তা এও বলেছেন, এটি এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে মনে হয়ে ইসরায়েল চুক্তি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটিতে ইসরায়েলের দাবি পূরণ হয়নি। তবে ইসরায়েল একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে আলোচকদের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠাবে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু করতে মঙ্গলবার (৭ মে) কায়রো যাবে তাদের প্রতিনিধি দল। তবে এরই মধ্যে রাফাহতে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। তাদের দাবি, গাজায় পূর্ণ বিজয় অর্জনের জন্য প্রধান এই শহরটিতে অভিযান চালিয়ে যাওয়া দরকার।  অবশ্য পুনরায় আলোচনার আগে রাফাহ আক্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সেখানে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা ছাড়া হামলা করা উচিত নয়। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ওয়াশিংটন তার মিত্রদের সঙ্গে হামাসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আলোচনা করবে এবং এ পর্যায়ে এ ধরনের একটি চুক্তি ‘একেবারেই অর্জনযোগ্য’। উল্লেখ্য, হামাস নির্মূলের নামে গত সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজায়। নিহতদের বেশির ভাগই নিরীহ নারী ও শিশু। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের এই নির্বিচার আগ্রাসন ও ধ্বংসযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল। ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত ভূখণ্ডটিতে মানবিক বিপর্যয়ের এমন পরিস্থিতিতেও ইসরায়েলকে সরাসরি মদদ দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র ছাড়াও বড় অর্থনৈতিক সহায়তা বরাদ্দ অব্যাহত আছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি দখলদার রাষ্ট্রটি বরাবরই নৈতিক ও আর্থিক সমর্থন পেয়ে আসছে কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার মতো মিত্রদের কাছ থেকে। সবশেষ সোমবারও (৬ মে) গাজার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত রাফাহতে আকাশ ও স্থল অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী এবং শহরের কিছু অংশ থেকে বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। মূলত সাত মাসের ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞে গাজার এই শহরটি এখন ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সব বাসিন্দাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হামাস, গাজাবাসীর উচ্ছ্বাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে মধ্যস্থতায় রয়েছে কাতার ও মিশর। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা। যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গাজার বাসিন্দারা। খবর কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তিতে রাজি হওয়ার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে হামাস। হামাসের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোন করে জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। মিসরের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামালকেও একই কথা জানিয়েছেন তিনি। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করছে কাতার ও মিসর। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাসের বিবৃতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আপাতত মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র
গত সপ্তাহে অস্ত্র-গোলাবারুদের যে চালানটি পাঠানোর কথা ছিল, তা আপাতত পাঠানো হচ্ছে না বলে ইসরায়েলকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর এই প্রথম অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস প্রথম এই সংবাদ প্রকাশ করে।  ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ওয়াশিংটনের আকস্মিক এ পদক্ষেপে উদ্বেগ বোধ করছেন ইসরায়েলের কর্মকর্তারা। ঠিক কী কারণে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করা হয়েছে তা জানতে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে। কেননা এই চালানটিতে জরুরি কিছু অস্ত্র আসার কথা ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এখনও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না বলে খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়েছিল সিএনএন। তবে তিনি সরাসরি কোনো  উত্তর দেননি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে শত শত কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত কয়েক মাসে ইসরায়েলকে যত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, তা গত কয়েক দশকেও দেওয়া হয়নি। শুধু হামাসই নয়, হিজবুল্লাহ ও ইরানকে মোকাবিলা করার জন্যও আমরা ইসরায়েলকে সহায়তা দিয়েছি এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলকে গাজায় অভিযান চালানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে বেসামরিক লোকজনের হতাহতের ঘটনা কমাতে, গাজায় ত্রাণ-সামগ্রী প্রবেশে বাধা না দেওয়াসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইসরায়েল এসব বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। সবশেষে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান চালাতেও নিষেধ করা হয়েছিল। সেই নির্দেশনাও অমান্য করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার ‘হুঁশ’ ফেরাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। সূত্র: এক্সিওস, নিউইয়র্ক পোস্ট
পারমাণবিক অস্ত্র মহড়ার নির্দেশ পুতিনের
ইউক্রেনের আশপাশে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালানোর জন্য নিজ দেশের সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  সোমবার (৬ মে) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত হুমকির মুখে রুশ সামরিক বাহিনীকে এই মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।  রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নন-স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি ও সেনা মোতায়েনসহ সামরিক মহড়া চালাবে মস্কো। রুশ বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর পাশাপাশি রাশিয়ার দক্ষিণ সামরিক জেলার সৈন্যরাও এ মহড়ায় অংশ নেবেন।  মন্ত্রণালয় বলছে, রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তার উস্কানিমূলক বিবৃতি ও হুমকির প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করাই এই মহড়ার লক্ষ্য। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে বারবার কথা বলছেন পুতিন। গত ফেব্রুয়ারিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণেও রুশ প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছিলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের ‘প্রকৃত’ ঝুঁকি রয়েছে।  এখন পর্যন্ত রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র। বিশ্বের মোট ১২ হাজার ১০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মধ্যে ১০ হাজার ৬০০টিরও বেশি এই দুই দেশের অস্ত্র ভাণ্ডারে রয়েছে। পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের তালিকায় এরপরের অবস্থানটিই চীনের। তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন। ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাশিয়ার কাছে প্রায় এক হাজার ৫৫৮টি নন-স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে। তবে স্বচ্ছতার অভাবে রাশিয়ার এই ধরনের অস্ত্রের সঠিক পরিসংখ্যান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায় না। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,  জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরে প্রথম পারমাণবিক বোমা হামলা চালানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের আর কোনো যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হয়নি।  
দ্রুত ছড়াতে সক্ষম করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ফ্লার্ট
বিশ্বজুড়ে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস মহামারির আরেকটি নতুন ধরন বা ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে। সম্প্রতি ফ্লার্ট নামের এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম বলে এর নাম রাখা হয়েছে ফ্লার্ট। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রনের অভিযোজন থেকেই নতুন এই ধরন সৃষ্টি হয়েছে। ওমিক্রন জেএন-১ প্রজাতির অভিযোজনে তৈরি হয়েছে ফ্লার্টের কেপি-২ ও কেপি-১.১। এর ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা ওমিক্রন থেকে কয়েক গুণ বেশি। এছাড়া ওমিক্রনের উপসর্গের সঙ্গে ফ্লার্টের উপসর্গের বেশকিছু মিল রয়েছে। ফ্লার্টে আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই হালকা জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তবে হাসপাতালে না গিয়েও শুধু বাড়িতে বিশ্রাম নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে উঠছেন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ফ্লার্টের নাম দিয়েছে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’। করোনার এ ভ্যারিয়েন্টটিকে ব্যাপক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি উন্নত টিকা তৈরিতে গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের শুরুর দিকে প্রথম করোনাভাইরাস চিহ্নিত হওয়ার পর এটির হাজার হাজার অভিযোজন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে। করোনাভাইরাসের প্রধান ভ্যারিয়েন্ট বা ধরনগুলোর মধ্যে রয়েছে আলফা, বেটা, গামা, ডেল্টা, মু, আর-১, ওমিক্রন ইত্যাদি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বেশিরভাগ অভিযোজনের ক্ষেত্রেই ভাইরাসটির মূল গঠনের ওপর খুব কম প্রভাব পড়ে । আবার সময়ের সঙ্গে বিলুপ্তও হয়ে যায় এটি। তবে কোনো কোনো অভিযোজন এমনভাবে ঘটে, যা ভাইরাসটিকে টিকে থাকতে এবং বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।  ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাবে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারিতে অন্তত ৭০ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে মারা গেছেন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ। আর বাংলাদেশে ২০ লাখ ৪৯ হাজার আক্রান্তের বিপরীতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের।
হজ ভিসা নিয়ে সৌদি আরবের নতুন নিয়ম
হজ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম চালু করেছে সৌদি আরব। এই ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এমন তথ্য জানিয়েছে। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, হজ ভিসা দিয়ে ২০২৪ সালে হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবেন। হজ ভিসা শুধু হজ মৌসুমের জন্যই বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমরাহ পালন বা যেকোনো ধরনের আর্থিক বা অবৈতনিক কাজের ব্যাপারে নতুন নিয়মে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।  দেশটিতে কাজ করা, বসবাস বা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা অবৈধ। কেউ এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাকে ভবিষ্যতে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়াও অভিযুক্তকে দেশ থেকেও বেরও করে দেওয়া হতে পারে। এর আগে শনিবার (৪ মে) পবিত্র হজ সামনে রেখে অনুমতি ছাড়া মক্কায় জনসাধারণের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। ওইদিন থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর করা হয়।  সৌদি আরবের জননিরাপত্তা বিভাগ জানায়, মূলত পবিত্র হজে সারাবিশ্ব থেকে আগত বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে মক্কায় প্রবেশের জন্য অবশ্যই অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এমনকি সৌদি নাগরিকদেরও।
শিশু হত্যার দায়ে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েল
গত বছরের ২৯ নভেম্বর। সেদিন বিকেলের দিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের কয়েকটি ফিলিস্তিনি বাচ্চা ছেলে তাদের সামনের রাস্তায় খেলতে নেমে এসেছিল। ওখানে তারা প্রায়ই একসঙ্গে খেলত। কয়েক মিনিট পরেই ওই বাচ্চাদের মধ্যে দুজন ইসরায়েলি সেনাদের ছোড়া গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। নিহত ওই দুজন ছিল ১৫ বছর বয়সী বাসিল ও ৮ বছরের অ্যাডাম। জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর বা ‘ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক’ সামরিক দখলদারির অধীনে আছে বিগত অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে। সেখানে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী কী ধরনের আচরণ করে থাকে, তা নিয়ে বিবিসির করা একটি তদন্তের অংশ হিসেবে যে দিন ওই বাচ্চাদুটি মারা যায়, সে দিন ঠিক কী কী ঘটেছিল তার ঘটনাক্রমগুলো জোড়া দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই ঘটনাটি সংক্রান্ত যাবতীয় মোবাইল ফোন ও সিসিটিভি ফুটেজ, ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর গতিবিধি নিয়ে তথ্য, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও ঘটনাস্থলের মাপজোখ-সহ বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ – এগুলো সব একত্রিত করে যে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে ওই ঘটনায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল বলেই প্রতীয়মান হয়। বিবিসি যে সব সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছে, তা দেখে জাতিসংঘের মানবাধিকার ও কাউন্টার-টেররিজম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি বেন সল পর্যন্ত বলেছেন, অ্যাডাম নামে বাচ্চাটির মৃত্যু ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলেই মনে হচ্ছে। আরেকজন আইন বিশেষজ্ঞ ড: লরেন্স হিল-কওথর্ন বলেছেন, যেভাবে প্রাণঘাতী শক্তির প্রয়োগ করা হয়েছে তা ছিল ‘নির্বিচার’। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ জানিয়েছে কোন পরিস্থিতিতে এই মৃত্যুগুলো ঘটেছে তা ‘পর্যালোচনা করা হচ্ছে’। তবে সেই সঙ্গেই তারা বলেছে, ‘লাইভ ফায়ার (আগ্নেয়াস্ত্র) তখনই ব্যবহার করা হয় যখন কোনও আশু বিপদের মোকাবিলা করতে হয়। এছাড়া কাউকে গ্রেফতার করার সময় অ্যারেস্ট প্রোটোকল অনুযায়ী বাকি সব উপায় বন্ধ হয়ে গেলে তখনও করা হয়।’ গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের চালানো হামলার পর থেকে পশ্চিম তীরেও সহিংসতা তীব্র আকার নিয়েছে। সেখানে ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে গ্রাফিতি এঁকে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে, বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে আর ওই এলাকা ছেড়ে প্রতিবেশী জর্ডানে চলে যেতে বলা হচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি একজন বন্দুকধারীর দেহ খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয়েছে – বিবিসি এগুলোরও প্রমাণ পেয়েছে। ২৯ নভেম্বরের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে বাসিল দাঁড়িয়ে ছিল একটি হার্ডওয়ার দোকানের সামনে, যেটির শাটার নামানো ও তালা বন্ধ করা ছিল। পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে যখনই ইসরায়েলি সেনা আসে, আশেপাশের দোকানগুলো হুড়মুড় করে বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিম তীর কিন্তু গাজার মতো হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকা নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কাছেই জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চালানো অভিযান থেকে আসা গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। লিওনেল মেসির বিরাট ভক্ত আর ফুটবল-পাগল অ্যাডাম দাঁড়িয়ে ছিল তার বড় ভাই বাহার সঙ্গে, যার বয়স ১৪। সে দিন রাস্তায় মোট ন’টির মতো ছেলে ছিল, যাদের সবাইকে সিসিটিভি ক্যামরার ফুটেজে দেখা গেছে। এরপর যা ঘটেছিল, ওই ক্যামেরাতে তার প্রায় ৩৬০-ডিগ্রি ভিউও ধরা পড়েছে। কয়েকশো মিটার দূরে তখন গোটাছয়েক সশস্ত্র ইসরায়েলি সামরিক যানের একটি বহর ছিল। হঠাৎই অভিমুখ পাল্টে ওই সেনা বহরটি বাচ্চাগুলোর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। ওই বাচ্চারা স্পষ্টতই অস্বস্তিতে ভুগতে শুরু করে, কয়েকজন দূরেও সরে যেতে থাকে। ঠিক এই মুহুর্তে তোলা মোবাইল ফোনের ফুটেজে পরে দেখা গেছে একটি সশস্ত্র সেনা যানের সামনের দরজাটি খুলে যায়। ভেতরে যে সেনা সদস্য ছিল তার একেবারে চোখের সামনে চলে আসে বাচ্চাগুলো। বাসিল তখন রাস্তার একেবারে মাঝখানে, আর অ্যাডাম ওই সৈন্যদের থেকে মাত্র ১২ মিটার দূরে – দৌড়ে পালাচ্ছে। পরে ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে বিবিসি দেখতে পেয়েছে ওই বুলেটগুলো অনেকটা এলাকা জুড়ে আঘাত করে। চারটি বুলেট আঘাত করে একটি ধাতব পোলে, দুটি বুলেট হার্ডওয়ার স্টোরের শাটারে লাগে, পার্ক করা একটি গাড়ির বাম্পার ফুঁড়ে চলে যায় একটি বুলেট – এবং আরও একটি ছেদ করে দেয় একটি হ্যান্ডরেইল। বিবিসির হাতে পরে যে মেডিক্যাল রিপোর্ট এসেছে তাতে দেখা গেছে দুটি গুলি সোজা একদম বাসিলের বুক ভেদ করে দেয়। আর একটি গুলি আট বছর বয়সী অ্যাডামের মাথার পেছন দিকে এসে লাগে, কারণ সে দৌড়ে পালাচ্ছিল। তার বড় ভাই বাহা মরিয়া হয়ে তাকে টেনে আড়াল করার চেষ্টা করেছিল ... রাস্তায় রক্তের ধারা বয়ে যায়, বাহা চিৎকার করে একটা অ্যাম্বুলেন্স ডাকার চেষ্টা করে যায়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। বাহা পরে বলেছে, অ্যাডাম আর তার বন্ধু বাসিল তার চোখের সামনে মারা যায়। “আমি একদম হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলাম। নিজের কথা তখন আমার মনেই নেই, আমি শুধু ওর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ‘অ্যাডাম, অ্যাডাম’ বলে কত ডাকলাম – কিন্তু ওর প্রাণ ততক্ষণে শরীর ছেড়ে চলে গেছে, ও আর সাড়াই দিল না!”, চোখের জলে ভাসতে ভাসতে বাহা পরে বিবিসিকে বলেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঠিক আগে বাসিলের ছবিতে দেখা গেছে সে কিছু একটা হাতে ধরে ছিল। জিনিসটা ঠিক কী তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। আইডিএফ পরে ঘটনাস্থলে নেওয়া একটি ছবি শেয়ার করেছে, এবং তারা বলেছে ওই জিনিসটি ছিল বিস্ফোরক-ভরা বা এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস। আইডিএফ বলছে, বন্ধু বাহার (ডানদিকে) সঙ্গে যখন বাসিল (বাঁয়ে) রাস্তায়, তখন বাসিলের হাতে বিস্ফোরক ছিল। ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে আমরা যে সব সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছি তা বেশ কয়েকজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞকে দেখানো হয়েছে, যাদের মধ্যে মানবাধিকার আইনজীবীরা, যুদ্ধাপরাধের তদন্তকারী ও একজন কাউন্টার-টেররিজম বিশেষজ্ঞও ছিলেন। এছাড়া জাতিসংঘ-সহ বিভিন্ন নিরপেক্ষ সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তা শেয়ার করা হয়েছে। অনেকে তাদের মতামত দিয়েছেন নিজের নাম প্রকাশ না-করার শর্তে। এই বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। কয়েকজন আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, দেখে মনে হচ্ছে এখানে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ঘটেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার ও কাউন্টার-টেররিজম বিষয়ক স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়র বেন সল বলেছেন, বাসিল যদি কোনও এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস হাতে ধরে থাকে, তাহলে তার ক্ষেত্রে আইনসম্মতভাবে প্রাণঘাতী শক্তির প্রয়োগ করা হয়েছে কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।