পদত্যাগ করলেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার (১৯ আগস্ট) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
পদত্যাগপত্রে মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমি মো. আজিজুর রহমান চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) পদ হতে অদ্য ১৯ আগস্ট স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম।
অতএব, মহোদয় সমীপে বিনীত আর্জি আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে আপনার সদয় মর্জি হয়।’
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ পদধারীদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে।
মন্তব্য করুন
স্পিকার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
জাতীয় সংসদের স্পিকার পদ থেকে শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে বঙ্গভবন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন চৌধুরী টানা তিন মেয়াদে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার একদিন পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। তবে সংবিধানের বিধান মতে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রেক্ষাপটে বিগত শেখ হাসিনার সরকার বিলুপ্ত হলেও স্পিকার পদ বহাল ছিল।
অবশেষে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের ২৭ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার স্পিকার নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। তাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হলে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল স্পিকার নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন। এরপর থেকে টানা তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।
গত ৭ জানুয়ারি বিএনপিবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবার স্পিকার নির্বাচিত করা হয়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রংপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন (৩৮) নিহত হওয়ার গত ২৭ আগস্ট শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়।
এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ
চলতি মাসের (সেপ্টেম্বর) জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিইআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন এই দাম আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে, গত মাসে (আগস্ট) ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে পাঁচ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। বিপরীতে বেড়েছিল ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।
সই করতেও পারেননি হাজী সেলিম, কাঠগড়ায় কাঁদলেন
রাজধানীর আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ সময় আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাবেক এই সংসদ সদস্য।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান শুনানির পর তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, এদিন কাঠগড়ায় তোলার পর হাউমাউ করে কাঁদেন হাজী মোহাম্মদ সেলিম। হলফনামায় সই নিতে চাইলে তিনি সেখানে সই করতেও পারেননি। পরে তার টিপসই নিয়ে আদালতে তার পক্ষে হলফনামা দাখিল করেন আইনজীবী প্রাণ গোপাল নাথ।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বংশাল থানা এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর বংশাল থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সাইফুল্লাহ হত্যার অভিযোগে লালবাগ থানার মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়।
গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়।
চার ঘণ্টার মধ্যে যেভাবে মুক্তি পেলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু
গ্রেপ্তারের চার ঘণ্টার মধ্যে জিম্মা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মো. সালেহ উদ্দিনের জিম্মায় জামিন হয় তার।
জিম্মানামায় বলা হয়েছে, ‘আনোয়ার হোসেন মঞ্জু শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ এবং বয়োবৃদ্ধ বিধায় তাকে আদালত ও তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ভবিষ্যতে তলব করামাত্র নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির করতে বাধ্য থাকবো। মামলার পরবর্তী নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আদালতে হাজির করবো। অন্যথায় বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইন আমলে আসবো।’
এর আগে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। প্রায় চার ঘণ্টা পর তাকে পৌঁছে দেওয়া হয় কারওয়ান বাজারে দৈনিক ইত্তেফাক কার্যালয়ে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ডিবিতে তাকে কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (উত্তর) রবিউল হোসেন ভুঁইয়া বলেছিলেন, ‘ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে।’
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী। এর পূর্বে তিনি আরও দুবার দুটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (যোগাযোগ মন্ত্রী ও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মন্ত্রী) ছিলেন। তিনি পিরোজপুর জেলার কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও জিয়ানগর উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুর-২ আসন থেকে ৭ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক ছিলেন মঞ্জু। তার বাবা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা।
জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের কথা ভাবা হচ্ছে না: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের কথা ভাবা হচ্ছে না। বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে যোগ দেওয়ার পূর্বে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলা গর্হিত কাজ, ধর্মীয় উপাসনালয়ে যারা হামলা চালায় তারা মানবতার শত্রু, ক্রিমিনাল। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা হবে। এ ছাড়াও দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় স্থানীয় সাধারণ জনগণের পাশাপাশি মাদরাসার ছাত্রদের পূজার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে মন্দির পাহারা দেওয়া হবে। যেন কোনো ধরনের হামলা বা নাশকতা না হয়। মাদরাসার ছাত্ররা কোনো ধরনের জঙ্গিবাদের সঙ্গে ছিলও না। এটা পূর্বের সরকারের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপর হিন্দু মহাসভার হামলার আশঙ্কার খবরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। আমাদের ক্রিকেট দলের ওপর ভারতে হামলার খবর শুনছি। যেহেতু বিসিবি আছে, তারা এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করবে।
তিনি আরও বলেন, পট পরিবর্তনের পর কিছু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে যেমন হামলা হয়েছে, তেমনি মুসলমানদের বাড়িতেও হয়েছে। এটাকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। এ সরকার সবার সরকার, সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর।
কেন হিন্দু কর্মকর্তাদের নামের তালিকা, জানাল পাট মন্ত্রণালয়
শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমীতে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। তবে প্রথম চিঠিতে কোথাও শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমীর বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এই ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উক্ত পত্রে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সূত্র উল্লেখপূর্বক রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পত্রের সংযুক্তি হিসেবে প্রেরণ করা হলেও পত্রের বিবরণে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। ফলে পত্রটির বিষয়ে বেশ বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে পাঠানো পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/সংস্থায় প্রেরিত পত্রে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের বিষয়টি উল্লেখ না করার কারণে সৃষ্ট বিভ্রান্তির জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যেই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
প্রসঙ্গত, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে গত ২৭ আগস্ট জারি করা চিঠি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কী কারণে এ তালিকা চাওয়া হয়েছে, এর উদ্দেশ্য নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আবার সংশোধনী দিয়ে চিঠি ইস্যু করে এই মন্ত্রণালয়।
ইতালির ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সুখবর
ভিসা প্রত্যাশীদের হয়রানি ও ভোগান্তি লাঘব এবং ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে টাস্কফোর্স গঠনের কথা জানিয়েছে ইতালি দূতাবাস।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত ইতালির দূতাবাস।
এতে ইতালি দূতাবাস জানিয়েছে, ভিসা প্রত্যাশীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আবেদনকারীদের কয়েকজন প্রতিনিধিকে নিয়ে দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন বৈঠক করে। বৈঠকে ইতালিতে কাজের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে বিদ্যমান বিলম্বের জন্য আইনি, প্রযুক্তিগত এবং লজিস্টিক বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয় দূতাবাস। বৈঠকে প্রক্রিয়াকৃত আবেদনের আউটপুট বাড়ানোর জন্য দূতাবাস অঙ্গীকারের আশ্বাস দিয়েছে এবং একটি ডেডিকেটেড টাস্কফোর্স গঠনসহ রোমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে গ্রহণ করা কিছু উদ্যোগ উপস্থাপন করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানিয়েছে, ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে ভিএফএস গ্লোবালের কিংবা তাদের কর্মচারী কারও সম্পৃক্ততা নেই। ঢাকা এবং বিশ্বের অন্যান্য স্থানে ভিএফএস গ্লোবাল ভিসা অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান বা তার সময় সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্তে অংশ না নিয়ে এবং ভিসার আবেদনপত্র ফাইল করার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সময়সূচিতে অংশ না নিয়ে ইতালির দূতাবাসের পক্ষে এবং কঠোর নির্দেশের অধীনে কাজ করে। ভিএফএস গ্লোবাল বা এর কর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা ছাড়াই আবেদনকারীদের জমা দেওয়া তথ্যের ওপর যথাযথ চেক এবং নিয়ন্ত্রণের পর দূতাবাস দ্বারা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়। ভিসা ইস্যু করা রাষ্ট্রের একচেটিয়া ক্ষমতার আওতায় পড়ে।
এতে আরও বলা হয়েছে, অতএব, বাংলাদেশি নাগরিকদের ইতালীয় কাজের ভিসা মুক্তি বা অস্বীকার সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত, সেইসঙ্গে তাদের সময়, পদ্ধতি, নিয়ন্ত্রণ এবং সময়সীমা, ইতালির আইন দ্বারা একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। দূতাবাসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং আপিল প্রযোজ্য ইতালির আইন ও প্রবিধান অনুসারে ইতালিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা যেতে পারে।
এর আগে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে সোমবার সকালে বাংলাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।