২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের কারণে দেশে জীবন যাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা ছাড়াও বাড়বে শিল্প ও কৃষি খাতসহ বিভিন্ন খাতের উৎপাদন ব্যয়।
বললেন সেন্টার ফর পলিসিডি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিপিডির কার্যালয়ে বাজেট ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা জানান।
এর আগে বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যারা বেআইনিভাবে টাকা ইনকাম করেছে তাদেরকে ধরার জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি এ বাজেটে। রেমিটেন্স আয় বিগত বছরগুলোর মতো ভালো থাকবে অর্থমন্ত্রীর এমন ভাবনা ভুল হতে পারে কারণ রেমিটেন্স আয় কমতে শুরু করেছে। সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় অনুযোগ এবং আমরা বার বার বলেছি যে প্রবৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু একমাত্র বিষয় নয়। অনুমানের ভেতরে অবশ্যই আমাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি আনতে হবে। উচ্চ প্রবৃদ্ধি থাকা সত্ত্বেও কর্মসংস্থানে আশানুরূপ পরিস্থিতি কম।
তিনি বলেন, বাজেটের আর্থিক কাঠামো শক্তিশালী করতে হবে। বাজেটের সঙ্গে প্রায়ই এমন সব প্রাক্কলন করা হয় যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল থাকে না। মোট সরকারি ব্যয় মোট ২৬ শতাংশ বাড়বে। সরকারের ব্যয় চার ভাগের এক ভাগ বেড়ে যাবে আগামী এক বছরে। অথচ গত চার-পাঁচ বছরের হিসেব নিলে দেখা যাবে এই খাতে ১৪-১৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়নি। এই বৃদ্ধির বাস্তবায়ন পরিকল্পনাও বাজেটে সুনির্দিষ্টভাবে দেখতে পারিনি। বড় ধরনের খরচের প্রাক্কলন করলেন কিন্তু বিষয়টি হলো সেটি বাস্তবসম্মত, সুষ্ঠু কর্ম পরিকল্পনা এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থার সঙ্গে করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বলা হচ্ছে করের পরিমাণ বাড়বে ৩৪ শতাংশ। এক বছরে তিন ভাগের এক ভাগ করের পরিমাণ বৃদ্ধি করা কঠিন ব্যাপার।
তিনি বলেন, বৈদেশিক সাহায্যকে ৯৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এক বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যাবে বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার। সাড়ে সাত বিলিয়নকে ব্যবহার করা হবে। যেখানে আমরা দুই-তিন বিলিয়নকে ব্যবহার করতে পারি না। ভৌত কাঠামোতে যে পরিমাণ অর্থায়ন হয়েছে, সামাজিক অবকাঠামোতে সে পরিমাণ অর্থায়ন হয়নি।
এদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জাতীয় রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এবার বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৪লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। যা গেলোবারের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা। কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। অনুন্নয়নসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। ঘাটতি দেখানো হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
- দুপুরে ৪৬তম বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী
- যে সব খাতে ভ্যাট প্রত্যাহার হতে পারে
- ৪৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করলেন যারা
- কি থাকছে মুহিতের ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি বাজেটে!
- ইতিহাসের সবচে’ বড় বাজেট (ভিডিও)
- মুহিতের টানা নবম বাজেট
- বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী
- করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখই থাকছে
- বরাদ্দ বাড়ছে পরিবহন, বিদ্যুৎ ও শিক্ষায়
- ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণ ২৮ হাজার কোটি টাকা
- মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন দুটি উৎসব ভাতা
- বরাদ্দ বেড়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে
- যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে
- ভ্যাট বাড়ছে বিমান ভ্রমণে
- যেসব পণ্য ও সেবার দাম বাড়তে পারে
- এডিপি আকার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা
- ব্যাংকে লাখ টাকার বেশি থাকলে গুণতে হবে ৮০০ টাকা
- বাজেট প্রস্তাবে কৃষি খাতে বরাদ্দ কমেছে ৭৬ কোটি টাকা
- ‘কর বাহাদুর পরিবার’ স্বীকৃতি
- প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা
- প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে সুখবর নেই
এমসি/সি