বন্যায় ভাসছে কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
গেলো ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি তিন সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও অন্য সকল নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার মির্জাপুর উপজেলার বংশাই নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বাঁধ উপচে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে লাখ লাখ মানুষের ভরসাস্থল কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে।
গেল এক সপ্তাহ ধরে বন্যার পানি প্রবেশ করার পরও চিকিৎসকরা সেবাকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে সেবা গ্রহীতা ও স্বজনদের।
হাসপাতালের মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়াসহ নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও মানবিক কারণ বিবেচনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন ডাক্তাররা। হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বন্যার পানিতে নৌকার মতো চলছে একের পর এক রোগী বহন করা ট্রলি।
এই হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন গড়ে জেলা ও জেলার বাইরের ৭ শতাধিক রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা নেন। এছাড়াও বহির্বিভাগ থেকে প্রায় ১৫০০ জন নানা ধরণের সেবা গ্রহণ করে থাকেন।
এ বিষয়ে কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) অনিমেষ ভৌমিক লিটন বলেন, কুমুদিনী পরিবারের প্রতিটি সদস্যের অক্লান্ত পরিশ্রমে এখন পর্যন্ত হাসপাতালের সেবা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটেনি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও সেবার ধারাবাহিকতায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য বিকল্প চিন্তাও করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এসএস
মন্তব্য করুন