কোনও রোহিঙ্গা ভোটার হতে পারেনি : এনআইডি ডিজি
এনআইডি ডিজি জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে আসা ১১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের ছাপ) ও তথ্য নিয়ে রোহিঙ্গা সার্ভার প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন কেউ চাইলে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না। বিভিন্ন মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকের ভোটার হওয়ার বা এনআইডি পাওয়ার যে তথ্য এসেছে, সেগুলো সঠিক নয়।
আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সাইদুল ইসলাম বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় বিশেষ কার্যক্রম শেষ করে তথ্য আপলোড করা হয় সার্ভারে। এরপর ফিঙ্গার প্রিন্ট ম্যাচিং করে যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য, কেবল তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, ১১ লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক আমাদের কাছে আছে। রোহিঙ্গা সার্ভার আমার প্রস্তুত করেছি। এখন যাদের তথ্য নেয়া হচ্ছে, তাদের আঙুলের ছাপ ও তথ্য প্রথমেই রোহিঙ্গা সার্ভারে ম্যাচ করে দেখা হচ্ছে। কারো তথ্য এ সার্ভারে ম্যাচ করলে মূল সার্ভারে আর যাওয়াই হবে না। এছাড়া খসড়া প্রকাশের আগে আমরা ম্যাচিং করবো। কাজেই তারা ভোটার হতে পারবে না।
৪৬ জনের ভোটার হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা অপচেষ্টা। এখনো ভোটার হতে পারেনি। চেষ্টা করছে। কিন্তু সফল হতে পারবে না। ৪৬ জনের কেউ এনআইডি পায়নি। বিদেশি বা রোহিঙ্গা যাতে ভোটার না হতে পারে, সেজন্য বদ্ধপরিকর। যে স্ট্যাটাসের হোক, যে সংগঠনের হোক অপচেষ্টাকারীর বিরুদ্ধে আমার আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, লাকী বেগম নামের একজন স্মার্টকার্ড আনতে গেলে, মূল সার্ভার থেকে ধরা পড়ে তার এনআইডি সঠিক নয়। বৈধ এনআইডি দেয়া হয়নি তাকে। তাকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। তারপর আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করি। তাদের মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হয়েছে কিনা এসব দেখি। এতে ৪৬ জন ব্যক্তির ডাটা অসম্পূর্ণ পাওয়া যায়। কারও ফিঙ্গার প্রিন্ট ঠিক মতো নেই। কারও ফরম সঠিকভাবে আপলোড করা হয়নি।’
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ৩২টিকে আমরা বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছি। বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ ফরম পূরণ করা হয় এবং সার্ভারে তথ্য অন্তর্ভুক্তির জন্য বিশেষ কমিটির সুপারিশের প্রয়োজন পড়ে। উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলায় জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন