ঢাকা

মরদেহের পাশে চিরকুটে লেখা ‘পড়াশোনার চাপ সইতে পারছি না’

যশোর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২ , ১১:৩৫ পিএম


loading/img

যশোরের অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের সমশপুর গ্রামে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ওই গ্রামে নিজ বাড়ি থেকেই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়, যেখানে পড়াশোনায় ব্যর্থতা ও এ নিয়ে হতাশার কথা উল্লেখ আছে।

নিহত বক্তি ওই গ্রামের পল্লি চিকিৎসক হাবিবুর রহমান সরদারের ছেলে সোহানুর রহমান প্রান্ত। তিনি খুলনা সরকারি বিএল কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বাবা হাবিবুর রহমান জানান, গত বুধবার সোহানুর রহমান প্রান্ত ছাড়া বাড়ির সবাই এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। পরের দুই দিন তার মোবাইলে বেশ কয়েক বার ফোন করে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আজ শনিবার দুপুরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতা চাইলে তারা ঘরের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় প্রান্তর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় তার মরদেহের পাশে তিন পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।

সুইসাইড নোটে যা লেখা আছে, ‘প্রিয় মা-বাবা, আমার স্বপ্নগুলো কোনোদিন পূরণ হবে না। আমার শেষ ইচ্ছাটা তোমরা রেখো। আমার লাশ যেন পোস্টমর্টেম করা না হয়। আমি হঠাৎ মারা গেলাম, আমার আর বাঁচতে ইচ্ছা হয় না। আমার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের রেজাল্ট দিয়েছে। তাতে আবারও ফেল করেছি। তৃতীয় বর্ষের রেজাল্টেও ফেল হবে। পড়াশোনার চাপ সইতে পারছি না। জব করে ঋণের বোঝা সামলানো সম্ভব হচ্ছে না। আসলে আমার কপাল ভালো না। আমার মোটরসাইকেলটি বিক্রি করে লোন শোধ করে দিও। আমি চলে গেলাম তোমাদের ছেড়ে অনেক দূরে। আমার কপাল ভালো হলে হয়তো বেঁচে থাকতাম। তোমার ছেলে (প্রান্ত)।’

এ বিষয়ে অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মণ্ডল বলেন, এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সুইসাইড নোট লিখে প্রান্ত আত্মহত্যা করেছেন। 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |