ঢাকা

সেই নবজাতক এখন ঢাকার ছোটমনি নিবাসে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২ , ০২:৫০ পিএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-বাবা ও বোন নিহতের পর মায়ের পেট ফেটে রাস্তায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সেই নবজাতক কন্যাশিশু ফাতেমার শেষ পর্যন্ত ঠাঁই হয়েছে ঢাকার ছোটমনি নিবাসে।

বিজ্ঞাপন

গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মমেক) এনআইসিইউ ওয়ার্ড থেকে শিশুটিকে বের করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে বিকেলে শিশুটি ঢাকার ছোটমনি নিবাসে আনা হয়। 

এ সময় হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. ওয়ায়েজ উদ্দিন ফরাজী, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু আবদুল্লাহ মো. ওয়ালিউল্লাহ, শিশুটির দাদা মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু আবদুল্লাহ মো. ওয়ালিউল্লাহ জানান, হাসপাতালের পক্ষে এনআইসিইউ ওয়ার্ড ইনচার্জ শান্তি লতা ও ত্রিশাল সমাজসেবা অফিসার মাহমুদুল হাসান শিশু হস্তান্তর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

তিনি আরও জানান, শিশুটির একমাত্র অভিভাবক তার দাদা-দাদি। কিন্তু, তার দাদা-দাদির সংসারে শিশুটি লালন পালনের উপযুক্ত কোনো লোক না থাকায় এবং বাড়ির উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শিশুটি গত ২৬ জুলাই সুস্থ হয়ে উঠলে তার লালন-পালনের দায়িত্ব নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। শিশুটিকে লালন-পালনের সামর্থ্য তার দাদার নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ড। পরে ঢাকার আজিমপুর ছোটমণি নিবাসে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু আবদুল্লাহ মো. ওয়ালিউল্লাহ। 

বিজ্ঞাপন

আবু আবদুল্লাহ মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষে হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে ঢাকার উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। তার দাদার সামর্থ্য হলে শিশুটি সুস্থ হওয়ার এক বছরের মধ্যে পরিবার নিতে পারবে। তা নাহলে ছোটমণি নিবাসে ৬ বছর পর্যন্ত শিশুটি থাকতে পারবে। সেখানে গিয়ে তার দাদা শিশুটিকে দেখে আসতে পারবেন। প্রয়োজন হলে ১৮ বছর পর্যন্ত সরকারের তত্ত্বাবধানে শিশুটি থাকতে পারবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ট্রাকচাপায় শিশুটির বাবা জাহাঙ্গীর আলম, অন্তঃস্বত্ত্বা মা রত্না বেগম ও চার বছরের মেয়ে সানজিদা মারা যায়। এ সময় ট্রাকের চাপায় মায়ের পেট ফেটে রাস্তায় জন্ম নেয় এই শিশুটি। প্রথম দুই দিন শিশুটি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় ১৮ জুলাই রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |