ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাসুম (৩৫) নামে এক যুবককে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই বন্ধুর বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পার গেন্ডারিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরিসহ অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম অপু ও নোয়াই রাসেল নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
নিহত মাসুম মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর এলাকায় নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে। তিনি পার গেন্ডারিয়া সাতপাখি এলাকার কানাপট্টি লোকমান মোল্লার বাড়িতে মাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। নিহত মাসুম ডকইয়ার্ড ইয়ারে জাহাজ তৈরির কাজ করতেন।
নিহতের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম ও এলাকাবাসী জানায়, ঘাতক অপু এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, গত দুদিন আগে মাসুমের সঙ্গে অপুর মাদকের টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়। এ সময় মাসুম পুলিশে ধরিয়ে দেবে বলে অপু ও তার সহযোগীদের হুমকি দেয়। তখন অপু তার সহযোগী নোয়াই রাসেলকে গিয়ে বিষয়টি জানায়। পরে অপু মাসুমের ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার গলায় ছুরি চালায়। এ সময় এলাকাবাসী এসে অপুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
নিহত মাসুমের মামাতো ভাই মন্টু বলেন, কিছুদিন আগে মাসুমের সঙ্গে অপুর ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়ার মধ্যে মাসুম, অপুকে বলেছিল পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার কথা। সেই ক্ষোভে অপু ও রাসেল মাসুমকে গলা কেটে হত্যা করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ জামান জানান, হত্যার ঘটনায় দুজনকে আটক করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তদন্ত চলছে।