রাজধানীর উত্তরায় লরি (লং ভেহিক্যাল) চাপায় কাজী মাসুদ (৩৮) নামে এক ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আবদুল্লাহপুর-টঙ্গী ব্রিজের ১০০ গজ দক্ষিণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর ৪টার দিকে ওই পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আবদুল্লাহপুর এলাকার ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট এস এম নকীব হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাতে যখন এ ঘটনা ঘটে, তখন আমি পুলিশ বক্সের ভেতরে ছিলাম। পরে আশপাশের লোকজন আমাকে জানায়, এক পুলিশ সদস্য গাড়িচাপা পড়েছেন। দৌড়ে গিয়ে মাসুদকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির বলেন, লরিচাপায় ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল নিহতের ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে লরিটি জব্দ করা হয়। তবে লরির চালক পালিয়ে যাওয়া তাকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলের কপালে ও বুকে প্রচুর আঘাত পেয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. বদরুল হাসান বলেন, রাতে আবদুল্লাহপুর এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উত্তরা পূর্ব জোনে কর্তব্যরত ছিলেন। তিনি ২০০৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে যোগ দেন। মাসুদ বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার দোপাখালী গ্রামের কাজী হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে। তিনি রাজধানীর দক্ষিণখানের জয়নাল মার্কেটের নাভিল ভিলাতে স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে থাকতেন।