রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডের ভূতের গলিতে সাইফ হোসেন মুন্না নামে এক বিএনপি কর্মীকে প্রকাশ্যে কোপানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) রাতে আহত মুন্নার বোন জামিলা কবির লাবনী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে, গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত যুবকের নাম সাইফ হোসেন মুন্না জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ছড়িয়ে পড়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, গত রোববার (১৮ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গেঞ্জি ও প্যান্ট পরা এক যুবক সেন্ট্রাল রোডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন শার্ট পরা আরেকজন যুবক। হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল দেখে শার্ট পরা যুবক গেঞ্জি পরা যুবককে ধরে মাটিতে ফেলে দেন। এরপর ওই মোটরসাইকেলে আসে দুজন। মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা শার্ট পরা আরেক যুবক কোপাতে থাকেন। হেলমেট পরা মোটরসাইকেল চালকও নেমে কোপাতে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, এ সময় ভুক্তভোগী যুবকের আর্তচিৎকারেও আশপাশে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করতে যাননি। এমনকি প্রাইভেটকার, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে দুর্বৃত্তরা ওই যুবককে রাস্তায় ফেলে চলে গেলে, লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে রোববার রাতে মুন্নাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় এমসি শুভ, মামুন, রানা, শামীম ও মোবারকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। মামলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার অভিযোগ করেছেন বাদী। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানায় পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মাহফুজুল হক বলেন, মুন্নার ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটেছে সেন্ট্রাল রোডে। মুন্না বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি সবসময় স্থানীয় বিএনপি নেতা মাইনুল হোসেনের সঙ্গেই থাকেন। ঘটনা তদন্ত করছি, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
আরটিভি/কেএইচ