বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারগুলো খোলার অনুমতি পেল দুদক

মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ১০:৪৫ পিএম


বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারগুলো খোলার অনুমতি পেল দুদক
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ করার পর এবার তা খুলে দেখার অনুমতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এ অনুমতি দেন। একই সঙ্গে দুদক কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করার জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানকে নিয়োগ দেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ আদেশ দেন তিনি।

আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নমনীয় লকার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে খুলে প্রাপ্তসামগ্রী ইনভেন্টরি করার নিমিত্তে অনুসন্ধানকারীদের অনুমতি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রাখা সব কর্মকর্তার সেফ ডিপোজিট সাময়িক সময়ের জন্য ফ্রিজ (স্থগিত) করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যাতে কোনো কর্মকর্তা রক্ষিত মালামাল লকার খুলে নিতে না পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনোভাবেই যাতে লকার থেকে অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে না পারেন, সে জন্য সব লকার ফ্রিজ করার অনুরোধ জানিয়ে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতিতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেইফ ডিপোজিট তল্লাশি করে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তার জমা করা তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫ দশমিক ৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। 

তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটাতেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে মনে করছে দুদক।

চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের ‘দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক’ আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িক ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।

আরটিভি/এএইচ-টি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission