• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জিম্বাবুয়েও পারলো না লিটনকে ফর্মে ফেরাতে!
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল দিল্লি
চলমান আইপিএলে ডু অর ডাই ম্যাচে রাজস্থানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল দিল্লি। প্লে-অফের লড়াই টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প কিছু ছিল না ঋষভ পান্থদের সামনে। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে রাজস্থানকে ২০ রানে হারিয়েছে দিল্লি। এতে প্লে-অফের লড়াই টিকে রইল তারা। মঙ্গলবার (৭মে) আগে ব্যাট করে রাজস্থানকে ২২২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল দিল্লি। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তুলতে পারে রাজস্থান। এতে ২০ রানের জয় পায় দিল্লি। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রাজস্থান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে যশস্বী জয়সওয়ালকে (৪) হারায় তারা। এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি জস বাটলারও। ১৭ বলে ১৯ রান করে ফেরেন এই ইংলিশ ব্যাটার। চতুর্থ উইকেটে রিয়ান পরাগকে সঙ্গে নিয়ে রান ‍তুলতে থাকেন সাঞ্জু স্যামসন। ২২ বলে ২৭ রান করে আউট হন পরাগ। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যান স্যামসন। ৪৬ বলে ৮৬ রান করে মুকেশ কুমারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন রাজস্থান দলপতি। এরপর ১২ বলে ২৫ রান করে শুভাম ডুবে আউট হলে ছন্দ হারায় রাজস্থান। দোনেভান ফেরিরা (১) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন (২) আউট হলেও লড়াই চালাতে থাকেন রাভমান পাওয়েল। তবে ২০তম ওভারে দ্বিতীয় বলে পাওয়েলকে বোল্ড করে দিল্লির জয় নিশ্চিত করেন মুকেশ কুমার। শেষ পর্যন্ত আভেশ খানের ৭ রান এবং ট্রেন্ট বোল্টের রানে ২ ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তুলতে পারে রাজস্থান। এতে ২০ রানের জয় পায় দিল্লি। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে কুলদ্বীপ যাদব, মুকেশ কুমার এবং খালিল আহমেদ শিকার করেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়াও অক্ষর প্যাটেল, রাশিখ সালাম নেন একটি করে উইকেট। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দিল্লিকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় দুই ওপেনার অভিষেক পোরেল এবং জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। দুজনের ব্যাটে ভর করে চার ওভারেই আসে ৬০ রান। ১৯ বলে ফিফটি তুলে নেন ম্যাকগার্ক। পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শাই হোপ। ১ বলে ১ রান করে আউট হন তিনি। তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন পোরেল। ১০ বলে ১৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর ৩৬ বলে ৬৫ রান করে আউট হন এই পোরেল। ইনিংস বড় করতে পারেননি পান্থও। ১৩ বলে ১৫ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর গুলবাদিন নাইবকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ক্রিস্টান স্টাব্বস। শেষ দিকে ১৫ বলে ১৯ রান করে গুলবাদিন আউট এবং ২০ বলে ৪১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে আউট হন স্টাব্বস। শেষ পর্যন্ত রাসিখ সালামের ৩ বলে ৯ রান এবং কুলদ্বীপ যাদবের ২ বলের ৫ রানে ভর করে সাত উইকেট হারিয়ে ২২১ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি।
রাজস্থানের বিপক্ষে দিল্লির বড় পুঁজি
কোহলিকে আটকানোর ছক কষছেন বাবর
সিরিজ নিশ্চিতের পরও শান্তর কণ্ঠে আক্ষেপের সুর
ডু অর ডাই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে দিল্লি
চট্টগ্রামেই সিরিজ নিশ্চিত টাইগারদের
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলে প্রথম তিন ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে টাইগারা। এতে চট্টগ্রাম পর্বেই সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। ‍তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৯ রানে হারিয়েছে শান্ত বাহিনী। মঙ্গলবার (৭ মে) আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়েকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে। এতে ৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এতে দুই ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। শুরুতেই জয়লর্ড গাম্বিকে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ম্যাচের পঞ্চম ওভারে একাদশে সুযোগ পাওয়া তানজিম সাকিবের হাতে বল তুলে নেন শান্ত। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি। ১১ বলে ১০ রান করা বেনেটকে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ক্রেগ আরভিনকে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন। এতে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান তুলতে পারে সফরকারীরা। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সিকান্ডার রাজাও। ৫ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ডান হাতি অলরাউন্ডার। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন মুরামানি। তবে ১২তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ বলে আউট হন তিনি। ২৬ বলে ৩১ রান করেন তিনি। এরপর ক্লাইভ মাদান্দে (১১), জোনাথন ক্যাম্পবেল (২১) ও  লুক জঙ্গুয়ে ২ রানে আউট হলে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ফারাজ আকরাম। ৩১ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হলেও, ১৯ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ফারাজ আকরাম। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি জিম্বাবুয়ের। নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে। এতে ৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন। এ ছাড়াও রিশাদ হোসেন দুটি, তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ এবং তানভীর ইসলাম নেন একটি করে উইকেট। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ১৫ বলে মাত্র ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন কুমার দাস। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অধিনায়ক শান্তও। ৪ বলে ৬ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি।  ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২২ বলে ২১ রান করে আউট হন তিনি। তবে জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। ৩৪  বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। চার বল পরেই ৫৮ রান করে আউট হন তিনি। হৃদয়ের বিদায়ের পর পিচে থাকতে পারেননি জাকেরও। ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৪ বলে ৯ রান এবং রিশাদ হোসেনের ৪ বলের ৬ রানের ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা।  
মজাদার সব নিয়ম নিয়ে পিকের ফুটবল লিগ
ফুটবল খেলতে বা দেখতে পছন্দ করেন না কিংবা ফুটবলের একদমই খবর রাখেন না এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুষ্কর। এখন আপনি হয়তো ভাবছেন এ নিয়ে আবার বলার কি আছে? কারণ ফুটবল সম্পর্কে আমরা সকলেই কম বেশি জানি। হ্যাঁ, আপনি হয়তো ঠিকই বলেছেন। কিন্তু আজ আপনাদের এমন এক ফুটবলের খবর জানাব যা হয়তো আপনি কখনও শুনেননি এবং দেখেনওনি। এবার হয়তো আপনি একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন? ভাবছেন কি সেই ব্যতিক্রমী ফুটবল যা দেখা কিংবা শোনাও হয়নি।   ব্যতিক্রমী এই ফুটবলের আবিষ্কারক বার্সেলোনা ও স্পেনের কিংবদন্তি ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। ২০২২ সালে পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর গত বছর তিনি নিজেই ব্যতিক্রমী এই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন, যার নাম ‘কিংস লিগ’। প্রতিযোগিতাটি এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় স্পেনের সীমানা ছাড়িয়ে যুক্তরাজ্যেও ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন পিকে। এমনকি এ মাসে কিংস লিগের বিশ্বকাপও আয়োজন করতে যাচ্ছেন পিকে।    এ সম্পর্কে বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিকে বলেন, গত বছর এর (কিংস লিগের) প্রথম সংস্করণ ছিল এবং আমরা অসাধারণ সাড়া পেয়েছি। অনেক ম্যাচে লা লিগার চেয়েও বেশি দর্শক ছিল। আমরা এখন সবার জন্য উন্মুক্ত। এ বছর আমরা এটিকে সম্প্রসারণ করেছি। মে মাসে আমরা প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছি। স্পেন ও আমেরিকার দলগুলো বিশ্বকাপে অংশ নেবে।   তবে স্পেন ও আমেরিকা মহাদেশের বাইরে অন্য দেশের দলগুলোকেও ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে খেলার সুযোগ দেবেন পিকে। তিনি বলেন, আমরা অন্য দেশের দলগুলোকেও খেলার সুযোগ করে দেব। বিশেষ করে যে দেশগুলোয় আমরা শিগগিরই লিগটি চালু করতে চাই, যুক্তরাজ্য সেই দেশগুলোর একটি। রিও ফার্ডিনান্ডও একটি দল গঠন করবে। এ ছাড়া আমাদের নেইমার আছে। ব্রাজিলে ওর মালিকানাধীন একটি দল আছে। ইতালিতে ফ্রান্সেসকো টট্টির একটা দল আছে। এডেন হ্যাজার্ড বেলজিয়ামের একটি দলের হয়ে খেলবে। সামনে ইউরো থাকায় আমার পরিকল্পনা হলো, বিশ্বকাপ দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা। ওই সময় অন্য কোনো ফুটবল টুর্নামেন্ট নেই। তাই সবাই এটা দেখতে চাইবে। এবার জেনে নিন ব্যতিক্রমী এই কিংস লিগের মজার কিছু নিয়ম- ১. এ লীগে প্রতি দলে ৭ জন করে খেলোয়াড় থাকবে।  ২. একটি গোল দিলে ২ গোল হিসেবে বিবেচনা করা হবে।  ৩. যত খুশি, তত বদলি খেলোয়াড় খেলানো যাবে। ৪. সর্বোপরি চাইলে যে কেউ মুখোশ পরে বা সং সেজে মাঠে খেলতে পারবেন।   কিংস লিগের মজার এসব নিয়মের পাশাপাশি মাঠের খেলায়ও থাকছে নানা বৈচিত্র। সাবেক ফুটবলার, সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ইন্টারনেট সেলিব্রিটিদের নিয়ে দল গঠন করা এই লীগে অংশগ্রহণ করবে ১২টি দল। প্রতিটি দল সবার সঙ্গে একবার করে মোট ১১টি ম্যাচ খেলে। সব ম্যাচই হয় রোববার এবং সেটিও হয় বার্সেলোনার একটি ভেন্যুতেই। দলগুলো তাদের স্কোয়াডে সর্বোচ্চ ১২ জন খেলোয়াড় রাখতে পারে। স্কোয়াডের ১২ ফুটবলারের মধ্যে ১০ জনকে বেছে নেওয়া হয় ড্রাফট থেকে। আর বাকি ২ জন অতিথি খেলোয়াড় বেছে নেন দলের সভাপতি। দুই অর্ধে ২০ মিনিট করে ৪০ মিনিটের ম্যাচগুলোতে নির্ধারিত সময় শেষে দুই দল সমতায় থাকলে টাইব্রেকারে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনিও, মেক্সিকোর সাবেক স্ট্রাইকার হাভিয়ের হার্নান্দেজ, স্পেনের তারকা গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াস এবং আর্জেন্টিনার সাবেক দুই সার্জিও আগুয়েরো ও হাভিয়ের সাভিওলা টুর্নামেন্টের বড় নাম। এছাড়া গত বছর এনিগমা ছদ্মনামে মুখোশ পরে খেলতে নামা কাদিজের সাবেক ফরোয়ার্ড নানো মেসাও রয়েছেন আলোচনায়। পিকের মতে, কিংস লিগ শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেই চলবে না, প্রদর্শনীর মতোও হতে হবে। এ কারণেই অদ্ভূত সব নিয়ম চালু করা হয়েছে। টুর্নামেন্টের নিয়মগুলো কীভাবে করা হয়, সেটাও জানিয়েছেন পিকে। তিনি বলেন, কখনও কখনও টুইটারে (এক্সে) মানুষ ভোট দেয়। যেমন ধরুন, বর্তমানে মাঠের কৃত্রিম ঘাসের রং কালো, দলের সভাপতিরাও ম্যাচে পেনাল্টি নিতে পারেন—এই নিয়মগুলো ভোটের মাধ্যমে পাস হয়েছে। আসলে আমরা নিয়মের পরিবর্তনই চেয়েছিলাম। কারণ, আমরা এমন মজাদার ও প্রতিযোগিতামূলক কিছু চেয়েছিলাম যার মাধ্যমে এটিকে প্রদর্শনী ম্যাচ মনে হবে। ফুটবল হলো সব খেলার রাজা। তবে আমরা এখানে ভিন্নধর্মী উপাদান যোগ করতে চেয়েছিলাম। নিয়মে এত বদল আনার পর সেটা কি আর ফুটবল থাকল? জাবাবে পিকে বলেন, আপনি যদি মনে করেন এটা ফুটবল, তাহলে তা–ই। আর যদি মনে করেন, এটা ফুটবল নয়, তাহলে সেটাও ঠিক। এটা ফুটবল, আবার ফুটবল নয়।  
দুই পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টস জিতেছিলেন। তবে এবার সিরিজ জয়ের মিশনে টস ভাগ্য সহায় হয়নি লাল-সবুজের দলপতির।  টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এতে নিজেদের সামর্থ্য যাচাইয়ের সুযোগও পাচ্ছেন টাইগার ব্যাটাররা। সিরিজ জয়ের মিশনে একাদশে জোড়া পরিবর্তন এনেছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানের পরিবর্তে বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম এবং শরীফুল ইসলামের জায়গায় পেসার তানজিম হাসান সাকিব খেলবেন। অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে সফরকারীদের একাদশেও দুটি পরিবর্তন এসেছে। একাদশে জায়গা পেয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ফারাজ করিম। বাদ পড়েছেন এনগারাভা ও এনদোলভু। বাংলাদেশ একাদশ : নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী (উইকেটকিপার), তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ে একাদশ : জয়লর্ড গাম্বি (উইকেটকিপার), ক্রেগ আরভিন, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুয়ে, ফারাজ আকরাম, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।  
দুই ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত বাংলাদেশের
সংক্ষিপ্ত স্কোর   বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৬৫/৫ জিম্বাবুয়ে : ২০ ওভারে ১৫৬/৯     ৯ রানের জয় বাংলাদেশের ১৮: ৪২, মে ৭ শেষ পর্যন্ত ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হলেও, ১৯ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ফারাজ আকরাম। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি জিম্বাবুয়ের।  নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে। এতে ৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।   ফারাজ আকরামের লড়াই ১৮: ২১, মে ৭ শেষ দিকে লুক জঙ্গুয়ে ২ রানে আউট হলে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ফারাজ আকরাম।   তানভীরের প্রথম শিকার ১৮: ০৩, মে ৭ মাদান্দের বিদায়ের পর ব্যাট চালাতে থাকেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। তানভীরের বলে টানা দুই ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে পরে বলে বাউন্ডারি লাইনে কাঁটা পড়েন তিনি। ১০ বলে ২১ রান করেন তিনি।     মারুমানিকে ফেরালেন মাহমুদউল্লাহ ১৭: ৫৩, মে ৭ দলের উইকেটে মিছিলের দিনে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তোলার চেষ্টা করেন মারুমানি। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২৬ বলে ৩১ রান করে মাহমুদউল্লাহর বলে আউট হন।    রাজাকে ফিরিয়ে রিশাদের উল্লাস ১৭: ৪০, মে ৭ টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থতার পর তৃতীয় ম্যাচে দলকে জেতানো লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন সিকান্ডার রাজা। তবে ব্যাটিংয়ে থিতু হওয়ার আগেই জিম্বাবুয়ের অধিনায়ককে সাজঘরে ফেরান রিশাদ। ৫ বলে ১ রান করেন তিনি।     পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের ১৭: ২৯, মে ৭ পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ক্রেগ আরভিনকে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন। এতে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান তুলতে পারে সফরকারীরা।   সাইফউদ্দিনের পর সাকিবের আঘাত ১৭: ১৭, মে ৭ ম্যাচের পঞ্চম ওভারে একাদশে সুযোগ পাওয়া তানজিম সাকিবের হাতে বল তুলে নেন শান্ত। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি। ১১ বলে ১০ রান করা বেনেটকে সাজঘরে ফেরেন তিনি।   সাইফউদ্দিনের প্রথম আঘাত ১৭: ১০, মে ৭ চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে জয়লর্ড গাম্বিকে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।   ১৬৫ রানের পুঁজি টাইগারদের ১৬: ৪০, মে ৭ শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৪ বলে ৯ রান এবং রিশাদ হোসেনের ৪ বলের ৬ রানের ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা।   হৃদয়ের পর জাকেরের বিদায় ১৬: ৩৩, মে ৭ নিজের ফিফটি পূরণের পর বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি হৃদয়। ৩৮ বলে ৫৭ রান করে মুজারাবানির বলে বোল্ড আউট হন তিনি। এক বল পরেই জাকের কেউ একই ভাবে সাজঘরে ফেরান এই ডান হাতি পেসার। ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন জাকের।   হৃদয়ের ফিফটি ১৬: ২২, মে ৭ দুর্দান্তভাবে ব্যাট করে ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন তাওহীদ হৃদয়। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকের আলী।   হৃদয় ও জাকেরের ছক্কা ১৬: ০৬, মে ৭ তানজিদ তামিমের বিদায়ের পর কমে ছিল রানের গতি; তবে গতি বাড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। রাজার শেষ ওভারে একটি করে ছক্কা মেরেছেন হৃদয় ও জাকের।   ৬০ বলে ৬৩ রান ১৫: ৫৬, মে ৭ পরিস্থিতি পাল্টালেও পাল্টায় না বাংলাদেশের ব্যাটিং গতিবিধি।  সিরিজে প্রথম ম্যাচে প্রথম ১০ ওভারে ৬৭/২ দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম ১০ ওভারে ৬২/৩ এবার তৃতীয় ম্যাচে ১ রান বেশি তুলতে পেরেছে লাল-সবুজেরা।  ১০ ওভারে ৬৩/৩   অধৈর্য হয়ে উইকেট বিলিয়ে দিলেন তানজিদ ১৫: ৪৮, মে ৭ রানের গতি বাড়াতে গিয়ে বেশ অধৈর্য হয়ে উঠেছিলেন তানজিদ! ইনিংসের নবম ওভারে ফারাজ আকরামের শেষ ডেভিভারিতে ক্রিজ ছেড়ে এসে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন তানজিদ। তবে কাঙ্ক্ষিত ওভার বাউন্ডারি আসেনি। উল্টো ডিপ-মিড উইকেটে ধরা পড়েছেন এই ওপেনার।  ক্লাইভ মাদান্দের তালুবন্দি হয়ে ২২ বলে ২১ রানেই থামলো তার ইনিংস। এতে হৃদয়ের সঙ্গে তার ৩১ রানের জুটিও ভাঙল। ৯ ওভারে ৬০/৩   পাওয়ার প্লেতে ৪২/২ ১৫: ৩৫, মে ৭ ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে আক্রমণে এসেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার মাসাকাদজা। তার ওভারের চতুর্থ বলটি খানিকটা পেছনের লেংথে পেয়ে কাউ কর্নার দিয়ে ওভার বাউন্ডারি বানালেন ওপেনার তানজিদ। এটিই ইনিংসের প্রথম ছক্কা ১৪ বলে ১৫ রানে তানজিদ এবং ৩ বলে ৪ রানে অপরাজিত হৃদয়। ৬ ওভারে ৪২/২   শান্তও ব্যর্থ ১৫: ১৮, মে ৭ আগের ওভারেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছিলেন লিটন। এবার সতীর্থের পথই অনুসরণ করলেন টাইগার দলপতি শান্ত। এক বাউন্ডারিতে ৬ রানেই থামলো শান্তর চট্টগ্রাম অধ্যায়। তাকে ফিরিয়েছেন সফরকারীদের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।   ফের ব্যর্থ লিটন ১৫: ১৮, মে ৭ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থতার বৃত্তেই কাটা পড়েছিলেন লিটন। তবে তার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সহকারী কোচ নিক পোথাসও তাকে ঘিরে আশার কথা শুনিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে মিরপুর; সব জায়গাতেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উইকেটকিপার এই ব্যাটার। এবার তৃতীয় ম্যাচেও ভাগ্য সহায় হলো না এই ওপেনারের। মন্থরগতির এক ইনিংসে ব্যক্তিগত ১২ রানে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। তাকে ফিরিয়েছেন মুজারাবানি। ৩ দশমিক ৪ ওভারে ২২/১   মুজারাবানিরও ভালো শুরু ১৫: ১৩, মে ৭ আগের ওভারে দুই বাউন্ডারিতে বাংলাদেশ ১০ রান তুলে নিলেও পরের ওভারেই টাইগার দুই ওপেনারকে চাপে ফেলেছেন জিম্বাবুয়ে পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি। এই ওভারে মাত্র দুই রান দিয়েছেন তিনি। ২ ওভারে ১২/০   ভালো শুরু ১৫: ০৬, মে ৭ বাউন্ডারি হাঁকিয়েই ইনিংসের গোড়াপত্তন করেছেন ওপেনার লিটন দাস। একই ওভারে বাউন্ডারির দেখা পেয়েছেন আরেক ওপেনার তামিমও। তবে ওভারের শেষ দিকে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। তবে লং অনে থাকা সিকান্দার রাজা সময়মতো বল লুফে না নিতে পারায় বেঁচে গেছে বাংলাদেশ। ১ ওভারে ১০/০   পরিষ্কার আকাশ ১৪: ৪৯, মে ৭ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছিল। তবে আজ বেশ পরিষ্কার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আকাশ। চট্টগ্রামে রৌদ্রও রয়েছে। তাই এমন আমেজে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পারেন টাইগার ব্যাটাররা।   একাদশ  ১৪: ৩৬, মে ৭ সিরিজ জয়ের মিশনে একাদশে জোড়া পরিবর্তন এনেছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানের পরিবর্তে বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম এবং শরীফুল ইসলামের জায়গায় পেসার তানজিম হাসান সাকিব খেলবেন। অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে সফরকারীদের একাদশেও দুটি পরিবর্তন এসেছে। একাদশে জায়গা পেয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ফারাজ করিম। বাদ পড়েছেন এনগারাভা ও এনদোলভু। বাংলাদেশ একাদশ : নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী (উইকেটকিপার), তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ে একাদশ : জয়লর্ড গাম্বি (উইকেটকিপার), ক্রেগ আরভিন, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুয়ে, ফারাজ আকরাম, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।     টস ১৪:৩১, মে ৭ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টস জিতেছিলেন। তবে এবার সিরিজ জয়ের মিশনে টস ভাগ্য সহায় হয়নি লাল-সবুজের দলপতির।  টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এতে নিজেদের সামর্থ্য যাচাইয়ের সুযোগও পাচ্ছেন টাইগার ব্যাটাররা।   স্বাগতম ১৪:২৭, মে ৭ সবাইকে স্বাগতম আরটিভির লাইভ স্কোর আপডেটে। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টিতে কিছুক্ষণ পর মাঠে নামবে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ৩টায়।  
ইতিহাস গড়ে নারীদের বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড
ইতিহাস গড়ে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করেছে নিয়েছে স্কটল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করল তারা। বাছাইপর্বের ফাইনালে ওঠায় তাদের বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত হয়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় স্কটল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১১০ রান তোলে আইরিশ নারীরা। জবাবে মেগান ম্যাককলের অর্ধশতে ২২ বল হাতে রেখে জয় তুলে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের টিকেট কাটে স্কটিশ নারীরা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের দুটি ভেন্যুতে (মিরপুর ও সিলেট) বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের নবম আসর বসবে। দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট ১০টি দল অংশ নেবে। এর মধ্যে আটটি দল চূড়ান্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাছাইপর্ব উতরে স্কটল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে জায়গা করে নিয়েছে। ‘এ’ গ্রুপে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত ও বাছাইপর্বের একটি দল খেলবে। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাছাইপর্বে উতরে আসা আরেকটি দল অংশ নেবে। গ্রুপ পর্ব, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে মোট ২৩টি ম্যাচ মাঠে গড়াবে। মিরপুর হোম অব ক্রিকেট এবং সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২’তে বিশ্বকাপের মূল ম্যাচগুলো হবে। আর বিকেএসপিতে হবে প্রস্তুতি ম্যাচ।  
জমজমাট আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের লড়াই
প্রায় শেষের দিকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। তবে ৫৫ ম্যাচ শেষেও কোনো দলেরই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়নি। আবার কাগজে-কলমের হিসেবে এখনও কেউই আসর থেকে ছিটকে যায়নি। আইপিএলের অর্ধেক ম্যাচ শেষে টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে পরাজয়ের স্বাদ দিয়ে রাজত্ব ছিনিয়ে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। সবমিলিয়ে জমজমাট আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের লড়াই। প্লে-অফে উঠতে ১০ দলের সামনে এখন আলাদা আলাদা সমীকরণ। কলকাতা নাইট রাইডার্স : ১১ ম্যাচে ৮ জয়ে টেবিলের রাজত্ব করছে দু'বারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআর। বাকি তিন ম্যাচে মুম্বাই, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। এর মধ্যে যেকোনো এক ম্যাচে জয় পেলেই ১৮ পয়েন্ট হবে তাদের। আর নেট রানরেটে (১ দশমিক ৪৫৩) এগিয়ে থাকায় তাদের সামনে প্লে-অফের সহজ সমীকরণ। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এক ম্যাচে জয় পেলেই শেষ চারে উঠে যাবে শাহরুখ খানের কলকাতা। তবে শুধু প্লে-অফই না, সেরা দুইয়ে থাকার সুযোগও আছে তাদের। এর জন্য অনন্ত দুটি ম্যাচে জিততেই হবে শ্রেয়াস আইয়ারদের। সেই সঙ্গে হায়দরাবাদের একটি ম্যাচে হারের প্রত্যাশাও করতে হবে কলকাতা শিবিরকে। আর তিন ম্যাচে জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ২২। সেক্ষেত্রে আর কোনো সমীকরণই মেলাতে হবে না। রাজস্থান রয়্যালস : কলকাতা থেকে এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্টে নেট রানরেটে (০ দশমিক ৬২২) পিছিয়ে টেবিলের দুইয়ে রাজস্থান। নিজেদের পরের ম্যাচে দিল্লি, চেন্নাই, পাঞ্জাব ও কলকাতার বিপক্ষে খেলবে তারা। কেকেআরের মতো যেকোনো একটি ম্যাচে জয় পেলেই ১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত তাদের। আর ৪ ম্যাচের মধ্যে যেকোনো তিনটিতে জিতলেই সেরা দুইয়ে থেকে রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করবে সাঞ্জু স্যামসনরা। এক্ষেত্রে কলকাতা ছাড়া আর কোনো দলের সামনেই তাদেরকে ধরার সুযোগ নেই। চেন্নাই সুপার কিংস : ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ তিন ম্যাচে গুজরাট, রাজস্থান ও ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। সেই তিন ম্যাচে জয় পেলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৮। লখনৌ এবং হায়দরাবাদেরও সুযোগ আছে মোস্তাফিজের চেন্নাইকে পেছনে ফেলার। তাই লখনৌ কিংবা হায়দরাবাদ, যাতে একটি ম্যাচে হারে; সেই প্রত্যাশাই করতে হবে চারবারের চ্যাম্পিয়নদের। এর মধ্যে লখনৌ ও হায়দরাবাদের মধ্যে একটি ম্যাচ বাকি থাকায় কিছুটা স্বস্তি চেন্নাই শিবিরে। তাই চেন্নাইয়ের সামনে প্লে-অফের দৌড়ে সহজ সমীকরণ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ : ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে হায়দরাবাদ। সোমবার (৬ মে) নিজেদের সবশেষ ম্যাচে মুম্বাইয়ের সঙ্গে হেরে প্লে-অফের দৌড়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। শেষ তিন ম্যাচে লখনৌ, গুজরাট ও পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলতে হবে তাদের। এর মধ্যে লখনৌর বিপক্ষে ম্যাচটি হবে বাঁচামরার লড়াই। এই ম্যাচে হারলেই প্লে-অফের দৌড়ে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে তাদের। আর গ্রুপ পর্বে চেন্নাই কোনো ম্যাচে হারলে, সেটিও হায়দরাবাদের জন্য সুসংবাদ বয়ে নিয়ে আসবে। তাই নিজেদের জয়ের পাশাপাশি চেন্নাই ও লখনৌয়ের পরাজয়ের প্রত্যাশাও করবে তারা। লখনৌ সুপার জায়ান্টস : সমান ম্যাচে হায়দরাবাদের সমান পয়েন্ট থাকলেও নেট রানরেটে (-০.৩৭১) পিছিয়ে টেবিলের পাঁচে লখনৌ। নিজেদের বাকি তিন ম্যাচে হায়দরাবাদ, দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মোকাবিলা করবে তারা। তবে এই তিন ম্যাচে জয় পেলেও প্লে-অফ নিশ্চিত না তাদের। জয়ের পাশাপাশি নেট রানরেটের সমীকরণও মেলাতে হবে। সেই সঙ্গে চেন্নাই ও হায়দরাবাদের পরাজয়ের প্রত্যাশাও করতে হবে। দিল্লি ক্যাপিটালস : ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে দিল্লি। তবে এখনও প্লে-অফের স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছে ঋষভ পান্থের দল। নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে রাজস্থান, ব্যাঙ্গালুরু ও লখনৌয়ের মুখোমুখি হবে তারা। প্লে-অফের সমীকরণে টিকে থাকতে এই তিন ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। সেই সঙ্গে নেট রানরেটের হিসেব তো থাকছেই। পাশাপাশি চেন্নাই ও লখনৌয়ের হারের প্রত্যাশাও করতে হবে। তাহলেই প্লে-অফে উঠতে পারবে তারা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু : প্লে-অফের দৌড়ে নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্যদের হারের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে বিরাট কোহলিদের। শেষ তিন ম্যাচে পাঞ্জাব, দিল্লি ও চেন্নাইকে হারালে ১৪ পয়েন্ট হবে তাদের। আর প্রত্যাশা করতে হবে চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও লখনৌ যাতে একটির বেশি ম্যাচে জয় না পায়। তাহলেই শেষ চারে উঠার পথ সম্মুখ হবে তাদের। পাঞ্জাব কিংস : ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে থাকা পাঞ্জাব নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরু, রাজস্থান ও হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে। এই তিন ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি চেন্নাই, হায়দরাবাদ, লখনৌ এবং দিল্লির হারের প্রত্যাশাও করতে হবে তাদের। আর নেট রানরেটের জটিল সমীকরণ মেলাতে পারলেই প্লে-অফের স্বপ্ন জিইয়ে থাকবে পাঞ্জাবের। