২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ সমাবেশে পাবনা জেলা যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়।
রোববার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে একই দিন বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা যুবলীগ।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, দিলালপুরের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে মো. রনি। তিনি যুবলীগের সাবেক নেতা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য। যুবলীগ কর্মী মানিক, তমাল, ঘানা, রাফিন।
জানা গেছে, আজ রোববার সন্ধ্যায় প্রতিবাদ সমাবেশের সামনে দাঁড়ানো নিয়ে শুরুতেই যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিকের গ্রুপের রনির সঙ্গে অন্য গ্রুপের যুবলীগ নেতা বাপ্পী ও লগবাবুর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কিছুক্ষণ কিলঘুষি-লাথি চলতে থাকে। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় মাইকে সবাইকে সুশৃঙ্খল থাকার অনুরোধ করেন নেতারা। পরে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি প্রতিবাদ সমাবেশ বন্ধ ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর নিজ বলয়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি, পাবনা পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান মিন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, আজ রোববার সন্ধ্যায় শুনেছি যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিকের গ্রুপের রনি ও বাপ্পীর মধ্যে হাতহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিষয়টি পাবনা পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল হাসান মিন্টুর মধ্যস্থতায় স্বাভাবিক হয়ে যায়। কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।