বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে।
রোববার (২৯ মে) দুপুরে উপজেলার মডেল থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সংর্ঘষে গুরুতর আহতরা হলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুমন, মৎস্যজীবী লীগের লেমন, শ্রমিক লীগের মানিক সরকার, সাইফুল ইসলাম, যুবলীগের মনির ইসলাম, যুবদল নেতা হারুনার রশিদ, ছাত্রদল নেতা জাকিরুল ইসলাম, সোহাগ, জুয়েল আহম্মেদ। তাদেরকে বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে বিএনপি নেত্রী সুরাইয়া জেরিন রনি দেওয়া বক্তব্যের ঘটনায় আজ রোববার দুপুর ১২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় মিছিলটি নিয়ে তারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোর্শেদ মিল্টনের বাড়ির সামনে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর আরও কয়েক দফা উপজেলা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় উভয়পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা আব্দুর রাজ্জাক মিলু জানান, শুক্রবার (২৭ মে) গাবতলী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে সংগঠনটির নেত্রী সুরাইয়া জেরিন রনি তার বক্তব্যতে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন। তার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ রোববার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও জানান, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিল্টনের বাড়ি থেকে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলায় কমপক্ষে প্রায় সাতজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে দুজনের মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় তাদের বগুড়া মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ বলেন, ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে। এই ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।