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস : টানা ৪ ম্যাচে হারের বৃত্তে থাকা মুম্বাই নিজেদের সবশেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে। এই জয়ে টেবিলের ৯-এ উঠে এসেছে তারা। তবে প্লে-অফে স্বপ্নটা বেশ কঠিনই বটে। কেননা, বাকি দুই ম্যাচে ম্যাচ কলকাতা ও লখনৌয়ের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে তাদের। নিজেদের দুই ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও লখনৌর সব ম্যাচে হারের প্রত্যাশা করতে হবে তাদের। একই সঙ্গে দিল্লির এক ম্যাচে জয়ের প্রত্যাশাও করতে হবে। গুজরাট টাইটান্স : পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে গুজরাট। নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে চেন্নাই, কলকাতা ও হায়দরাবাদের মোকাবিলা করবে তারা। কাগজে-কলমের হিসেবে প্লে-অফের আশা থাকলেও নানান জটিল সমীকরণ মেলাতে হবে বর্তমান রানার্স-আপদের। নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্যদের হারের প্রত্যাশাও করতে হবে। আর এক ম্যাচে হারলেই শেষ হয়ে যাবে প্লে-অফ স্বপ্ন।
সিরিজ জয়ের মিশনে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টিতে মঙ্গলবার (৭ মে) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে দাপট দেখানো টাইগারদের সামনে আজ সিরিজ জয়ের হাতছানি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুপুর ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ঘরের মাঠে এই সিরিজকে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে বাংলাদেশ। তবে লাল-সবুজের টিম ম্যানেজমেন্টকে এখনও কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে দেখা যায়নি। এমনকি টস জয়ের পর ব্যাটিং করার ঝুঁকিও নেয়নি শান্তর দল। মূলত বোলারদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে ভর করেই দুই ম্যাচে দাপটে জয় নিয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে টাইগাররা। এই ম্যাচেও জয়ের ছন্দ ধরে রেখে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করতে চায় শান্তর দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৭ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত এক উপহার দেন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। এই ওপেনারের তিনবার জীবন পাওয়ার দিনে ২৮ বল হাতে রেখেই জয় পায় টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থতার বৃত্তে আবদ্ধ ছিল টাইগারদের টপ-অর্ডার। মিডল-অর্ডারে তাওহীদ হৃদয় এবং অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ’র দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে লাল-সবুজেরা। সিরিজ জয়ের মিশনে বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোচ নিক পোথাসও এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে ব্যাট হাতে লিটন-শান্তরা কেমন করেন, টস জিতলে আজ সেটাও পরখ করে দেখতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট। এদিকে এই ম্যাচে জয়ের ছন্দে ফিরতে মরিয়া জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশকে হারিয়ে কমাতে চায় হার ব্যবধান। পেছনের ভুল-ত্রুটি শুধরে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দল ভালো করবে বলে আশাবাদী জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। অন্যদিকে আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, বৃষ্টিতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।