সালমার প্রতারণায় কাঁদছেন স্বামী

পঞ্চগড় প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ০৮ মার্চ ২০২২ , ০৯:৩৩ এএম


সালমার প্রতারণায় কাঁদছেন স্বামী
স্বামীর টাকায় করে দেওয়া বাড়ি

পঞ্চগড়ে নিজ স্ত্রী সালমা আক্তারের প্রতারণায় নাজেহাল তার স্বামী আলমগীর হোসেন। স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করে এই ফাঁকে অন্য একজনকে বিয়ে করেছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। স্ত্রীর এমন প্রতারণায় বিব্রত স্বামী আলমগীর। এখন চোখের জল ফেলছেন। নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরতে পঞ্চগড় প্রেসক্লাব বরাবরে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলা ও অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার রণচী সরকারপাড়া এলাকার আলমগীর হোসেন পারিবারিকভাবেই বিয়ে করেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ঠুটাপাখুরী এলাকার সালমা আক্তারকে (২৮)। এটি ছিল দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। ২০১৭ সালে হঠাৎই সালমা সব কিছু নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করে। ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি বাড়ি করে দেওয়ার শর্তে মামলাটি আপসের জন্য এফিডেভিট করে সালমা। সেখানে স্বামীর সঙ্গে আগের মতো সংসার কথার কথা উল্লেখ করেন তিনি। 

এই সমঝোতার পর আলমগীর প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ করে সালমার বাবার বাড়িতে একটি আধাপাকা বাড়ি করে দেন। একইসঙ্গে তাদের সব ধরনের খরচ বহন করতেন তিনি। এদিকে বাড়ি নির্মিত হওয়ার পর সালমা গোপনে মাহমুদুল হাসান নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে।

বিজ্ঞাপন

সালমার প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, আলমগীর শুধু সালমার নয় আগের স্বামীর দুই সন্তানেরও খরচ বহন করত। বাড়িটিও তিনি নির্মাণ করে দিয়েছেন। সমঝোতার পরও সালমা অন্যত্র বিয়ে করেছেন বলে আমরা জেনেছি।

আলমগীর হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, আমি কেবল আমার মেয়ের জন্য তার নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছি। সে যখন যেমনটা বলেছে তেমনটিই করেছি। তারপরও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। মামলা আপসের জন্য এফিডেভিট করার পরও সে গোপনে অন্যত্র বিয়ে করেছে। একটি নয় আমরা জেনেছি দুই ব্যক্তিকে বিয়ে করেছে। তবে কৌশলগত কারণে সে রেজিস্ট্রি না করে কেবল মাওলানা দিয়ে বিয়ে করেছে। একজনের বিয়ের প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। সে আদালতে আমার সঙ্গে সংসার করার কথা বলছে আর ভেতরে অন্যত্র বিয়ে করেছে। এমন নারীর সঙ্গে সংসার করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তার প্রতারণায় আমি নাজেহাল হয়ে গেছি। আমি তার কাছ থেকে মুক্তি চাই।
 
এ ব্যাপারে সালমা আক্তার আরটিভি নিউজকে জানিয়েছনে, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আদালতেই কথা বলব। আলমগীর আমার ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমি বিয়ে করেছি কিনা সেটা আলমগীর আদালতে প্রমাণ করুক। এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বলেন, আমি জানি সালমা বিয়ে করেছে। তবে মুন্সির মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।  

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission