• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের আনন্দে অনিশ্চয়তা
বেরোবিতে ভবনগুলোর অভ্যন্তরে মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভবনগুলোর অভ্যন্তরে মিছিল, মিটিং নিষিদ্ধ করেছে বেরোবি প্রশাসন। মঙ্গলবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রাখতে একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরি ভবন ও প্রশাসনিক ভবন এর অভ্যন্তরে সর্বাবস্থাতেই মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ যথারীতি নিষিদ্ধ থাকবে। এই নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের বাক স্বাধীনতা খর্ব ও অধিকার আদায়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করবে কি না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেরোবি প্রক্টর বলেন, এ নির্দেশনার মাধ্যমে ক্যাম্পাসের আন্দোলন, সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়নি। যে ভবনগুলোতে একাডেমিক কার্যক্রম চলে তা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাবির লিগ্যাল সেলের নতুন প্রশাসক ড. সাদিকুল ইসলাম 
ছাত্রীদের যৌন হয়রানি: ঢাবির অধ্যাপককে অব্যাহতি
সাপের কামড়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
‘তোর কোন পায়ে গুলি করব, ডান পায়ে না বাম পায়ে?’
প্রবাসী স্বামীর পরকীয়ার জেরে নোবিপ্রবি ছাত্রীর আত্মহত্যা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী আনিকা বিনতে ইউসুফ আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর পরকীয়া, নির্যাতন ও শ্বশুরবাড়ির অসহযোগিতা সইতে না পেরেই আনিকা আত্মহত্যা কর‍তে বাধ্য হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে ও মামলাটি তদন্তাধীন আছে বলে মঙ্গলবার (৭ মে) নোয়াখালী সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি আরটিভিকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, আনিকার মৃত্যুর ৪ দিন পর গত ৩০ এপ্রিল স্বামী ফারদিন আহমেদ ওহি(৩১), শ্বশুর আকতার হামিদ (৬৭) ও শাশুড়ি নূর জাহান বেগমকে আসামী করে নোয়াখালীর  সিনিয়র জুডিশিয়াল ১নং আমলি আদালতে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন নিহত আনিকার বাবা মো.ছায়েফ উল্ল্যাহ্। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত আনিকা বিনতে ইউসুফ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে অভিযুক্ত ফারদিন আহমেদ ওহির সাথে পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে পারিবারিক সিদ্ধান্তে ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয় দুজনের। বিবাহের কিছুদিন পর পুনরায় মাল্টায়(বিদেশ) চলে যায় ফারদিন। বিদেশ যাওয়ার পর আনিকা তার স্বামীর ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের আইডিতে বিভিন্ন মেয়ের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ছবি এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহনের ছবি দেখত পায়।  এজাহারে সূত্রে আরও জানা যায়, আনিকা তার স্বামী ওহিকে বিষয়গুলো জানালে আনিকার ওপর ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হয়ে যায় সে। স্বামী দেশে আসার পরেও  সারাদিন বিভিন্ন মেয়েদের সাথে দীর্ঘ আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকতে দেখেন আনিকা। এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে আনিকা ফের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এজাহারে জানা যায়, ঘটনার দিন একটি মেয়ে তার  ফেসবুক আইডি থেকে থেকে ম্যাসেঞ্জারে আনিকাকে তার স্বামীর অশালীন বার্তার কিছু স্কিনশর্ট পাঠায়। স্কিনশর্ট গুলোতে দেখা যায় যে,অই মেয়েকে বিভিন্ন যৌন উত্তেজক অশালীন বার্তা পাঠায় আনিকার স্বামী ওহি। পরবর্তীতে ঘটনার দিন সকালে স্ক্রিনশট গুলো স্বামীকে পাঠালে আনিকার সাথে ফের চরম দুর্ব্যবহার ও অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে ফারদিন আহমেদ ওহি। এমন আচরণের পর শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে উলটো আনিকাকেই দোষারোপ করা হয় বলে  জানা যায়। পরবর্তীতে আনিকা তার স্বামীর অন্যায় ও অনৈতিক আচরণ সইতে না পেরে রাগে ক্ষোভে বিষ পানে আত্মহত্যা করেন। নিহত আনিকার ছোট বোন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অবনি বলেন, আপুর স্বামী ফারহিন হামিদ ওহি মাদকাসক্ত। তিনি অনেক মেয়ের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত।বিয়ের পর থেকেই স্বামী কর্তৃক  গালিগালাজ, লাথি, কিল, ঘুষি, থাপ্পড়, জুতার বাড়িসহ বিভিন্ন রকমের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আনিকা আপু। বিয়ের ১৭ দিন পর বিদেশ (মাল্টা) চলে যায় ফারদিন। পরবর্তীতে আর্থিক সঙ্কট দেখিয়ে গ্রিন কার্ড, পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য আনিকা আপুকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় সে। স্বামীর অত্যাচারে নিজের ক্যারিয়ারেও পেছাতে হয় আনিকা আপুকে। গ্রাজুয়েশন শেষ করার দুই বছরেও মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারেন নি এবং কোন চাকরির পরীক্ষার প্রিপারেশনও নিতে পারেননি ওনি। আনিকার ছোট বোন অবনী আরও বলেন, সর্বশেষ চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল আনিকা আপু ফেসবুক ম্যাসেজে অন্য এক মেয়ের সাথে স্বামীর অশ্লীল মেসেজের সত্যতা পায়। স্বামীর অবহেলার সাথে এসব তথ্যে অসহ্য যন্ত্রণায় ভেঙে পড়ে আনিকা আপু। এ বিষয়ে জানতে নিহত আনিকার শশুর ও মামলার ২নং আসামী আকতার হামিদের  মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং বক্তব্য জানতে খুদে বার্তা দেওয়া হলে তারও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নোয়াখালীর সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, আত্মহত্যা প্ররোচনার এই মামলার মূল আসামী বিদেশ থাকে। মামলাটি আমরা তদন্ত করতেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
বেরোবিতে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে দুই দিন আন্দোলনের পর ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে আমাদের বিভাগে বিভাগীয় প্রধান শূন্য। এতে আমরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। আমাদের ক্লাস শেষ হলেও কোনো ব্যাচের পরীক্ষা হচ্ছে না। এতে আমরা সকল দিক থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি।  আমাদের দাবি হচ্ছে নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দিতে হবে এবং বিভাগের অচলাবস্থা দূর করতে হবে। আমাদের ধারাবাহিক পরীক্ষাগুলো নিতে হবে। আমরা গত দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নানা তালবাহানা করা হয়েছে। এমনকি ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তিনি দেখা করেননি। পরে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করলে সোমবার (৬ মে) বিকেল ৫টার পর তিনি রুম থেকে বের হয়ে আমাদের কাছে রোববার (১২ মে) পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন। আমরা শিক্ষার্থীরা নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। জানা যায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম গত ১০ মার্চ বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করেন। এরপর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ধারা-২৮(৩) অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার কথা ছিল বিভাগের অপর সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের। কিন্তু তা না করে গত ১০ মার্চ সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহারকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। এরপর ১২ মার্চ সহকারী অধ্যাপক সারোয়ার আহমেদ এবং ১৯ মার্চ সহকারী অধ্যাপক মো. রহমতুল্লাহকে দায়িত্ব প্রদান করা হলে তারাও দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন থেকেই বিভাগটি বিভাগীয় প্রধান শূন্য রয়েছে। সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মুহম্মদ আলমগীর চৌধুরী বলেন, আইনগত জটিলতা থাকায় ওই বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ জানান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ জটিলতা নিরসনে আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি। কমিটি রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান নিয়োগে সংকট নিরসনে করা কমিটির প্রধান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক. মোরশেদের কাছে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামের পর কুবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি  
দুই দফা দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফএম আব্দুল মঈনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামের পর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি। বুধবার (৬ মে) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।  গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ‘অপেশাদার কতিপয় শিক্ষক’, অছাত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগ অথবা অপসারণের এক দফা ও সকল সন্ত্রাসীদের বিচারের জন্য প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল কুবি শিক্ষক সমিতি। দাবি পূরণ না হওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি।  কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্য ও ট্রেজারারের নির্দেশে বহিরাগত ও সাবেক শিক্ষার্থীদের দ্বারা শিক্ষকদের ওপর হামলা হয়েছে। এই হামলাকারীদের বিচারের দাবি এবং উপাচার্য ও ট্রেজারারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আমাদের আজকের এই অবস্থান কর্মসূচি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
অর্থ সংকটে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোবিপ্রবি 
অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আসন্ন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে-২০২৪ এ দল পাঠাচ্ছেনা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)- কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, নোবিপ্রবির ভলিবল দল গত ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্ট বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে উঠার গৌরব অর্জন করে। দলটিকে সুযোগ দেওয়া হলে তারা আরও ভালো করবে। অর্থের কারণ দেখিয়ে একটি সম্ভাবনাময় দলকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া অযৌক্তিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোবিপ্রবি ভলিবল দলের এক খেলোয়াড় বলেন, আমরা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী এবং ভালো কিছু করার জন্য প্রস্তুত আছি। আর্থিক সংকট ও খেলার বাজেট না থাকার কারণে আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহণ করতে পারছি নাহ, আমরা চাই প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগিতা করে যেন আমরা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, গতবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টে নোবিপ্রবি সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে অথচ এবার অংশগ্রহণে অনিশ্চিত। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালক মো. রুবেল মিয়া বলেন, খেলা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবো না। এই বছর আমরা খেলার মাঠ সংস্কার ও পিচ বানানোর কাজ করায় আর্থিক সংকটের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন থেকে প্রতিবছর আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সবগুলো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ না করে আমরা রোটেশন করে তিন থেকে চারটি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করব। উল্লেখ্য, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফাইনালে অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্ট স্থগিত রয়েছে।
চবিতে ভর্তি হতে দিতে হবে ডোপ টেস্ট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নতুন শিক্ষাবর্ষের (২০২৩-২০২৪) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ডোপ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ‘মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই’—মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে চবির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চালু হতে যাচ্ছে এ ব্যবস্থা। গতকাল রোববার (৫ মে) চবি উপাচার্য প্রফেসর মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ডোপ টেস্টের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের চবিতে চূড়ান্ত ভর্তির আগে ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের বলেন, ‘মাদক আমাদের সমাজ, পরিবার ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। তাই আমরা এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’  তিনি বলেন, ‘প্রথমে যারা সফলভাবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের ডোপ টেস্ট করা হবে। তারপরে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে আমরা অন্যান্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীদেরও ধীরে ধীরে এ ব্যবস্থার আওতায় আনব।’  উপাচার্য বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া শুরু করতে আমরা ইতোমধ্যে চমেক হাসপাতালের মেডিসিনের ডিনের সঙ্গে কথা বলেছি। কে এই খরচ বহন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আমরা একটি সীমা নির্ধারণ করার চেষ্টা করছি, যা ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।’ শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে নতুন এ পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজউদ দৌলা বলেন, ‘আমরা দেশের স্বার্থে এই উদ্যোগ নিয়েছি। পুরুষ ও নারী— সব শিক্ষার্থীকেই তাদের রক্তের বা মূত্রের নমুনা চমেকে দিতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল চূড়ান্ত তালিকার জন্য প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হবে। যদি কেউ পজিটিভ হন, তাহলে তিনি ভর্তি হতে পারবেন না। এরপর শূন্য আসনের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের বেছে নেওয়া হবে এবং তাদেরকেও একই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’ প্রসঙ্গত, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে দেশে প্রথমবারের মতো ভর্তির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট চালু করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।   
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে পতাকা হাতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশটির পতাকা হাতে পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সোমবার (৬ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশের শুরুতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাবির বিভিন্ন হল শাখা ও রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই ফিলিস্তিন আর বাংলাদেশের পতাকা হাতে মধুর ক্যানটিনে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর সঙ্গে যোগ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা। পরে মধুর ক্যানটিনের সামনে থেকে শুরু হয়ে পতাকা হাতে পদযাত্রা করে ক্যাম্পাস এলাকা। রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয় এ পদযাত্রা। এ সময় ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগানও দেন অংশগ্রহণকারীরা। সংহতি সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেছেন, যারা গণতন্ত্রের মোড়ল, যারা বাকস্বাধীনতার সার্টিফিকেট দেয়, যারাই বলে দেয় কোন দেশটি গণতান্ত্রিক আর কোন দেশটি অগণতান্ত্রিক, যারা  ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনের কথা বলে- ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়ে গেছে। সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, আমাদের এই ছাত্র আন্দোলন আর দেশীয় গণ্ডির ভেতর সীমাবদ্ধ নেই। সীমান্ত বেরিকেড, ভাষার ব্যবধান সবকিছু মুছে দিয়ে একাকার হয়ে গেছে যুদ্ধ-মুক্ত, ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। আমাদের এই ছাত্র আন্দোলনে সমবেত হয়েছেন নির্যাতিত নিষ্পেষিত ফিলিস্তিনের বন্ধুরাও। আমাদের পূর্বপুরুষরা নিজেদের দেশের মুক্তির জন্য বীরত্বের সঙ্গে যেভাবে লড়াই করেছে ঠিক তেমনি আমরাও ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়াব। এর আগে রোববার (৬ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে একযোগে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।  
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা র‌্যালি করেছেন।  সোমবার (৬ মে) দুপুর ১টার দিকে এ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে শাখা ছাত্রলীগের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।  র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার গোলচত্বরে এসে শেষ হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন নেতাকর্মীরা।  র‌্যালিতে নেতাকর্মীদের ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্ট্যান্ড উইথ প্যালেস্টাইন’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।  র‌্যালি পরবর্তী গোলচত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের এ কর্মসূচি শেষ হয়। সমাবেশে শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মামুন শাহ, ফারহান রুবেল ও যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া। এ সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  সমাবেশে মো. খলিলুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বলেছিলেন- ‘বিশ্ব আজ শোষক ও শোষিত শ্রেণি এই দুইভাগে বিভক্ত। আমরা শোষিত শ্রেণির পক্ষে আছি।’ এই বক্তব্যকে ধারণ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় অত্যাচারিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতেই আমাদের আজকের এই কর্মসূচি। আমরা প্রত্যাশা করি, খুব দ্রুতই ফিলিস্তিনিরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। কারণ মুক্তিকামী মানুষকে কখনও দাবিয়ে রাখা যায় না।